ঘিওর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা

নতুন ভবনে উদ্যোগে গতি নেই

মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির পুরাতন ৩১ শয্যাবিশিষ্ট ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। দীর্ঘদিন আগে স্বাস্থ্য কেন্দ্রটির বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দেয়। ৮ মাসে আগে পরিত্যক্ত ঘোষণা পরেও নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়নি। যে কোন মুহূর্তে ভবনটি ধসে ভয়াবহ দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছে স্টাফসহ এলাকার সাধারণ লোকজন। ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তারা নতুন ভবনের জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপনের কাছে ভবনে নির্মাণের আবেদন করেছেন। স্বাস্থ্য সেবার কাজ চলছে অন্য ভবনে। স্থানাভাবে সেবা কাজ ব্যাহত হচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, আশির দশকের দিকে সারাদেশের মতো ঘিওরে ৩১ শয্যা বিশিষ্ট ২য় তলা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি নির্মাণ করা হয়। ওপরে রোগীদের জন্য পৃথক দুটি রুম এবং একটি নার্সদের একটি রুম নির্মাণ করা হয়। নিচে ইমার্জেন্সি, আর এম. করিডোর ল্যাবরেটরি, স্টোর রুমসহ বিভিন্ন রুম রয়েছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিচতলার ৫টি রুমের প্লাস্টার উঠে রড বেরিয়ে গেছে। ভিমগুলোতে ফাটল ধরেছে। এছাড়া বৃষ্টির সময় রুমগুলোর মধ্যে পানি ঢুকে স্যাঁতস্যাঁতে অবস্থায় হয়ে যায়। ঝড়বৃষ্টির সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্টাফদের কাজকর্ম করতে হতো। ভবনটির বিভিন্ন ওয়ার্ডের ফ্যানগুলো অকেজো হয়ে পরার পরেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রোগীদের চিকিৎসা সেবা চালাতে হয়েছে। গত ৮-১০-২০ তারিখে সহকারী প্রকৌশলী স্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের মানিকগঞ্জ সহকারী প্রকৌশলী পরিদর্শন করেন। তারা নিচতলার সমস্ত রুমগুলো ব্যবহারের অযোগ্য ঘোষণা করেন। গত ১১ মে জরুরি বিভাগে দায়িত্ব পালনের সময় ছাদের বড় একটি অংশ ভেঙ্গে পরে। অল্পের জন্য চিকিৎসকসহ দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বেঁচে যায়। সিভিল সার্জন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, এলজিইডি প্রকৌশলী সরেজমিন পরিদর্শন করেন। কর্মকর্তারা ভবনের সমস্ত মালামাল সরিয়ে নেয়ার জন্য বলেন। বর্তমানে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী ওয়ার্ডসহ যাবতীয় কাজকর্ম অন্য একটি ভবনে স্থানান্তর করা হয়েছে। জরুরী ভবন নির্মাণ না করায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কাজকর্মে মারাত্মক অসুবিধা হচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডা. হাসিব আহ্সান জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে সমস্ত মালামালসহ অন্য ভবনে সরিয়ে নিয়েছি। নতুন ভবন নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বরাবর আবেদন করা হয়েছে। এলাকার অভিজ্ঞমহল জরুরী ভিত্তিত্তে ভবনটি নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রী জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

image

মানিকগঞ্জ : ঘিওর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ইনসেটে খসে পড়া ছাদের প্লাস্টার -সংবাদ

আরও খবর
দুই জেলায় করোনায় নতুন শনাক্ত ১৬
উত্তরায় বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে দুইজনের মৃত্যু
ভালুকায় জমি বিবাদে ছোট ভাই নিহত
বেলকুচিতে জেলেদের মাঝে ভ্যান বিতরণ
বালিয়াকান্দী হাসপাতালে পানি নেই! চরম দুর্ভোগে রোগীরা
চাঁপাইয়ে অস্ত্রসহ যুবক আটক
আশুলিয়ায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ : দগ্ধ ৬
চোরাই মদসহ গ্রেপ্তার এক
যৌতুক পেয়েও গাড়ি থেকে ২ শিশু সন্তানসহ স্ত্রীকে ফেলে আহত : গ্রেপ্তার স্বামী
খুলনায় ধর্ষণ : হোটেল মালিক গ্রেপ্তার
ঠাকুরগাঁওয়ে ৮শ ভূমিহীন পরিবার পাচ্ছেন ‘স্বপ্নের বাড়ি’
চরফ্যাশনে ভাইয়ের বিরুদ্ধে ছিনতাই মামলা

বৃহস্পতিবার, ০৩ জুন ২০২১ , ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২১ শাওয়াল ১৪৪২

ঘিওর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা

নতুন ভবনে উদ্যোগে গতি নেই

প্রতিনিধি, মানিকগঞ্জ

image

মানিকগঞ্জ : ঘিওর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ইনসেটে খসে পড়া ছাদের প্লাস্টার -সংবাদ

মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির পুরাতন ৩১ শয্যাবিশিষ্ট ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। দীর্ঘদিন আগে স্বাস্থ্য কেন্দ্রটির বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দেয়। ৮ মাসে আগে পরিত্যক্ত ঘোষণা পরেও নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়নি। যে কোন মুহূর্তে ভবনটি ধসে ভয়াবহ দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছে স্টাফসহ এলাকার সাধারণ লোকজন। ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তারা নতুন ভবনের জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপনের কাছে ভবনে নির্মাণের আবেদন করেছেন। স্বাস্থ্য সেবার কাজ চলছে অন্য ভবনে। স্থানাভাবে সেবা কাজ ব্যাহত হচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, আশির দশকের দিকে সারাদেশের মতো ঘিওরে ৩১ শয্যা বিশিষ্ট ২য় তলা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি নির্মাণ করা হয়। ওপরে রোগীদের জন্য পৃথক দুটি রুম এবং একটি নার্সদের একটি রুম নির্মাণ করা হয়। নিচে ইমার্জেন্সি, আর এম. করিডোর ল্যাবরেটরি, স্টোর রুমসহ বিভিন্ন রুম রয়েছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিচতলার ৫টি রুমের প্লাস্টার উঠে রড বেরিয়ে গেছে। ভিমগুলোতে ফাটল ধরেছে। এছাড়া বৃষ্টির সময় রুমগুলোর মধ্যে পানি ঢুকে স্যাঁতস্যাঁতে অবস্থায় হয়ে যায়। ঝড়বৃষ্টির সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্টাফদের কাজকর্ম করতে হতো। ভবনটির বিভিন্ন ওয়ার্ডের ফ্যানগুলো অকেজো হয়ে পরার পরেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রোগীদের চিকিৎসা সেবা চালাতে হয়েছে। গত ৮-১০-২০ তারিখে সহকারী প্রকৌশলী স্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের মানিকগঞ্জ সহকারী প্রকৌশলী পরিদর্শন করেন। তারা নিচতলার সমস্ত রুমগুলো ব্যবহারের অযোগ্য ঘোষণা করেন। গত ১১ মে জরুরি বিভাগে দায়িত্ব পালনের সময় ছাদের বড় একটি অংশ ভেঙ্গে পরে। অল্পের জন্য চিকিৎসকসহ দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বেঁচে যায়। সিভিল সার্জন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, এলজিইডি প্রকৌশলী সরেজমিন পরিদর্শন করেন। কর্মকর্তারা ভবনের সমস্ত মালামাল সরিয়ে নেয়ার জন্য বলেন। বর্তমানে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী ওয়ার্ডসহ যাবতীয় কাজকর্ম অন্য একটি ভবনে স্থানান্তর করা হয়েছে। জরুরী ভবন নির্মাণ না করায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কাজকর্মে মারাত্মক অসুবিধা হচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডা. হাসিব আহ্সান জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে সমস্ত মালামালসহ অন্য ভবনে সরিয়ে নিয়েছি। নতুন ভবন নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বরাবর আবেদন করা হয়েছে। এলাকার অভিজ্ঞমহল জরুরী ভিত্তিত্তে ভবনটি নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রী জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।