ন্যাপ
লুটপাট বন্ধ না হলে বাজেটের কাক্সিক্ষত ফল পাওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া। গতকাল বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ার নেতৃদ্বয় এ মন্তব্য করেন।
নেতৃদ্বয় বলেন, করোনা দুর্যোগের মধ্যে সরকারের প্রস্তাবিত বিশাল ঘাটতি ও ঋণনির্ভর বাজেটে জনদুর্ভোগ আরও বাড়বে, দুর্নীতিবাজ ও লুটেরা শ্রেণীর স্বার্থ রক্ষা হবে। করোনাকালে প্রস্তাবিত বাজেটে গণমানুষের স্বার্থ রক্ষার বিষয়টি অনেকটাই অবহেলিত। বাজেট বাস্তবায়নে সর্বস্তরে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে বরাদ্দকৃত অর্থ হরিলুট, দুর্নীতি, অপচয় রোধ করতে না পারলে কাক্সিক্ষত সুফল পাওয়া যাবে না। তারা বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট বিশাল অঙ্কের ঋণনির্ভর। এই বাজেট সাধারণ মানুষের কল্যাণের কথা চিন্তা করা হয়নি। এই বাজেটে দুই পদ্ধতিতে ভ্যাট আরোপ হতে যাচ্ছে। যা শাঁখের করাতের মতো অবস্থা। বরাবরের মতো নতুন অর্থবছরের বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক নয়। এর মাধ্যমে আসলে লুটেরা ও দুর্নীতিবাজদের স্বার্থই বারবার রক্ষা করা হচ্ছে। ফলে দুর্নীতিবাজরা উৎসাহী হয়। সরকারের উচিত এই প্রস্তাব বাতিল করা।
তারা বলেন, ‘অতীতের অভিজ্ঞতা বলছে- এই বাজেট কল্পনাবিলাসী ও লুটপাট সহায়ক বাজেট। বাজেটের টাকা কোত্থেকে আসবে। বিদেশি ব্যাংক, দাতাগোষ্ঠী নাকি দেশীয় কোন ব্যাংক থেকে কিন্তু এই অর্থের চাপ পড়বে সাধারণ মানুষের ওপর। করোনাকালে সাধারণ মানুষ সর্বস্বান্ত হয়ে পড়ছে। এই বাজেটে এর মাত্রাকে ছাড়িয়ে যাবে। ভাল বাজেট সেটাই, যেই বাজেটে সাধারণ মানুষের কথা ভাবা হয়।
শুক্রবার, ০৪ জুন ২০২১ , ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২২ শাওয়াল ১৪৪২
ন্যাপ
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
লুটপাট বন্ধ না হলে বাজেটের কাক্সিক্ষত ফল পাওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া। গতকাল বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ার নেতৃদ্বয় এ মন্তব্য করেন।
নেতৃদ্বয় বলেন, করোনা দুর্যোগের মধ্যে সরকারের প্রস্তাবিত বিশাল ঘাটতি ও ঋণনির্ভর বাজেটে জনদুর্ভোগ আরও বাড়বে, দুর্নীতিবাজ ও লুটেরা শ্রেণীর স্বার্থ রক্ষা হবে। করোনাকালে প্রস্তাবিত বাজেটে গণমানুষের স্বার্থ রক্ষার বিষয়টি অনেকটাই অবহেলিত। বাজেট বাস্তবায়নে সর্বস্তরে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে বরাদ্দকৃত অর্থ হরিলুট, দুর্নীতি, অপচয় রোধ করতে না পারলে কাক্সিক্ষত সুফল পাওয়া যাবে না। তারা বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট বিশাল অঙ্কের ঋণনির্ভর। এই বাজেট সাধারণ মানুষের কল্যাণের কথা চিন্তা করা হয়নি। এই বাজেটে দুই পদ্ধতিতে ভ্যাট আরোপ হতে যাচ্ছে। যা শাঁখের করাতের মতো অবস্থা। বরাবরের মতো নতুন অর্থবছরের বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক নয়। এর মাধ্যমে আসলে লুটেরা ও দুর্নীতিবাজদের স্বার্থই বারবার রক্ষা করা হচ্ছে। ফলে দুর্নীতিবাজরা উৎসাহী হয়। সরকারের উচিত এই প্রস্তাব বাতিল করা।
তারা বলেন, ‘অতীতের অভিজ্ঞতা বলছে- এই বাজেট কল্পনাবিলাসী ও লুটপাট সহায়ক বাজেট। বাজেটের টাকা কোত্থেকে আসবে। বিদেশি ব্যাংক, দাতাগোষ্ঠী নাকি দেশীয় কোন ব্যাংক থেকে কিন্তু এই অর্থের চাপ পড়বে সাধারণ মানুষের ওপর। করোনাকালে সাধারণ মানুষ সর্বস্বান্ত হয়ে পড়ছে। এই বাজেটে এর মাত্রাকে ছাড়িয়ে যাবে। ভাল বাজেট সেটাই, যেই বাজেটে সাধারণ মানুষের কথা ভাবা হয়।