বুদ্ধি প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণ, ধর্ষককে ভাগিয়ে দিল দুই ইউপি সদস্য

টাঙ্গাইলের সখীপুরে মোস্তফা কামাল (৩৪) নামের এক দিনমজুরের বিরুদ্ধে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক যুবতীকে জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা ধর্ষককে আটক করলে মীমাংসার কথা বলে ধর্ষককে ছাড়িয়ে নিয়ে ভাগিয়ে দেন স্থানীয় দুই ইউপি সদস্য। গত ২৬ মে বুধবার বিকেলে সখীপুর উপজেলার হাতিবান্ধা ইউনিয়নের রতনপুর খন্দকারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষককে হাতছাড়া করে দিশেহারা প্রতিবন্ধী ও পরিবার। বিচারের দাবিতে এখন ঘুরছেন দ্বারে দ্বারে।

ধর্ষিতা ও তার পরিবার জানান, গত ২৬ মে বুধবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ওই তরুণী (২০) গরুর ঘাস কাটতে বাড়ির পাশে জঙ্গলের ধারে যান। এ সময় আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা যাদবপুর ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য শিউলী বেগমের বাড়ির ভাড়াটিয়া দিনমজুর ভুয়াপুর উপজেলার মোস্তফা কামাল (৩৪) তার মুখে গামছা বেঁধে জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করে।

এক পর্যায়ে মেয়েটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন দৌড়ে এসে মেয়েটিকে উদ্ধার এবং ধর্ষক মোস্তফাকে আটক করে উত্তম-মাধ্যম দেন। খবর পেয়ে নারী ইউপি সদস্য শিউলী বেগম ৬নং ওয়ার্ডের আরেক ইউপি সদস্য বছির উদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে ওই মেয়েটির বাড়ি ছুটে আসেন। বিষয়টি মীমাংসার কথা বলে ধর্ষক মোস্তফাকে বাসায় নিয়ে যান। পরদিন ২৭ মে থেকে ধর্ষক মোস্তফাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে দাবি করেন ওই দুই ইউপি সদস্য। বিচারের দাবি নিয়ে ধর্ষিতার পরিবার দফায় দফায় ওই দুই ইউপি সদস্যের কাছে গেলে ধর্ষককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে টালবাহানা চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে অসহায় ওই পরিবার ইউপি সদস্যদের ভয়ে থানায় মামলা করতেও সাহস পাচ্ছে না।

সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য শিউলী বেগম ও ৬নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য বছির উদ্দিন বলেন, আমরা দায়িত্ব নেইনি। মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে আমাদের মীমাংসার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। তবে ঘটনার পরদিন থেকে অভিযুক্ত মোস্তফাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না এবং তার ব্যবহৃত মুঠোফোনটিও বন্ধ রয়েছে। হাতিবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন বলেন, ঘটনাটি আমার ইউনিয়নের মধ্যে হলেও মীমাংসার দায়িত্ব নেয়া দুই ইউপি সদস্যই আমার পাশের যাদবপুর ইউনিয়নের। মেয়েটির পরিবারকে আইনি সহায়তা নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

ধর্ষিতা ও তার বাবা ধর্ষক মোস্তফাকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার এবং ওই ধর্ষককে যারা পালাতে সহায়তা করেছেন তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এ ব্যাপারে সখীপুর থানার ওসি একে সাইদুল হক ভূইয়া জানান, বিষয়টি আমাদের জানা নেই। অভিযোগ পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও খবর
দেশে টিকা উৎপাদনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে
গজারিয়ায় কয়লা নয়, সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প করবে আরপিসিএল
লন্ডন জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর স্বার্থ সমুন্নত করবে আশা প্রধানমন্ত্রীর
জলাবদ্ধতা নিরসনে ডিএসসিসি কর্মকর্তারা মাঠে থাকবে
৭ জুনের পর ফাইজারের টিকা প্রয়োগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত : স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
টিকটক : রাজশাহীতে ৯ জন গ্রেপ্তার বস রাফিসহ রিমান্ডে ৪
ভাসানচর রোহিঙ্গাদের কাছে কক্সবাজারের চেয়ে ভালো
আশুলিয়ায় শিশুসহ দগ্ধ ৬
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খুলতে গেলে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ভূলুণ্ঠিত
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ হল-ক্যাম্পাস খুলে দেয়ার দাবি

বৃহস্পতিবার, ০৩ জুন ২০২১ , ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২১ শাওয়াল ১৪৪২

টাঙ্গাইলের সখীপুরে

বুদ্ধি প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণ, ধর্ষককে ভাগিয়ে দিল দুই ইউপি সদস্য

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, টাঙ্গাইল

টাঙ্গাইলের সখীপুরে মোস্তফা কামাল (৩৪) নামের এক দিনমজুরের বিরুদ্ধে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক যুবতীকে জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা ধর্ষককে আটক করলে মীমাংসার কথা বলে ধর্ষককে ছাড়িয়ে নিয়ে ভাগিয়ে দেন স্থানীয় দুই ইউপি সদস্য। গত ২৬ মে বুধবার বিকেলে সখীপুর উপজেলার হাতিবান্ধা ইউনিয়নের রতনপুর খন্দকারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষককে হাতছাড়া করে দিশেহারা প্রতিবন্ধী ও পরিবার। বিচারের দাবিতে এখন ঘুরছেন দ্বারে দ্বারে।

ধর্ষিতা ও তার পরিবার জানান, গত ২৬ মে বুধবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ওই তরুণী (২০) গরুর ঘাস কাটতে বাড়ির পাশে জঙ্গলের ধারে যান। এ সময় আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা যাদবপুর ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য শিউলী বেগমের বাড়ির ভাড়াটিয়া দিনমজুর ভুয়াপুর উপজেলার মোস্তফা কামাল (৩৪) তার মুখে গামছা বেঁধে জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করে।

এক পর্যায়ে মেয়েটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন দৌড়ে এসে মেয়েটিকে উদ্ধার এবং ধর্ষক মোস্তফাকে আটক করে উত্তম-মাধ্যম দেন। খবর পেয়ে নারী ইউপি সদস্য শিউলী বেগম ৬নং ওয়ার্ডের আরেক ইউপি সদস্য বছির উদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে ওই মেয়েটির বাড়ি ছুটে আসেন। বিষয়টি মীমাংসার কথা বলে ধর্ষক মোস্তফাকে বাসায় নিয়ে যান। পরদিন ২৭ মে থেকে ধর্ষক মোস্তফাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে দাবি করেন ওই দুই ইউপি সদস্য। বিচারের দাবি নিয়ে ধর্ষিতার পরিবার দফায় দফায় ওই দুই ইউপি সদস্যের কাছে গেলে ধর্ষককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে টালবাহানা চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে অসহায় ওই পরিবার ইউপি সদস্যদের ভয়ে থানায় মামলা করতেও সাহস পাচ্ছে না।

সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য শিউলী বেগম ও ৬নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য বছির উদ্দিন বলেন, আমরা দায়িত্ব নেইনি। মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে আমাদের মীমাংসার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। তবে ঘটনার পরদিন থেকে অভিযুক্ত মোস্তফাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না এবং তার ব্যবহৃত মুঠোফোনটিও বন্ধ রয়েছে। হাতিবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন বলেন, ঘটনাটি আমার ইউনিয়নের মধ্যে হলেও মীমাংসার দায়িত্ব নেয়া দুই ইউপি সদস্যই আমার পাশের যাদবপুর ইউনিয়নের। মেয়েটির পরিবারকে আইনি সহায়তা নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

ধর্ষিতা ও তার বাবা ধর্ষক মোস্তফাকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার এবং ওই ধর্ষককে যারা পালাতে সহায়তা করেছেন তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এ ব্যাপারে সখীপুর থানার ওসি একে সাইদুল হক ভূইয়া জানান, বিষয়টি আমাদের জানা নেই। অভিযোগ পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।