যেসব জিনিসের দাম বাড়লো-কমলো

বাড়লো

প্রস্তাবিত ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে কিছু পণ্যে আয়কর, শুল্ক, ভ্যাট অথবা সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। ফলে মদ, সিগারেট, গুল, জর্দা, প্রসাধনী, বিদেশি ফল, জুস, স্যানিটারি টেবিলওয়্যার, কিচেন ওয়্যার, বিদেশি টাইলস, আমদানিকৃত মোবাইল ফোন, মাশরুম, আমদানিকৃত মাংস, মিষ্টিজাত কনফেকশনারি, গাড়ির সুরক্ষা কাঁচ, বার ও রড, ৭৫০ ওয়াটের বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন মোটর, খনিজ তেল, সাবান, কার্নিভাল/এন্টারটেইনমেন্ট আর্টিকেলস, ইন্ডাস্ট্রিয়াল সল্ট, আমদানিকৃত লোহার তার ও রাইস ব্র্যান অয়েলের দাম বাড়তে পারে।

মদ-বিয়ার : বর্তমানে মদ আমদানিতে অন্য শুল্কের সঙ্গে ৫ শতাংশ অগ্রিম কর নেয়া হয়। নতুন বাজেটে এটা বাড়িয়ে ২০ শতাংশ আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।

ফল : এখন ফল আমদানিতে ৫ শতাংশ অগ্রিম কর দিতে হয়। এবারের বাজেটে এটি বাড়িয়ে ২০ শতাংশ আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে আমদানি করা ফলের দাম বাড়তে পারে।

প্রসাধনী : প্রসাধনী আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে এসব পণ্যের দাম বাড়বে।

সিগারেট, গুল ও জর্দা : অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ফলে সিগারেটসহ তামাকজাত পণ্য গুল, জর্দার দাম বাড়তে পারে।

জুস : নতুন বাজেটে আমদানি করা জুসের ওপর বাড়তি সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে এ পণ্যের দাম বাড়তে পারে।

বিদেশি টাইলস : আমদানি করা টাইলসের ওপর বাড়তি সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। ফলে এই পণ্যের দাম বেড়ে যেতে পারে।

কিচেনওয়্যার : কিচেনওয়্যার পণ্য আমদানিতে বাড়তি ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করায় এ পণ্যের দাম বাড়তে পারে।

কমলো

২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কৃষি যন্ত্রপাতি যেমন ইউডার (নিড়ানি) ও উইনোয়ারের (ঝাড়াইকল) উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ের ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে থ্রেসার মেশিন, পাওয়ার রিপার, পাওয়ার টিলার, অপারেটেড সিডার, কম্বাইন হারভেস্টার, রোটারি টিলার, নিড়ানি ও ঝাড়াইকলের আমদানি পর্যায়ের আগাম কর অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। ফলে এসব পণ্যের দাম কমতে পারে।

স্পিনিং মিলে ব্যবহৃত পেপার কোনের ওপর বিদ্যমান মূল্য সংযোজন কর ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ব্যবসায়ী পর্যায়ে ফলের ওপর ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে। স্টেইনলেস স্টিল, পোল্ট্রি খাবারের উপকরণেও ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে।

উৎপাদন পর্যায়ে মুড়ির ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তাই প্যাকেটজাত মুড়ির দাম কমতে পারে। সিসিভেদে মাইক্রোবাস আমদানিতে শুল্ক কমানো হয়েছে। তাই মাইক্রোবাসের দাম কমতে পারে। হাইব্রিড গাড়ির সম্পূরক শুল্ক কমানো হয়েছে। তাই জ্বালানিবান্ধব গাড়ির দাম কমতে পারে। এছাড়া স্থানীয়ভাবে তৈরি কম্পিউটার, ল্যাপটপ, নোটবুক, নোটপ্যাড, ট্যাব, মাউস, মাদারবোর্ড, পাওয়ার ব্যাংক, রাউটার, নেটওয়ার্ক সুইচ, নেটওয়ার্ক ডিভাইস/হাব, স্পিকার, সাউন্ড সিস্টেম, ইয়ার ফোন, হেডফোন, পেনড্রাইভ, মাউক্রো এসডি কার্ড, ফ্ল্যাশ মেমরি কার্ড, সিসিটিভি, মনিটর, প্রজেক্টর, ইউএসবি ক্যাবল, ডেটা ক্যাবলের দাম কমতে পারে।

গ্রামাঞ্চলে মানুষের স্যানিটেশন সুবিধা আরও সুলভ করার লক্ষ্যে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ‘লং প্যান’-এর ওপর থেকে ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে অটিজম সেবার কার্যক্রমের ওপর ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত স্যানিটারি ন্যাপকিনের ওপর প্রযোজ্য সমুদয় ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি স্যানিটারি ন্যাপকিন ও ডায়াপার উৎপাদনের লক্ষ্যে কতিপয় কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে বিদ্যমান ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা দুই বছর বাড়ানো হয়েছে।

এছাড়া স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ব্লেন্ডার, জুসার, মিক্সার, গ্রাইন্ডার, ইলেক্ট্রিক কেটলি, রাইস কুকার, মাল্টি কুকার, প্রেসার কুকারের স্থানীয় উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এতে এসব পণ্যের দাম কমতে পারে। ওয়াশিং মেশিন, মাইক্রোওয়েভ ওভেন ও ইলেক্ট্রিক ওভেনের উৎপাদন পর্যায়ের ভ্যাট

অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। ফলে এসব পণ্যের দামও কমতে পারে।

শুক্রবার, ০৪ জুন ২০২১ , ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২২ শাওয়াল ১৪৪২

যেসব জিনিসের দাম বাড়লো-কমলো

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

বাড়লো

প্রস্তাবিত ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে কিছু পণ্যে আয়কর, শুল্ক, ভ্যাট অথবা সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। ফলে মদ, সিগারেট, গুল, জর্দা, প্রসাধনী, বিদেশি ফল, জুস, স্যানিটারি টেবিলওয়্যার, কিচেন ওয়্যার, বিদেশি টাইলস, আমদানিকৃত মোবাইল ফোন, মাশরুম, আমদানিকৃত মাংস, মিষ্টিজাত কনফেকশনারি, গাড়ির সুরক্ষা কাঁচ, বার ও রড, ৭৫০ ওয়াটের বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন মোটর, খনিজ তেল, সাবান, কার্নিভাল/এন্টারটেইনমেন্ট আর্টিকেলস, ইন্ডাস্ট্রিয়াল সল্ট, আমদানিকৃত লোহার তার ও রাইস ব্র্যান অয়েলের দাম বাড়তে পারে।

মদ-বিয়ার : বর্তমানে মদ আমদানিতে অন্য শুল্কের সঙ্গে ৫ শতাংশ অগ্রিম কর নেয়া হয়। নতুন বাজেটে এটা বাড়িয়ে ২০ শতাংশ আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।

ফল : এখন ফল আমদানিতে ৫ শতাংশ অগ্রিম কর দিতে হয়। এবারের বাজেটে এটি বাড়িয়ে ২০ শতাংশ আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে আমদানি করা ফলের দাম বাড়তে পারে।

প্রসাধনী : প্রসাধনী আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে এসব পণ্যের দাম বাড়বে।

সিগারেট, গুল ও জর্দা : অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ফলে সিগারেটসহ তামাকজাত পণ্য গুল, জর্দার দাম বাড়তে পারে।

জুস : নতুন বাজেটে আমদানি করা জুসের ওপর বাড়তি সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে এ পণ্যের দাম বাড়তে পারে।

বিদেশি টাইলস : আমদানি করা টাইলসের ওপর বাড়তি সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। ফলে এই পণ্যের দাম বেড়ে যেতে পারে।

কিচেনওয়্যার : কিচেনওয়্যার পণ্য আমদানিতে বাড়তি ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করায় এ পণ্যের দাম বাড়তে পারে।

কমলো

২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কৃষি যন্ত্রপাতি যেমন ইউডার (নিড়ানি) ও উইনোয়ারের (ঝাড়াইকল) উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ের ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে থ্রেসার মেশিন, পাওয়ার রিপার, পাওয়ার টিলার, অপারেটেড সিডার, কম্বাইন হারভেস্টার, রোটারি টিলার, নিড়ানি ও ঝাড়াইকলের আমদানি পর্যায়ের আগাম কর অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। ফলে এসব পণ্যের দাম কমতে পারে।

স্পিনিং মিলে ব্যবহৃত পেপার কোনের ওপর বিদ্যমান মূল্য সংযোজন কর ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ব্যবসায়ী পর্যায়ে ফলের ওপর ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে। স্টেইনলেস স্টিল, পোল্ট্রি খাবারের উপকরণেও ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে।

উৎপাদন পর্যায়ে মুড়ির ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তাই প্যাকেটজাত মুড়ির দাম কমতে পারে। সিসিভেদে মাইক্রোবাস আমদানিতে শুল্ক কমানো হয়েছে। তাই মাইক্রোবাসের দাম কমতে পারে। হাইব্রিড গাড়ির সম্পূরক শুল্ক কমানো হয়েছে। তাই জ্বালানিবান্ধব গাড়ির দাম কমতে পারে। এছাড়া স্থানীয়ভাবে তৈরি কম্পিউটার, ল্যাপটপ, নোটবুক, নোটপ্যাড, ট্যাব, মাউস, মাদারবোর্ড, পাওয়ার ব্যাংক, রাউটার, নেটওয়ার্ক সুইচ, নেটওয়ার্ক ডিভাইস/হাব, স্পিকার, সাউন্ড সিস্টেম, ইয়ার ফোন, হেডফোন, পেনড্রাইভ, মাউক্রো এসডি কার্ড, ফ্ল্যাশ মেমরি কার্ড, সিসিটিভি, মনিটর, প্রজেক্টর, ইউএসবি ক্যাবল, ডেটা ক্যাবলের দাম কমতে পারে।

গ্রামাঞ্চলে মানুষের স্যানিটেশন সুবিধা আরও সুলভ করার লক্ষ্যে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ‘লং প্যান’-এর ওপর থেকে ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে অটিজম সেবার কার্যক্রমের ওপর ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত স্যানিটারি ন্যাপকিনের ওপর প্রযোজ্য সমুদয় ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি স্যানিটারি ন্যাপকিন ও ডায়াপার উৎপাদনের লক্ষ্যে কতিপয় কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে বিদ্যমান ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা দুই বছর বাড়ানো হয়েছে।

এছাড়া স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ব্লেন্ডার, জুসার, মিক্সার, গ্রাইন্ডার, ইলেক্ট্রিক কেটলি, রাইস কুকার, মাল্টি কুকার, প্রেসার কুকারের স্থানীয় উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এতে এসব পণ্যের দাম কমতে পারে। ওয়াশিং মেশিন, মাইক্রোওয়েভ ওভেন ও ইলেক্ট্রিক ওভেনের উৎপাদন পর্যায়ের ভ্যাট

অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। ফলে এসব পণ্যের দামও কমতে পারে।