মায়ার মতো
হাসান কল্লোল
আমার পায়ের পাশ থেকে সরে যাচ্ছে
পারদজল- জলের টলটল ধ্বনি।
আমি জানি কি জানিনি তার ফলাফল
হাতে পাওয়ার আগেই তুমি কে হে পাড়ার মাস্টার
আমায় রাজটিকেট দিয়ে বের করে দিলে এই
ঘোর রাতে!
সাথে ছিলো দোলন দত্তের দেয়া অন্ধকারের
ছোয়া- ছিল মায়া, ঠিক মায়া নয়
মায়ার মতো এক আঁঠালো আবেগ।
কৈশোরকে ছুঁতে গেলে সারাদেহ আজো গোলমরিচের মতো
আত্মমেহনের অভ্যাসে বেড়ে ওঠা মাধবীলতার কথা মনে ভাসে!
ও ড্রামবন্দি জীবন- ও লালপাতা, সাদাপাতা
মেকি সাজে পুষ্পিত আর্দ্র সময়ের দুপাড়!
তুমি ভাঙোনা কেন, তুমি পয়স্থির প্রসব যন্ত্রণা
নিতে ভীত এক বালখিল্য অপবাদ স্কন্ধে ঝুলিয়ে চলবে সরকারি পথ?
মত, অভিন্ন মতে হাততালি দিতে দিতে
বানরের লাঠিখেলার বড় বাক্স হলে বুঝি!
পরাধীন বেলুনগুলো হাতে নিয়ে মাঝপথে
সবগুলো বিক্রি শেষে দেখছো-
কী স্বাধীন বাতাসে ধিকি ধিকি আনন্দে
উড়ছে ফানুস!!
মানুষ হারিয়ে যাচ্ছে
ইকবাল হোসেন বুলবুল
কোনো কিছু নাই আর মানুষের কাছে
নদী গেছে কুমিরের পেটে
বাঘের থাবার নিচে অরণ্যের সকল সবুজ
পোকার দখলে গেছে ফুলের বাগান
যুদ্ধের বিমান দখলে নিয়েছে নক্ষত্রমহল
তারপরও মানুষেরা বাঁচতে পারতো
যদি না মানুষ খেতো তার মানবতা
মানুষ হারিয়ে যাচ্ছে; বাড়ছে প্রাণির সংখ্যা মানুষের মতো।
একটি কবিতার জন্মকথা
কাজী জাহেদ ইকবাল
মুহূর্তের অনুভব অথবা দীর্ঘ ভাবনা
নেমে আসে অলক্ষ্যে অবলীলায়
কবিতার শরীর হয়ে।
একটা কবিতার জন্ম হবে আজ
মানস পটে তোমার বিম্বিত চিত্র ধরে,
অথবা
কিন্নর কণ্ঠও হতে পারে কাব্যের উপজীব্য!
যখন থাকো তখন সব কবিতা হয়ে যায়,
না থাকাটাও কবিতা হয়ে ওঠে অবলীলায়!
কবিতার অনুভব শুধু কবিতায় ধরা যায়।
ছবি কবিতা হয় কবিতাও ছবি হয়ে ওঠে;
কণ্ঠ তাড়িত করে কবিকে নতুন সৃষ্টিতে।
মোহাবিষ্ট কবির কাছে শুধু কবিতাই সত্যি!
পতনের ছন্দ
তরুন ইউসুফ
পতনেরও ছন্দ আছে
আছে কিছু সুখ।
শালফুল সেটা জেনে-
প্রথমে সৌন্দর্য ছড়ায়
তারপর হাওয়ায় ঘুরে ঘুরে
উড়ে উড়ে একটু দূরে
ঝড়ে পরে
শান্ত স্থির।
অথচ আমরা
ধুপ করে পড়ে যাই
ছন্দহীন, সৌন্দর্যহীন
নিস্ব-
পতনেরও ছন্দ আছে
আছে কিছু সৌন্দর্য
চল শালফুলের কাছে
অন্তত পতনের ছন্দ শিখি।
বৃহস্পতিবার, ০৩ জুন ২০২১ , ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২১ শাওয়াল ১৪৪২
মায়ার মতো
হাসান কল্লোল
আমার পায়ের পাশ থেকে সরে যাচ্ছে
পারদজল- জলের টলটল ধ্বনি।
আমি জানি কি জানিনি তার ফলাফল
হাতে পাওয়ার আগেই তুমি কে হে পাড়ার মাস্টার
আমায় রাজটিকেট দিয়ে বের করে দিলে এই
ঘোর রাতে!
সাথে ছিলো দোলন দত্তের দেয়া অন্ধকারের
ছোয়া- ছিল মায়া, ঠিক মায়া নয়
মায়ার মতো এক আঁঠালো আবেগ।
কৈশোরকে ছুঁতে গেলে সারাদেহ আজো গোলমরিচের মতো
আত্মমেহনের অভ্যাসে বেড়ে ওঠা মাধবীলতার কথা মনে ভাসে!
ও ড্রামবন্দি জীবন- ও লালপাতা, সাদাপাতা
মেকি সাজে পুষ্পিত আর্দ্র সময়ের দুপাড়!
তুমি ভাঙোনা কেন, তুমি পয়স্থির প্রসব যন্ত্রণা
নিতে ভীত এক বালখিল্য অপবাদ স্কন্ধে ঝুলিয়ে চলবে সরকারি পথ?
মত, অভিন্ন মতে হাততালি দিতে দিতে
বানরের লাঠিখেলার বড় বাক্স হলে বুঝি!
পরাধীন বেলুনগুলো হাতে নিয়ে মাঝপথে
সবগুলো বিক্রি শেষে দেখছো-
কী স্বাধীন বাতাসে ধিকি ধিকি আনন্দে
উড়ছে ফানুস!!
মানুষ হারিয়ে যাচ্ছে
ইকবাল হোসেন বুলবুল
কোনো কিছু নাই আর মানুষের কাছে
নদী গেছে কুমিরের পেটে
বাঘের থাবার নিচে অরণ্যের সকল সবুজ
পোকার দখলে গেছে ফুলের বাগান
যুদ্ধের বিমান দখলে নিয়েছে নক্ষত্রমহল
তারপরও মানুষেরা বাঁচতে পারতো
যদি না মানুষ খেতো তার মানবতা
মানুষ হারিয়ে যাচ্ছে; বাড়ছে প্রাণির সংখ্যা মানুষের মতো।
একটি কবিতার জন্মকথা
কাজী জাহেদ ইকবাল
মুহূর্তের অনুভব অথবা দীর্ঘ ভাবনা
নেমে আসে অলক্ষ্যে অবলীলায়
কবিতার শরীর হয়ে।
একটা কবিতার জন্ম হবে আজ
মানস পটে তোমার বিম্বিত চিত্র ধরে,
অথবা
কিন্নর কণ্ঠও হতে পারে কাব্যের উপজীব্য!
যখন থাকো তখন সব কবিতা হয়ে যায়,
না থাকাটাও কবিতা হয়ে ওঠে অবলীলায়!
কবিতার অনুভব শুধু কবিতায় ধরা যায়।
ছবি কবিতা হয় কবিতাও ছবি হয়ে ওঠে;
কণ্ঠ তাড়িত করে কবিকে নতুন সৃষ্টিতে।
মোহাবিষ্ট কবির কাছে শুধু কবিতাই সত্যি!
পতনের ছন্দ
তরুন ইউসুফ
পতনেরও ছন্দ আছে
আছে কিছু সুখ।
শালফুল সেটা জেনে-
প্রথমে সৌন্দর্য ছড়ায়
তারপর হাওয়ায় ঘুরে ঘুরে
উড়ে উড়ে একটু দূরে
ঝড়ে পরে
শান্ত স্থির।
অথচ আমরা
ধুপ করে পড়ে যাই
ছন্দহীন, সৌন্দর্যহীন
নিস্ব-
পতনেরও ছন্দ আছে
আছে কিছু সৌন্দর্য
চল শালফুলের কাছে
অন্তত পতনের ছন্দ শিখি।