চীনা কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা বাড়ালো যুক্তরাষ্ট্র

চীন ইস্যুতে পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের পথেই হাঁটলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। নিরাপত্তার জন্য হুমকির অজুহাত এনে চীনের কয়েক ডজন চীনা প্রতিষ্ঠানে মার্কিন বিনিয়োগ নিষিদ্ধ করেছেন বর্তমান মার্কিন এই প্রেসিডেন্ট। বিবিসি

নতুন করে চীনের ২৮টি প্রযুক্তি ও প্রতিরক্ষা বিষয়ক প্রতিষ্ঠানকে মার্কিন বিনিয়োগ নিষেধাজ্ঞার আওতায় এনেছেন জো বাইডেন। এর ফলে ট্রাম্পের আরোপিত ৩১টি চীনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাইডেনের ঘোষিত ২৮টি অর্থাৎ মোট ৫৯টি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ নিষিদ্ধ করা হলো। আগামী ২ আগস্ট থেকে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। নিয়মিতভাবে এই কোম্পানির তালিকা নবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগেই যুক্তরাষ্ট্রের নতুন পদক্ষেপের প্রতিশোধ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন। তিনি বলেন, চীন ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশে থাকবে এবং তাদের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষায় আইনগত সহায়তা দেবে।

সর্বশেষ এ নিষেধাজ্ঞার ফলে তালিকায় স্থান পাওয়া চীনা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কোনো ধরনের প্রযুক্তি কিংবা প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ক্রয়-বিক্রয় বা বিনিয়োগ করতে পারবেন না মার্কিন নাগরিকরা। এর আগে প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালনের সময় বেশ কয়েক ডজন চীনা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মার্কিন বিনিয়োগ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সর্বশেষ এই সিদ্ধান্ত মূলত তার পূর্বসূরি ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞারই সম্প্রসারিত রূপ। হোয়াইট হাউজের ওই মুখপাত্র বলেন, বৈশ্বিক বাজারে ক্ষতিকর প্রভাব কমাতে এসব প্রতিষ্ঠানের ওপর জোরদার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ থেকে এই তালিকা হালনাগাদ করা হবে এবং আগামী দিনগুলোতে নিষেধাজ্ঞার তালিকা আরও দীর্ঘ হবে বলে আমরা আশা করছি। চীনা টেলিকম জায়ান্ট হুয়াওয়ে সম্প্রতি জানিয়েছিল যে, ২০১৯ সালে দেয়া মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তাদের মোবাইল ফোন ব্যবসায় ব্যাপক প্রভাব ফেলেছিল।

উল্লেখ্য, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে চীন-মার্কিন সম্পর্কের অবনতি হয়। বেইজিং বরাবর নতুন মার্কিন প্রশাসনকে সম্পর্ক উন্নয়নের তাগিদ দিয়েছে। গত মাসে বাইডেনের আমলে দুই দেশের বাণিজ্য আলোচকদের মধ্যে প্রথম বৈঠকে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন চীনা পণ্যের ওপর আরোপ করা উচ্চ শুল্ক বজায় থাকবে কেননা মহামারীর পর মার্কিন অর্থনীতি পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।

শনিবার, ০৫ জুন ২০২১ , ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২৩ শাওয়াল ১৪৪২

চীনা কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা বাড়ালো যুক্তরাষ্ট্র

চীন ইস্যুতে পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের পথেই হাঁটলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। নিরাপত্তার জন্য হুমকির অজুহাত এনে চীনের কয়েক ডজন চীনা প্রতিষ্ঠানে মার্কিন বিনিয়োগ নিষিদ্ধ করেছেন বর্তমান মার্কিন এই প্রেসিডেন্ট। বিবিসি

নতুন করে চীনের ২৮টি প্রযুক্তি ও প্রতিরক্ষা বিষয়ক প্রতিষ্ঠানকে মার্কিন বিনিয়োগ নিষেধাজ্ঞার আওতায় এনেছেন জো বাইডেন। এর ফলে ট্রাম্পের আরোপিত ৩১টি চীনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাইডেনের ঘোষিত ২৮টি অর্থাৎ মোট ৫৯টি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ নিষিদ্ধ করা হলো। আগামী ২ আগস্ট থেকে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। নিয়মিতভাবে এই কোম্পানির তালিকা নবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগেই যুক্তরাষ্ট্রের নতুন পদক্ষেপের প্রতিশোধ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন। তিনি বলেন, চীন ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশে থাকবে এবং তাদের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষায় আইনগত সহায়তা দেবে।

সর্বশেষ এ নিষেধাজ্ঞার ফলে তালিকায় স্থান পাওয়া চীনা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কোনো ধরনের প্রযুক্তি কিংবা প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ক্রয়-বিক্রয় বা বিনিয়োগ করতে পারবেন না মার্কিন নাগরিকরা। এর আগে প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালনের সময় বেশ কয়েক ডজন চীনা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মার্কিন বিনিয়োগ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সর্বশেষ এই সিদ্ধান্ত মূলত তার পূর্বসূরি ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞারই সম্প্রসারিত রূপ। হোয়াইট হাউজের ওই মুখপাত্র বলেন, বৈশ্বিক বাজারে ক্ষতিকর প্রভাব কমাতে এসব প্রতিষ্ঠানের ওপর জোরদার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ থেকে এই তালিকা হালনাগাদ করা হবে এবং আগামী দিনগুলোতে নিষেধাজ্ঞার তালিকা আরও দীর্ঘ হবে বলে আমরা আশা করছি। চীনা টেলিকম জায়ান্ট হুয়াওয়ে সম্প্রতি জানিয়েছিল যে, ২০১৯ সালে দেয়া মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তাদের মোবাইল ফোন ব্যবসায় ব্যাপক প্রভাব ফেলেছিল।

উল্লেখ্য, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে চীন-মার্কিন সম্পর্কের অবনতি হয়। বেইজিং বরাবর নতুন মার্কিন প্রশাসনকে সম্পর্ক উন্নয়নের তাগিদ দিয়েছে। গত মাসে বাইডেনের আমলে দুই দেশের বাণিজ্য আলোচকদের মধ্যে প্রথম বৈঠকে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন চীনা পণ্যের ওপর আরোপ করা উচ্চ শুল্ক বজায় থাকবে কেননা মহামারীর পর মার্কিন অর্থনীতি পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।