‘আশ্রয়নের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার’- এই স্লোগানকে সামনে রেখে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ৮০০ পরিবার পাচ্ছে স্বপ্নের ঠিকানা। এ উপলক্ষে ৩০টি খাস জমিতে নির্মাণ কাজ চলছে জোরে সোড়ে। চলতি মাসে এসব ঘর হস্তান্তর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে অসহায় ও দরিদ্র ভূমিহীন পরিবারের জন্য ২য় পর্যায়ের নির্মাণ করা হচ্ছে ৮০০ ঘর। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের লোহাগাড়া, জাউনিয়া, রায়মহল। চাড়োল ইউনিয়নের হারামডাঙ্গী, মাহাতপাড়া ও সাবাজপুর। ধনতলা ইউনিয়নের শিলপাটি পুল, বোয়ালীমন্ডল, কাঁচনাপাড়া, দোগাছী, ও কৈমারীতে। বড় পলাশবাড়ী ইউনিয়নের গড়িয়ালি, সেনুয়া, কুশলডাঙ্গী, ময়মনসিংহ পাড়া, হাঠাৎ পাড়া, পিতাইচড়ি, সর্বমঙ্গলা। দুওসুও ইউনিয়নের তেলি বন্দর, নিরাসী পুকুর। ভানোর ইউনিয়নের হলদীবাড়ি বিশ্রামপুর। আমজানখোর ইউনিয়নের হিন্দুপাড়া, আমবাগান, ঠগবস্তী, থুকড়াবাড়ি, পানজার বস্তি, ক্যাম্পের হাট। বড়বাড়ী ইউনিয়নের আধার দিঘি, জাউনিয়া গ্রামসহ প্রায় ৩০টি স্থানে সরকারি জমিতে দুই মাস আগে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় ৮শ’ ঘর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। প্রতিটি ঘরের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ ৯০ হাজার টাকা। খাস জমিতে এসব গৃহ নির্মাণ কাজ শেষের দিকে। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের আওতায় আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় এসব ঘর নির্মাণ কাজ শেষের দিকে। চলতি জুন মাসেই ঘরগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হবে দরিদ্রদের মাঝে ।
প্রতিটি ঘরে দুটি শয়ন কক্ষ, একটি করে বারান্দা, রান্না ঘর ও বাথরুম, বিদ্যুৎ সংযোগসহ নানা সুযোগ-সুবিধা রাখা হয়েছে। এছাড়াও সুবিধাভোগী প্রতিটি পরিবারকে ২ শতক করে জমি বরাদ্দ দেয়া হবে। উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে নির্মাণাধীন এসব ঘরের কাজের মান নিয়মিত পরিদর্শন করছেন জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যোবায়ের হোসেনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
সরেজমিনে জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার নির্মাণাধীন বিভিন্ন প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করে দেখা গেছে ,লাল-সবুজের রঙে রঙিন এসব ঘরগুলো দৃষ্টিনন্দন লাগছে। সেই সঙ্গে বদলে গেছে ওইসব এলাকার পরিবেশ। কথা হয় এসব ঘরে বরাদ্দ তালিকাভুক্ত একাধিক সুবিধাভোগীর সঙ্গে। তারা এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
উপকারভোগী আলাল হোসেন বলেন, আমি ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করি। আমার মাথা গোজার ঠাঁই ছিলো না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে একটি ঘর উপহার দেবেন যে ঘর কোনদিন নির্মাণের কথা কল্পনাও করতে পারি না। আমি তার জন্য প্রাণভরে দোয়া করছি। করিমন বেওয়া নামে একজন বিধবা জানান, আমার স্বামী নাই। কাজ করতাম অন্যের বাড়িতে। ঘরের অভাবে যেখানে সেখানে পড়ে থাকতাম। রাতে নিজের ঘরে ঘুমাতে পারব কল্পনাও করতে পারিনি । এখন আমার সে দুশ্চিন্তার দিন শেষ হতে চলেছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান আলী আসলাম জুয়েল জানান, গৃহহীনকে ঘর উপহার দিয়ে এটা অবশ্যই অনুকরণীয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যোবায়ের হোসেন জানান, প্রথম দফায় ১৬৬টি গৃহহীন পরিবারকে ঘর প্রদান করা হয়েছে। ২য় ধাপের আরও ৮শ ঘর নির্মাণ কাজ শেষের দিকে। ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারগুলো পাবে এসব ঘর। জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম জানান, বালিয়াডাঙ্গীর লাল-সবুজের এসব ঘরের কাজের মানের পাশাপাশি ঘরের ছবি পরিকল্পনা কমিশনে সমাদৃত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ০৩ জুন ২০২১ , ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২১ শাওয়াল ১৪৪২
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, ঠাকুরগাঁও
‘আশ্রয়নের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার’- এই স্লোগানকে সামনে রেখে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ৮০০ পরিবার পাচ্ছে স্বপ্নের ঠিকানা। এ উপলক্ষে ৩০টি খাস জমিতে নির্মাণ কাজ চলছে জোরে সোড়ে। চলতি মাসে এসব ঘর হস্তান্তর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে অসহায় ও দরিদ্র ভূমিহীন পরিবারের জন্য ২য় পর্যায়ের নির্মাণ করা হচ্ছে ৮০০ ঘর। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের লোহাগাড়া, জাউনিয়া, রায়মহল। চাড়োল ইউনিয়নের হারামডাঙ্গী, মাহাতপাড়া ও সাবাজপুর। ধনতলা ইউনিয়নের শিলপাটি পুল, বোয়ালীমন্ডল, কাঁচনাপাড়া, দোগাছী, ও কৈমারীতে। বড় পলাশবাড়ী ইউনিয়নের গড়িয়ালি, সেনুয়া, কুশলডাঙ্গী, ময়মনসিংহ পাড়া, হাঠাৎ পাড়া, পিতাইচড়ি, সর্বমঙ্গলা। দুওসুও ইউনিয়নের তেলি বন্দর, নিরাসী পুকুর। ভানোর ইউনিয়নের হলদীবাড়ি বিশ্রামপুর। আমজানখোর ইউনিয়নের হিন্দুপাড়া, আমবাগান, ঠগবস্তী, থুকড়াবাড়ি, পানজার বস্তি, ক্যাম্পের হাট। বড়বাড়ী ইউনিয়নের আধার দিঘি, জাউনিয়া গ্রামসহ প্রায় ৩০টি স্থানে সরকারি জমিতে দুই মাস আগে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় ৮শ’ ঘর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। প্রতিটি ঘরের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ ৯০ হাজার টাকা। খাস জমিতে এসব গৃহ নির্মাণ কাজ শেষের দিকে। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের আওতায় আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় এসব ঘর নির্মাণ কাজ শেষের দিকে। চলতি জুন মাসেই ঘরগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হবে দরিদ্রদের মাঝে ।
প্রতিটি ঘরে দুটি শয়ন কক্ষ, একটি করে বারান্দা, রান্না ঘর ও বাথরুম, বিদ্যুৎ সংযোগসহ নানা সুযোগ-সুবিধা রাখা হয়েছে। এছাড়াও সুবিধাভোগী প্রতিটি পরিবারকে ২ শতক করে জমি বরাদ্দ দেয়া হবে। উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে নির্মাণাধীন এসব ঘরের কাজের মান নিয়মিত পরিদর্শন করছেন জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যোবায়ের হোসেনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
সরেজমিনে জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার নির্মাণাধীন বিভিন্ন প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করে দেখা গেছে ,লাল-সবুজের রঙে রঙিন এসব ঘরগুলো দৃষ্টিনন্দন লাগছে। সেই সঙ্গে বদলে গেছে ওইসব এলাকার পরিবেশ। কথা হয় এসব ঘরে বরাদ্দ তালিকাভুক্ত একাধিক সুবিধাভোগীর সঙ্গে। তারা এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
উপকারভোগী আলাল হোসেন বলেন, আমি ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করি। আমার মাথা গোজার ঠাঁই ছিলো না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে একটি ঘর উপহার দেবেন যে ঘর কোনদিন নির্মাণের কথা কল্পনাও করতে পারি না। আমি তার জন্য প্রাণভরে দোয়া করছি। করিমন বেওয়া নামে একজন বিধবা জানান, আমার স্বামী নাই। কাজ করতাম অন্যের বাড়িতে। ঘরের অভাবে যেখানে সেখানে পড়ে থাকতাম। রাতে নিজের ঘরে ঘুমাতে পারব কল্পনাও করতে পারিনি । এখন আমার সে দুশ্চিন্তার দিন শেষ হতে চলেছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান আলী আসলাম জুয়েল জানান, গৃহহীনকে ঘর উপহার দিয়ে এটা অবশ্যই অনুকরণীয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যোবায়ের হোসেন জানান, প্রথম দফায় ১৬৬টি গৃহহীন পরিবারকে ঘর প্রদান করা হয়েছে। ২য় ধাপের আরও ৮শ ঘর নির্মাণ কাজ শেষের দিকে। ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারগুলো পাবে এসব ঘর। জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম জানান, বালিয়াডাঙ্গীর লাল-সবুজের এসব ঘরের কাজের মানের পাশাপাশি ঘরের ছবি পরিকল্পনা কমিশনে সমাদৃত হয়েছে।