রাজধানীর কলাবাগানে গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক সাবিরা রহমান লিপির মৃত্যুর ঘটনায় গতকাল পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধারের ৩৫ ঘণ্টা পর গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। নিহত ডা. সাবিরার মামাতো ভাই রেজাউল হাসান জুয়েল বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলার বাদী ওই বাসার সাবলেটে থাকা মডেল কানিজ সুবর্ণাকে সন্দেহ করেছে। কানিজ এবং এক থেকে দুইজন মিলে লিপিকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে বলে মামলার এজাহারে বাদী অভিযোগ করেছেন। মামলায় অন্য সাবলেটে থাকা নূরজাহানকে বাদী সন্দেহ করেননি। কারণ তিনি ঘটনার দিন ছিলেন না। তিনি ঈদে গ্রামের বাড়ি গিয়ে আর আসতে পারেননি।
পুলিশ সূত্র জানায়, কানিজ ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি থেকে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন। তিনি মডেলিংয়ের পাশাপাশি দারাজ অনলাইনে কাজ করেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে কানিজ লিপির ভাড়া বাসায় সাবলেটে উঠেছিলেন। তিনি এখন ঢাকা মহানগর ডিবি পুলিশের হেফাজতে আছেন। তবে মামলার তদন্তকারীরা জানিয়েছেন যে, ওই হত্যাকা-ের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। তবে ওই বাসায় দীর্ঘদিন থাকার কারণে ডা. লিপির বাসায় কে যাতায়াত করতেন তিনি তা জানতেন। তবে রোববার রাত ১০টার দিকে লিপির কাছে কে এসেছিলেন তা কানিজ তাকে দেখেনি বলে দাবি করেছেন। পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটককৃতরা এ খুনের সঙ্গে জড়িত নয় বলে বার বার দাবি করেছেন। তদন্তকারীরা হত্যাকারীকে চিহ্নিত করার জন্য বাসার দরজার ফিঙ্গার প্রিন্ট সংগ্রহ করেছে। এছাড়াও ভিকটিমের বাসা থেকে ৬ বাসা পর যে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ জব্দ করেছিল ডিবি পুলিশ সে ফুটেজ থেকে খুনিকে চিহ্নিত করা যায়নি।
গত সোমবার কলাবাগানের ফার্স্ট লেনের ৫০/১ ভাড়া বাসা থেকে গ্রীন লাইফ হাসপাতালের কনসালটেন্ট (সনোলজিস্ট) চিকিৎসক কাজী সাবিরা রহমান লিপির (৪৮) রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রথমে ওই বাসায় আগুনের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যান। পরে ফায়ার কর্মীরা সাবিরার শরীরে রক্তাক্ত চিহ্ন দেখে বুঝতে পারেন যে এটি একটি খুন। এ ব্যাপারে কলাবাগান থানার ওসি পরিতোষ চন্দ্র বলেন, আমরা তদন্তের মাধ্যমে খুনিকে চিহ্নিতের চেষ্টা করছি।’ মামলার বাদী সাবলেটে থাকা কানিজকে কেন সন্দেহ করল জানতে চাইলে জানান, ‘মামলার বাদী যে কাউকে সন্দেহ করতে পারে। তাই বলে এই নয় যে, তিনি খুনি। আমরা খুনিকে শনাক্তের চেষ্টা করছি।’ মামলার তদন্তকারী ও ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, লিপি হত্যাকা-ের শিকার হয়েছেন এ বিষয়টি পুলিশ নিশ্চিত হয়েই মামলার তদন্ত করছে। থানা পুলিশসহ ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। রোববার রাত ১০টার দিকে লিপি হাসপাতালের ডিউটি শেষে বাসায় এসে কারও সঙ্গে কথা বলে নিজ শয়ন কক্ষে চলে যান। তদন্তকারীদের ধারণা যে, রাত ১০টার পর যে কোন সময় তিনি নৃশংস হত্যাকা-ের শিকার হয়েছেন।
শুক্রবার, ০৪ জুন ২০২১ , ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২২ শাওয়াল ১৪৪২
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
রাজধানীর কলাবাগানে গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক সাবিরা রহমান লিপির মৃত্যুর ঘটনায় গতকাল পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধারের ৩৫ ঘণ্টা পর গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। নিহত ডা. সাবিরার মামাতো ভাই রেজাউল হাসান জুয়েল বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলার বাদী ওই বাসার সাবলেটে থাকা মডেল কানিজ সুবর্ণাকে সন্দেহ করেছে। কানিজ এবং এক থেকে দুইজন মিলে লিপিকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে বলে মামলার এজাহারে বাদী অভিযোগ করেছেন। মামলায় অন্য সাবলেটে থাকা নূরজাহানকে বাদী সন্দেহ করেননি। কারণ তিনি ঘটনার দিন ছিলেন না। তিনি ঈদে গ্রামের বাড়ি গিয়ে আর আসতে পারেননি।
পুলিশ সূত্র জানায়, কানিজ ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি থেকে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন। তিনি মডেলিংয়ের পাশাপাশি দারাজ অনলাইনে কাজ করেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে কানিজ লিপির ভাড়া বাসায় সাবলেটে উঠেছিলেন। তিনি এখন ঢাকা মহানগর ডিবি পুলিশের হেফাজতে আছেন। তবে মামলার তদন্তকারীরা জানিয়েছেন যে, ওই হত্যাকা-ের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। তবে ওই বাসায় দীর্ঘদিন থাকার কারণে ডা. লিপির বাসায় কে যাতায়াত করতেন তিনি তা জানতেন। তবে রোববার রাত ১০টার দিকে লিপির কাছে কে এসেছিলেন তা কানিজ তাকে দেখেনি বলে দাবি করেছেন। পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটককৃতরা এ খুনের সঙ্গে জড়িত নয় বলে বার বার দাবি করেছেন। তদন্তকারীরা হত্যাকারীকে চিহ্নিত করার জন্য বাসার দরজার ফিঙ্গার প্রিন্ট সংগ্রহ করেছে। এছাড়াও ভিকটিমের বাসা থেকে ৬ বাসা পর যে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ জব্দ করেছিল ডিবি পুলিশ সে ফুটেজ থেকে খুনিকে চিহ্নিত করা যায়নি।
গত সোমবার কলাবাগানের ফার্স্ট লেনের ৫০/১ ভাড়া বাসা থেকে গ্রীন লাইফ হাসপাতালের কনসালটেন্ট (সনোলজিস্ট) চিকিৎসক কাজী সাবিরা রহমান লিপির (৪৮) রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রথমে ওই বাসায় আগুনের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যান। পরে ফায়ার কর্মীরা সাবিরার শরীরে রক্তাক্ত চিহ্ন দেখে বুঝতে পারেন যে এটি একটি খুন। এ ব্যাপারে কলাবাগান থানার ওসি পরিতোষ চন্দ্র বলেন, আমরা তদন্তের মাধ্যমে খুনিকে চিহ্নিতের চেষ্টা করছি।’ মামলার বাদী সাবলেটে থাকা কানিজকে কেন সন্দেহ করল জানতে চাইলে জানান, ‘মামলার বাদী যে কাউকে সন্দেহ করতে পারে। তাই বলে এই নয় যে, তিনি খুনি। আমরা খুনিকে শনাক্তের চেষ্টা করছি।’ মামলার তদন্তকারী ও ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, লিপি হত্যাকা-ের শিকার হয়েছেন এ বিষয়টি পুলিশ নিশ্চিত হয়েই মামলার তদন্ত করছে। থানা পুলিশসহ ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। রোববার রাত ১০টার দিকে লিপি হাসপাতালের ডিউটি শেষে বাসায় এসে কারও সঙ্গে কথা বলে নিজ শয়ন কক্ষে চলে যান। তদন্তকারীদের ধারণা যে, রাত ১০টার পর যে কোন সময় তিনি নৃশংস হত্যাকা-ের শিকার হয়েছেন।