পায়রা সেতুর নির্মাণকাজ জুলাইয়ে শেষ হবে

দক্ষিণাঞ্চলবাসীর বহুল প্রতীক্ষিত ঢাকা-ফরিদপুর-বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের লেবুখালীর পায়রা নদীর উপর প্রায় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুটির নির্মাণকাজ আগামী মাসেই শেষ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সড়ক অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর। গতকাল সেতুটির নির্র্মাণকাজের শেষ পর্যায়ে পরিদর্শনকালে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি একথা জনান। ইতোমধ্যে সেতুটির ভৌত অবকাঠামোর ৯৫% কাজ শেষ হয়েছে জানিয়ে এখন ডেকিং-এ বিটুমিনাস কার্পেটিংসহ সংযোগ সড়কে ওয়ারিং কোর্সের কাজ চলছে।

এসব কাজ চলতি মাসের মধ্যেই শেষ করার লক্ষ্যে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে বলে জানিয়ে প্রধান প্রকৌশলী বলেন, অক্টোবরে কাজ শেষ করার সময়সীমা থাকলেও আমরা চীনা নির্মাণ প্রতিষ্ঠানকে জুলাই মাসের মধ্যে তা শেষ করতে বলেছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আমাদের দেয়া টার্গেট বাস্তবায়িত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর। কুয়েত ও বাংলাদেশ সরকার ছাড়াও ওপেকের প্রায় ১ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে লেবুখালী সেতুটি নির্মিত হচ্ছে।

‘প্রী-স্ট্রেসড কংক্রিট বক্স গার্ডার’ পদ্ধতির এ সেতুটির নকশা করা হয়েছে চট্টগ্রামের দ্বিতীয় কর্ণফুলী সেতুর আদলে। বাংলাদেশ, চীন ও কুয়েতের যৌথ পরামর্শক প্রতিষ্ঠান আইসিটি-কুনহুয়া-নারকো-ইপিসি-জেভির প্রকৌশলীদের তত্বাবধানে চীনের ‘লংজিয়ান রোড অ্যান্ড ব্রিজ কনস্ট্রাকশন কোম্পানি’ সেতুটি নির্মাণ করছে। লেবুখালী সেতুটি চালু হলে পায়রা সমুদ্রবন্দরকে চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্রবন্দর ছাড়াও দেশের সব স্থল বন্দরকে সড়কপথে যুক্ত করবে। এ সেতুর ওপর দিয়ে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে কুয়াকাটায় পৌঁছাতে সময় লাগবে সর্বোচ্চ ৭ ঘণ্টা। এমনকি উত্তরবঙ্গের সঙ্গেও সাগর পাড়ের কুয়াকাটার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করবে লেবুখালী সেতু।

মূল চুক্তি অনুযায়ী ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে সেতুটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন করার কথা থাকলেও পরপর প্রাকৃতিক দুর্যোগ ‘আম্ফান’, ‘বুলবুল’ ও দু’বছরের ‘করোনা’র মতো দুর্যোগে তা দু’বছর পিছিয়েছে। শুক্রবার নির্মাণকাজ পরিদর্শনকালে প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. আবদুল হালিম ও বরিশাল জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু হেনা তারিক ইকবাল, তত্ত্ববধায়ক প্রকৌশলী মিন্টু রঞ্জন দেবনাথ ও মো. মাসুদ খান ছাড়াও বরিশাল সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ মাহমুদ সুমনসহ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন প্রকৌশলীরা উপস্থিত ছিলেন।

শনিবার, ০৫ জুন ২০২১ , ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২৩ শাওয়াল ১৪৪২

পায়রা সেতুর নির্মাণকাজ জুলাইয়ে শেষ হবে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, বরিশাল

image

পায়রা সেতুর নির্মাণকাজ চলছে -সংবাদ

দক্ষিণাঞ্চলবাসীর বহুল প্রতীক্ষিত ঢাকা-ফরিদপুর-বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের লেবুখালীর পায়রা নদীর উপর প্রায় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুটির নির্মাণকাজ আগামী মাসেই শেষ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সড়ক অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর। গতকাল সেতুটির নির্র্মাণকাজের শেষ পর্যায়ে পরিদর্শনকালে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি একথা জনান। ইতোমধ্যে সেতুটির ভৌত অবকাঠামোর ৯৫% কাজ শেষ হয়েছে জানিয়ে এখন ডেকিং-এ বিটুমিনাস কার্পেটিংসহ সংযোগ সড়কে ওয়ারিং কোর্সের কাজ চলছে।

এসব কাজ চলতি মাসের মধ্যেই শেষ করার লক্ষ্যে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে বলে জানিয়ে প্রধান প্রকৌশলী বলেন, অক্টোবরে কাজ শেষ করার সময়সীমা থাকলেও আমরা চীনা নির্মাণ প্রতিষ্ঠানকে জুলাই মাসের মধ্যে তা শেষ করতে বলেছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আমাদের দেয়া টার্গেট বাস্তবায়িত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর। কুয়েত ও বাংলাদেশ সরকার ছাড়াও ওপেকের প্রায় ১ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে লেবুখালী সেতুটি নির্মিত হচ্ছে।

‘প্রী-স্ট্রেসড কংক্রিট বক্স গার্ডার’ পদ্ধতির এ সেতুটির নকশা করা হয়েছে চট্টগ্রামের দ্বিতীয় কর্ণফুলী সেতুর আদলে। বাংলাদেশ, চীন ও কুয়েতের যৌথ পরামর্শক প্রতিষ্ঠান আইসিটি-কুনহুয়া-নারকো-ইপিসি-জেভির প্রকৌশলীদের তত্বাবধানে চীনের ‘লংজিয়ান রোড অ্যান্ড ব্রিজ কনস্ট্রাকশন কোম্পানি’ সেতুটি নির্মাণ করছে। লেবুখালী সেতুটি চালু হলে পায়রা সমুদ্রবন্দরকে চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্রবন্দর ছাড়াও দেশের সব স্থল বন্দরকে সড়কপথে যুক্ত করবে। এ সেতুর ওপর দিয়ে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে কুয়াকাটায় পৌঁছাতে সময় লাগবে সর্বোচ্চ ৭ ঘণ্টা। এমনকি উত্তরবঙ্গের সঙ্গেও সাগর পাড়ের কুয়াকাটার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করবে লেবুখালী সেতু।

মূল চুক্তি অনুযায়ী ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে সেতুটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন করার কথা থাকলেও পরপর প্রাকৃতিক দুর্যোগ ‘আম্ফান’, ‘বুলবুল’ ও দু’বছরের ‘করোনা’র মতো দুর্যোগে তা দু’বছর পিছিয়েছে। শুক্রবার নির্মাণকাজ পরিদর্শনকালে প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. আবদুল হালিম ও বরিশাল জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু হেনা তারিক ইকবাল, তত্ত্ববধায়ক প্রকৌশলী মিন্টু রঞ্জন দেবনাথ ও মো. মাসুদ খান ছাড়াও বরিশাল সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ মাহমুদ সুমনসহ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন প্রকৌশলীরা উপস্থিত ছিলেন।