ভাসানচর রোহিঙ্গাদের কাছে কক্সবাজারের চেয়ে ভালো

জাতিসংঘ

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) দুই সহকারী হাইকমিশনার ভাসানচর পরিদর্শন শেষে ঢাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তারা বলেছেন, রোহিঙ্গাদের বসবাসের জন্য কক্সবাজারের চেয়ে ভাসানচর বেশ ভালো। ভাসানচর প্রকল্প বাস্তবায়নেরও প্রশংসা করেন তারা।

এর আগে গত ৩০ মে ঢাকায় আসেন ইউএনএইচসিআরের দুই সহকারী হাইকমিশনার রাউফ মাজাও এবং গিলিয়ান ট্রিগস। তারা গত ৩১ মে ভাসানচর পরিদর্শন করেন। গতকাল তারা রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন।

বৈঠক শেষে ইউএনএইচসিআরের সহকারী হাইকমিশনার রাউফ মাজাও সাংবাদিকদের বলেন, কক্সবাজারের তুলনায় ভাসানচর বেশ ভালো। সেখানে বাংলাদেশ সরকারের বিনিয়োগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং একটি চমৎকার প্রকল্প বাস্তবায়নের এ উদ্যোগ প্রশংসনীয়। এখন দরকার সেখানে রোহিঙ্গারা যাতে সম্মানের সঙ্গে অবস্থান করতে পারে, সেটি নিশ্চিত করা।

ভাসানচরের সঙ্গে জাতিসংঘ যুক্ত হচ্ছে কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। জাতিসংঘ সব সময়ই বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করছে। বিশেষ করে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় জাতিসংঘ বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। জাতিসংঘ কক্সবাজারসহ দেশের অন্য জায়গাগুলোতেও সরকারের সঙ্গে কাজ করবে।

রাউফ মাজাও আরও বলেন, ভাসানচর যেহেতু বিচ্ছিন্ন একটি দ্বীপের মতো, সে কারণে সেখানে দীর্ঘ অবস্থান এক ধরনের হতাশা তৈরি করতে পারে। এ জন্যই সেখানে অবস্থানরত রোহিঙ্গারা যেন বসে না থেকে অর্থনৈতিক কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। তবে ভাসানচর রোহিঙ্গাদের সাময়িক অবস্থান এবং চূড়ান্ত লক্ষ্য হচ্ছে তাদের নিজের দেশ মায়ানমারে ফেরত পাঠানো, যোগ করেন ইউএনএইচসিআরের এ সহকারী হাইকমিশনার।

বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেন, ইউএনএইচসিআরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা করেছি। তাদের জানানো হয়েছে, প্রায় চার বছর ধরে নিজেদের ঘর-বাড়ি ফেলে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আছেন। এ কারণে তাদের মধ্যে এক ধরনের হতাশা তৈরি হয়েছে। রোহিঙ্গাদের বিক্ষোভে সেই হতাশারই প্রতিফলন দেখা গেছে। এ জন্য জাতিসংঘের উচিত রাখাইনে বিভিন্ন প্রকল্পে জোর দেয়া এবং রোহিঙ্গাদের সেখানে ফেরত যেতে উৎসাহিত করা।

আরও খবর
দেশে টিকা উৎপাদনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে
গজারিয়ায় কয়লা নয়, সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প করবে আরপিসিএল
লন্ডন জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর স্বার্থ সমুন্নত করবে আশা প্রধানমন্ত্রীর
জলাবদ্ধতা নিরসনে ডিএসসিসি কর্মকর্তারা মাঠে থাকবে
৭ জুনের পর ফাইজারের টিকা প্রয়োগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত : স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
টিকটক : রাজশাহীতে ৯ জন গ্রেপ্তার বস রাফিসহ রিমান্ডে ৪
আশুলিয়ায় শিশুসহ দগ্ধ ৬
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খুলতে গেলে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ভূলুণ্ঠিত
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ হল-ক্যাম্পাস খুলে দেয়ার দাবি
বুদ্ধি প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণ, ধর্ষককে ভাগিয়ে দিল দুই ইউপি সদস্য

বৃহস্পতিবার, ০৩ জুন ২০২১ , ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২১ শাওয়াল ১৪৪২

ভাসানচর রোহিঙ্গাদের কাছে কক্সবাজারের চেয়ে ভালো

জাতিসংঘ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) দুই সহকারী হাইকমিশনার ভাসানচর পরিদর্শন শেষে ঢাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তারা বলেছেন, রোহিঙ্গাদের বসবাসের জন্য কক্সবাজারের চেয়ে ভাসানচর বেশ ভালো। ভাসানচর প্রকল্প বাস্তবায়নেরও প্রশংসা করেন তারা।

এর আগে গত ৩০ মে ঢাকায় আসেন ইউএনএইচসিআরের দুই সহকারী হাইকমিশনার রাউফ মাজাও এবং গিলিয়ান ট্রিগস। তারা গত ৩১ মে ভাসানচর পরিদর্শন করেন। গতকাল তারা রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন।

বৈঠক শেষে ইউএনএইচসিআরের সহকারী হাইকমিশনার রাউফ মাজাও সাংবাদিকদের বলেন, কক্সবাজারের তুলনায় ভাসানচর বেশ ভালো। সেখানে বাংলাদেশ সরকারের বিনিয়োগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং একটি চমৎকার প্রকল্প বাস্তবায়নের এ উদ্যোগ প্রশংসনীয়। এখন দরকার সেখানে রোহিঙ্গারা যাতে সম্মানের সঙ্গে অবস্থান করতে পারে, সেটি নিশ্চিত করা।

ভাসানচরের সঙ্গে জাতিসংঘ যুক্ত হচ্ছে কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। জাতিসংঘ সব সময়ই বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করছে। বিশেষ করে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় জাতিসংঘ বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। জাতিসংঘ কক্সবাজারসহ দেশের অন্য জায়গাগুলোতেও সরকারের সঙ্গে কাজ করবে।

রাউফ মাজাও আরও বলেন, ভাসানচর যেহেতু বিচ্ছিন্ন একটি দ্বীপের মতো, সে কারণে সেখানে দীর্ঘ অবস্থান এক ধরনের হতাশা তৈরি করতে পারে। এ জন্যই সেখানে অবস্থানরত রোহিঙ্গারা যেন বসে না থেকে অর্থনৈতিক কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। তবে ভাসানচর রোহিঙ্গাদের সাময়িক অবস্থান এবং চূড়ান্ত লক্ষ্য হচ্ছে তাদের নিজের দেশ মায়ানমারে ফেরত পাঠানো, যোগ করেন ইউএনএইচসিআরের এ সহকারী হাইকমিশনার।

বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেন, ইউএনএইচসিআরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা করেছি। তাদের জানানো হয়েছে, প্রায় চার বছর ধরে নিজেদের ঘর-বাড়ি ফেলে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আছেন। এ কারণে তাদের মধ্যে এক ধরনের হতাশা তৈরি হয়েছে। রোহিঙ্গাদের বিক্ষোভে সেই হতাশারই প্রতিফলন দেখা গেছে। এ জন্য জাতিসংঘের উচিত রাখাইনে বিভিন্ন প্রকল্পে জোর দেয়া এবং রোহিঙ্গাদের সেখানে ফেরত যেতে উৎসাহিত করা।