চরফ্যাশনে ভাইয়ের বিরুদ্ধে ছিনতাই মামলা

চরফ্যাসনে বাড়ির জমির সীমানা বিরোধকে কেন্দ্র করে বড়ভাই আলাউদ্দিন ফরাজীকে জব্দ করতে ছোটভাই আল এমরান রাসেল বাদী হয়ে মিথ্যা ছিনতাই মামলা দায়ের করেছেন। গত রোববার চরফ্যাসন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলায় বড়ভাই আলাউদ্দিন ও দুই ভাতিজা মেহেদী হাসান ও আরিফ হোসেনকে আসামি করা হয়েছে। ওই দায়েরকৃত মামলায় আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।

জানা যায়, চরফ্যাসনের হালিমাবাদ গ্রামের মৃত আবদুর রশিদ ফরাজির বড় ছেলে আলাউদ্দিন এবং ছোট ছেলে আল এমরান রাসেলের মধ্যে বাড়ির সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। এই বিরোধে বড়ভাই আলাউদ্দিনকে জব্দ করতে ছোট ভাই আল এমরান রাসেল তাকে রাস্তায় পিটিয়ে আহত করে নগদ ১ লাখ ৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়ার মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। গত ২৬ মে বুধবার সন্ধ্যায় হালিমাবাদ গ্রামের মাঝিরহাট বাজারের পশ্চিম মাথায় এই হামলা ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে বলে মামলার আর্জিতে ছোটভাই আল এমরান রাসেল দাবি করেছেন। বড় ভাই আলাউদ্দিন ফরাজী বলেন, ছোট ভাই রাসেলের সঙ্গে পৈত্রিক সম্পত্তির সীমানা নিয়ে বিরোধ চলেছে। এ ঘটনায় ছোট ভাই রাসেল তাকে মারধরের অভিযোগ তুলে গত ২৯ মে মাসে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও চরফ্যাসন থানার ওসি বিষয়টিকে নিষ্পত্তি করে দেন। আমার পরিবারকে জব্দ করতে আমাকেসহ আমার অপর দুই ছেলেকে আসামি করে চরফ্যাসন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ছিনতাইয়ের অভিযোগ তুলে হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করেন। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন মাস্টার জানান, সীমানা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে ছোট ভাই থানায় অভিযোগ দিলে ওই বিষয়টি থানায় বসেই সমোঝতা করা হয়েছে। রাসেল সালিশের সমোঝতা মেনে নিয়ে অহেতুকভাবে হয়রানি করতে বড় ভাই ও তার ছেলেদের আসামি করে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার দিন বস্তবে এমন কোন ঘটনাই ঘটেনি। চরফ্যাসন থানার ওসি মো. মনির হোসেন মিয়া জানান, উভয়পক্ষ সালিশের সমোঝতা মেনে নিয়েছে। পরে কি হয়েছে তা আমার জানা নাই।

বৃহস্পতিবার, ০৩ জুন ২০২১ , ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২১ শাওয়াল ১৪৪২

জমির সীমানা বিরোধ

চরফ্যাশনে ভাইয়ের বিরুদ্ধে ছিনতাই মামলা

প্রতিনিধি, চরফ্যাসন (ভোলা)

চরফ্যাসনে বাড়ির জমির সীমানা বিরোধকে কেন্দ্র করে বড়ভাই আলাউদ্দিন ফরাজীকে জব্দ করতে ছোটভাই আল এমরান রাসেল বাদী হয়ে মিথ্যা ছিনতাই মামলা দায়ের করেছেন। গত রোববার চরফ্যাসন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলায় বড়ভাই আলাউদ্দিন ও দুই ভাতিজা মেহেদী হাসান ও আরিফ হোসেনকে আসামি করা হয়েছে। ওই দায়েরকৃত মামলায় আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।

জানা যায়, চরফ্যাসনের হালিমাবাদ গ্রামের মৃত আবদুর রশিদ ফরাজির বড় ছেলে আলাউদ্দিন এবং ছোট ছেলে আল এমরান রাসেলের মধ্যে বাড়ির সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। এই বিরোধে বড়ভাই আলাউদ্দিনকে জব্দ করতে ছোট ভাই আল এমরান রাসেল তাকে রাস্তায় পিটিয়ে আহত করে নগদ ১ লাখ ৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়ার মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। গত ২৬ মে বুধবার সন্ধ্যায় হালিমাবাদ গ্রামের মাঝিরহাট বাজারের পশ্চিম মাথায় এই হামলা ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে বলে মামলার আর্জিতে ছোটভাই আল এমরান রাসেল দাবি করেছেন। বড় ভাই আলাউদ্দিন ফরাজী বলেন, ছোট ভাই রাসেলের সঙ্গে পৈত্রিক সম্পত্তির সীমানা নিয়ে বিরোধ চলেছে। এ ঘটনায় ছোট ভাই রাসেল তাকে মারধরের অভিযোগ তুলে গত ২৯ মে মাসে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও চরফ্যাসন থানার ওসি বিষয়টিকে নিষ্পত্তি করে দেন। আমার পরিবারকে জব্দ করতে আমাকেসহ আমার অপর দুই ছেলেকে আসামি করে চরফ্যাসন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ছিনতাইয়ের অভিযোগ তুলে হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করেন। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন মাস্টার জানান, সীমানা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে ছোট ভাই থানায় অভিযোগ দিলে ওই বিষয়টি থানায় বসেই সমোঝতা করা হয়েছে। রাসেল সালিশের সমোঝতা মেনে নিয়ে অহেতুকভাবে হয়রানি করতে বড় ভাই ও তার ছেলেদের আসামি করে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার দিন বস্তবে এমন কোন ঘটনাই ঘটেনি। চরফ্যাসন থানার ওসি মো. মনির হোসেন মিয়া জানান, উভয়পক্ষ সালিশের সমোঝতা মেনে নিয়েছে। পরে কি হয়েছে তা আমার জানা নাই।