চিঠিপত্র : জীবন মানেই সংগ্রাম

জীবন মানেই সংগ্রাম

পৃথিবীতে প্রতিটি মানুষ বেঁচে থাকে কোন না কোন স্বপ্ন, কোন না কোন আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে। আবার সে স্বপ্নের মাঝেও ভিন্নতা থাকে-কারো স্বপ্ন হয় ছোট, কারো স্বপ্ন হয় বড়, কারোটা সহজ-স্বাভাবিক, কারোটা আবার একটু ব্যতিক্রমধর্মী কিন্তু সবটাই কিন্তু মানুষেরই আকাক্সক্ষা আর এই স্বপ্ন দেখার সার্থকতা তখনই আসে যখন তা বাস্তবে রূপ লাভ করে। মানুষের চাওয়াগুলো পাওয়াতে পরিণত হওয়ার মধ্যেই কিন্তু তৃপ্তি।

পৃথিবীতে কোন কিছুই কঠিন না, শুধু সময় ও শ্রমসাপেক্ষ। আর এই সময়কে পাড়ি দেয়ার জন্য প্রয়োজন ধৈর্যের, আর শ্রম? সেটাই তো প্রতিটি কঠিন কে সহজে রূপান্তরের হাতিয়ার। যেখানে বেঁচে থাকার তাগিদে মানুষকে প্রতিটি মুহূর্ত সংগ্রাম করতে হয় সেখানে মানুষের মনে বেঁধে রাখা স্বপ্ন, আশা-আকাঙ্ক্ষাগুলো এত সহজে, বাধাহীনভাবে পূরণ হয়ে যাবে এটা ভাবা নিতান্তই বোকামি। সুতরাং জীবনে যে কোন কিছু পেতে হলে করতে হবে সংগ্রাম, সংগ্রাম এবং সংগ্রাম।

ব্যর্থতাকে শিক্ষা হিসেবে নিয়ে সেখান থেকেই নতুন করে এগিয়ে যেতে হবে কিন্তু কোন ভাবেই থেমে থাকা যাবে না, হাল ছেড়ে দেয়া যাবে না, ব্যর্থতাকে ভয় পাওয়া যাবে না কারণ জীবন মানেই সংগ্রামে পরিপূর্ণ আর সফলতা, সে তো সংগ্রামীদেরই জন্য।

আতিয়া ফাইরুজ ঐশী,

বনভূমির সুরক্ষা

জলবায়ুজনিত ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ অন্যতম। জাতিসংঘের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রত্যেক রাষ্ট্রের মোট আয়তনের ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা প্রয়োজন, তার মধ্যে বাংলাদেশের আছে ১৫ শতাংশেরও কম। বনভূমি বেদখল ও প্রকৃতির ওপর ধবংসাত্মক তৎপরতায় এ হার আরও কমতে শুরু করছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রভাবশালী অসাধু চক্র সরকারি খাসজমি ব্যক্তি মালিকানায় নিয়ে বন উজাড় ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করছে। বনভূমি পরিমাণ কমে যাওয়ায় বন্যপ্রাণীরা মানুষের সংস্পর্শে এসে ছড়াচ্ছে রোগ জীবাণু, নষ্ট করছে ফসলি জমি ও বসত বাড়ি। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মানুষের জীবন ও জীবিকা। চলমান করোনা মহামারি আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে প্রকৃতির ওপর হস্তক্ষেপের ফলে কতটা বিপর্যয় সৃষ্টি হতে পারে। কিন্তু এই দুর্দিনেও বন্ধ হয়নি প্রকৃতি ধ্বংসের খেলা। পরিবেশের ভারসাম্যহীনতার কারণে বৃদ্ধি পাচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন জনিত বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, খরা, জলোচ্ছ্বাস, নদী ভাঙন, জলাবদ্ধতাসহ নানার প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এসব দুর্যোগ মোকাবিলা ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে বনভূমির সুরক্ষা ও দখলকৃত ভূমি পুনরুদ্ধার করা জরুরি। বনবিভাগ ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে সংকট নিরসনে জনসচেতনতা সৃষ্টি ও কার্যকর আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

মাহফুজুর রহমান

শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

সড়ক দুর্ঘটনা

সড়ক দুর্ঘটনা আজকাল আমাদের দেশে নিত্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিন খবরের কাগজ খুললেই চোখে পড়ে সড়ক দুর্ঘটনার মতো ভয়াবহ খবর। এসব দুর্ঘটনা কত মানুষের জীবন থেকে কেড়ে নিচ্ছে প্রাণের উচ্ছ্বাস। কত না মা, বাবার বুক খালি হচ্ছে। দুর্ঘটনার কবলে পড়ে সোনার ছেলে ঘর থেকে বেরিয়ে ফিরছে লাশ হয়ে। আমরা একটু সতর্ক হলেই সড়ক দুর্ঘটনার মতো অস্বাভাবিক মৃত্যু এড়াতে পারি। সাধারণত আমাদের দেশে দুর্ঘটনাগুলো বিশেষ কয়েকটি কারণে হয়ে থাকে। ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, অনভিজ্ঞ ড্রাইভার, ড্রাইভারদের প্রতিযোগিতামূলক মনমানসিকতা এবং অনেক সময় অতিরিক্ত আয়ের লোভে ধারণ ক্ষমতার বেশী যাত্রী বহনও দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে দরকার সতর্কতা পাশাপাশি আইনের কঠোর প্রয়োগ।

রাজু আহম্মেদ

নাটোর।

আরও খবর

বৃহস্পতিবার, ০৩ জুন ২০২১ , ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২১ শাওয়াল ১৪৪২

চিঠিপত্র : জীবন মানেই সংগ্রাম

জীবন মানেই সংগ্রাম

পৃথিবীতে প্রতিটি মানুষ বেঁচে থাকে কোন না কোন স্বপ্ন, কোন না কোন আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে। আবার সে স্বপ্নের মাঝেও ভিন্নতা থাকে-কারো স্বপ্ন হয় ছোট, কারো স্বপ্ন হয় বড়, কারোটা সহজ-স্বাভাবিক, কারোটা আবার একটু ব্যতিক্রমধর্মী কিন্তু সবটাই কিন্তু মানুষেরই আকাক্সক্ষা আর এই স্বপ্ন দেখার সার্থকতা তখনই আসে যখন তা বাস্তবে রূপ লাভ করে। মানুষের চাওয়াগুলো পাওয়াতে পরিণত হওয়ার মধ্যেই কিন্তু তৃপ্তি।

পৃথিবীতে কোন কিছুই কঠিন না, শুধু সময় ও শ্রমসাপেক্ষ। আর এই সময়কে পাড়ি দেয়ার জন্য প্রয়োজন ধৈর্যের, আর শ্রম? সেটাই তো প্রতিটি কঠিন কে সহজে রূপান্তরের হাতিয়ার। যেখানে বেঁচে থাকার তাগিদে মানুষকে প্রতিটি মুহূর্ত সংগ্রাম করতে হয় সেখানে মানুষের মনে বেঁধে রাখা স্বপ্ন, আশা-আকাঙ্ক্ষাগুলো এত সহজে, বাধাহীনভাবে পূরণ হয়ে যাবে এটা ভাবা নিতান্তই বোকামি। সুতরাং জীবনে যে কোন কিছু পেতে হলে করতে হবে সংগ্রাম, সংগ্রাম এবং সংগ্রাম।

ব্যর্থতাকে শিক্ষা হিসেবে নিয়ে সেখান থেকেই নতুন করে এগিয়ে যেতে হবে কিন্তু কোন ভাবেই থেমে থাকা যাবে না, হাল ছেড়ে দেয়া যাবে না, ব্যর্থতাকে ভয় পাওয়া যাবে না কারণ জীবন মানেই সংগ্রামে পরিপূর্ণ আর সফলতা, সে তো সংগ্রামীদেরই জন্য।

আতিয়া ফাইরুজ ঐশী,

বনভূমির সুরক্ষা

জলবায়ুজনিত ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ অন্যতম। জাতিসংঘের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রত্যেক রাষ্ট্রের মোট আয়তনের ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা প্রয়োজন, তার মধ্যে বাংলাদেশের আছে ১৫ শতাংশেরও কম। বনভূমি বেদখল ও প্রকৃতির ওপর ধবংসাত্মক তৎপরতায় এ হার আরও কমতে শুরু করছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রভাবশালী অসাধু চক্র সরকারি খাসজমি ব্যক্তি মালিকানায় নিয়ে বন উজাড় ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করছে। বনভূমি পরিমাণ কমে যাওয়ায় বন্যপ্রাণীরা মানুষের সংস্পর্শে এসে ছড়াচ্ছে রোগ জীবাণু, নষ্ট করছে ফসলি জমি ও বসত বাড়ি। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মানুষের জীবন ও জীবিকা। চলমান করোনা মহামারি আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে প্রকৃতির ওপর হস্তক্ষেপের ফলে কতটা বিপর্যয় সৃষ্টি হতে পারে। কিন্তু এই দুর্দিনেও বন্ধ হয়নি প্রকৃতি ধ্বংসের খেলা। পরিবেশের ভারসাম্যহীনতার কারণে বৃদ্ধি পাচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন জনিত বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, খরা, জলোচ্ছ্বাস, নদী ভাঙন, জলাবদ্ধতাসহ নানার প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এসব দুর্যোগ মোকাবিলা ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে বনভূমির সুরক্ষা ও দখলকৃত ভূমি পুনরুদ্ধার করা জরুরি। বনবিভাগ ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে সংকট নিরসনে জনসচেতনতা সৃষ্টি ও কার্যকর আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

মাহফুজুর রহমান

শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

সড়ক দুর্ঘটনা

সড়ক দুর্ঘটনা আজকাল আমাদের দেশে নিত্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিন খবরের কাগজ খুললেই চোখে পড়ে সড়ক দুর্ঘটনার মতো ভয়াবহ খবর। এসব দুর্ঘটনা কত মানুষের জীবন থেকে কেড়ে নিচ্ছে প্রাণের উচ্ছ্বাস। কত না মা, বাবার বুক খালি হচ্ছে। দুর্ঘটনার কবলে পড়ে সোনার ছেলে ঘর থেকে বেরিয়ে ফিরছে লাশ হয়ে। আমরা একটু সতর্ক হলেই সড়ক দুর্ঘটনার মতো অস্বাভাবিক মৃত্যু এড়াতে পারি। সাধারণত আমাদের দেশে দুর্ঘটনাগুলো বিশেষ কয়েকটি কারণে হয়ে থাকে। ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, অনভিজ্ঞ ড্রাইভার, ড্রাইভারদের প্রতিযোগিতামূলক মনমানসিকতা এবং অনেক সময় অতিরিক্ত আয়ের লোভে ধারণ ক্ষমতার বেশী যাত্রী বহনও দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে দরকার সতর্কতা পাশাপাশি আইনের কঠোর প্রয়োগ।

রাজু আহম্মেদ

নাটোর।