‘বঙ্গবন্ধুর ৪ খুনির মুক্তিযুদ্ধের খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত’

বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত চার খুনির রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। দুই-চারদিনের মধ্যে গেজেট আকারে তা প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন আ ক ম মোজাম্মেল হক। গতকাল সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের এক সভায় তাদের খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে। এখন আমরা গেজেট আকারে প্রকাশ করব, প্রকাশ করলে আপনারা পাবেন। এর আগে আর কোন মন্তব্য করতে চাই না।’ তবে বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের বিষয়ে কিছু বলেননি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী।

জানা গেছে, খেতাব বাতিল হলে তারা এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য আর কোন রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা পাবেন না। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় দন্ডিত চার খুনির খেতাব স্থগিতের জন্য হাইকোর্ট একটি আদেশ দিয়েছিল গত বছরের শেষ দিকে। এরপর গত ফেব্রুয়ারিতে জামুকার বৈঠকে চারজনের খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয় চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য। ‘সংবিধান লঙ্ঘন, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের দেশত্যাগে সহায়তা এবং তাদের গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়নের’ কারণে সাবেক সামরিক শাসক ও বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধের ‘বীর উত্তম’ খেতাবও বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছিল জামুকার ওই সভায়।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, জিয়াউর রহমানসহ বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত চার খুনি ক্যাপ্টেন নূর চৌধুরী (বীর বিক্রম), মেজর শরিফুল হক ডালিম (বীর উত্তম), রাশেদ চৌধুরী (বীর প্রতীক) ও মোসলেহ উদ্দিন খান (বীর প্রতীক) মুক্তিযুদ্ধের অবদানের জন্য তাদের রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের বিষয়ে সুপারিশ করে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা)। এর পর জামুকার সদস্য সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী চট্টগ্রামের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান ও মুক্তিযোদ্ধা রশিদুল আলম। কমিটির সুপারিশ আলোকে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত চার খুনির খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে। তবে জিয়াউর রহমানের বিষয়ে কমিটির পক্ষ থেকে এখনও কোন প্রতিবেদন দেয়া হয়নি। এ বিষয়ে আইনগত দিক পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়া হবে বলে জামুকার কর্মকর্তারা জানান।

বৃহস্পতিবার, ০৩ জুন ২০২১ , ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২১ শাওয়াল ১৪৪২

‘বঙ্গবন্ধুর ৪ খুনির মুক্তিযুদ্ধের খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত’

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত চার খুনির রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। দুই-চারদিনের মধ্যে গেজেট আকারে তা প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন আ ক ম মোজাম্মেল হক। গতকাল সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের এক সভায় তাদের খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে। এখন আমরা গেজেট আকারে প্রকাশ করব, প্রকাশ করলে আপনারা পাবেন। এর আগে আর কোন মন্তব্য করতে চাই না।’ তবে বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের বিষয়ে কিছু বলেননি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী।

জানা গেছে, খেতাব বাতিল হলে তারা এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য আর কোন রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা পাবেন না। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় দন্ডিত চার খুনির খেতাব স্থগিতের জন্য হাইকোর্ট একটি আদেশ দিয়েছিল গত বছরের শেষ দিকে। এরপর গত ফেব্রুয়ারিতে জামুকার বৈঠকে চারজনের খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয় চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য। ‘সংবিধান লঙ্ঘন, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের দেশত্যাগে সহায়তা এবং তাদের গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়নের’ কারণে সাবেক সামরিক শাসক ও বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধের ‘বীর উত্তম’ খেতাবও বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছিল জামুকার ওই সভায়।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, জিয়াউর রহমানসহ বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত চার খুনি ক্যাপ্টেন নূর চৌধুরী (বীর বিক্রম), মেজর শরিফুল হক ডালিম (বীর উত্তম), রাশেদ চৌধুরী (বীর প্রতীক) ও মোসলেহ উদ্দিন খান (বীর প্রতীক) মুক্তিযুদ্ধের অবদানের জন্য তাদের রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের বিষয়ে সুপারিশ করে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা)। এর পর জামুকার সদস্য সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী চট্টগ্রামের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান ও মুক্তিযোদ্ধা রশিদুল আলম। কমিটির সুপারিশ আলোকে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত চার খুনির খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে। তবে জিয়াউর রহমানের বিষয়ে কমিটির পক্ষ থেকে এখনও কোন প্রতিবেদন দেয়া হয়নি। এ বিষয়ে আইনগত দিক পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়া হবে বলে জামুকার কর্মকর্তারা জানান।