সীমান্তবর্তী এলাকায় বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : স্বাস্থ্যবিধিতে ছাড় নয়

দেশের সীমান্তবর্তী ১৫ জেলায় নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে দ্রুত। এসব জেলায় আরও আগেই করোনার ভারতীয় ধরন শনাক্ত হয়েছে। প্রতিবেশী ভারতে চলমান করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের আঘাত বাংলাদেশেও পড়তে শুরু করেছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কোন কোন বিশেষজ্ঞ। ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করা হয়েছে আরও আগেই। সীমান্তের ৮ জেলায় দেয়া হয়েছে লকডাউন। তা সত্ত্বেও এসব জেলা থেকে সংক্রমণ দেশের অন্যান্য এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দূর হয়নি। দেশে করোনার সংক্রমণ আবার বাড়ছে, মৃত্যুও বাড়ছে।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা এখনও সামলে উঠতে পারেনি দেশের মানুষ। এই অবস্থায় বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা অনুযায়ী তৃতীয় ঢেউ আঘাত হানলে সেটা মোকাবিলা করা কঠিন হবে। দেশে যেন করোনার ভারতীয় ধরন বিস্তৃত না হয় সেজন্য সরকার আরও আগেই সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে। সীমান্ত বন্ধ করা হলেও সেখানে নজরদারি বন্ধ করা যাবে না। সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে করোনার নমুনা পরীক্ষার আওতা বৃদ্ধি করা জরুরি। ভারত থেকে আসা মানুষের করোনার নমুনা অবশ্যই পরীক্ষা করতে হবে। নমুনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ হওয়া ব্যক্তিদের ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে রাখতে হবে। এক্ষেত্রে অতীতের শৈথিল্য আর গাফিলতির পুনরাবৃত্তি কাম্য নয়।

সীমান্তবর্তী ১৫ জেলাসহ যে ২২ জেলায় করোনার সংক্রমণ এখন বাড়ছে সেসব জেলার হাসপাতালগুলোতে শয্যা ও অক্সিজেন সংকট রয়েছে। অনেক স্থানেই নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র (আইসিইউ) নেই। যেকারণে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত জটিল রোগীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। করোনার সংক্রমণ বাড়লে এই দুর্ভোগ আরও বাড়বে। রাতারাতি হাসপাতালগুলোর সক্ষমতা বাড়ানো সম্ভব নয়। টিকারও সংকট দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় সবচেয়ে জরুরি হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। মানুষ যেন মাস্ক পরা, বারবার হাত ধোঁয়া, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো স্বাস্থ্যবিধি মানে সেটা নিশ্চিত করা জরুরি। এক্ষেত্রে কোন ছাড় দেয়া চলবে না। সীমান্তবর্তী যেসব জেলায় ‘লকডাউন’ দেয়া হয়েছে তা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।

শনিবার, ০৫ জুন ২০২১ , ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২৩ শাওয়াল ১৪৪২

সীমান্তবর্তী এলাকায় বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : স্বাস্থ্যবিধিতে ছাড় নয়

দেশের সীমান্তবর্তী ১৫ জেলায় নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে দ্রুত। এসব জেলায় আরও আগেই করোনার ভারতীয় ধরন শনাক্ত হয়েছে। প্রতিবেশী ভারতে চলমান করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের আঘাত বাংলাদেশেও পড়তে শুরু করেছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কোন কোন বিশেষজ্ঞ। ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করা হয়েছে আরও আগেই। সীমান্তের ৮ জেলায় দেয়া হয়েছে লকডাউন। তা সত্ত্বেও এসব জেলা থেকে সংক্রমণ দেশের অন্যান্য এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দূর হয়নি। দেশে করোনার সংক্রমণ আবার বাড়ছে, মৃত্যুও বাড়ছে।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা এখনও সামলে উঠতে পারেনি দেশের মানুষ। এই অবস্থায় বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা অনুযায়ী তৃতীয় ঢেউ আঘাত হানলে সেটা মোকাবিলা করা কঠিন হবে। দেশে যেন করোনার ভারতীয় ধরন বিস্তৃত না হয় সেজন্য সরকার আরও আগেই সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে। সীমান্ত বন্ধ করা হলেও সেখানে নজরদারি বন্ধ করা যাবে না। সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে করোনার নমুনা পরীক্ষার আওতা বৃদ্ধি করা জরুরি। ভারত থেকে আসা মানুষের করোনার নমুনা অবশ্যই পরীক্ষা করতে হবে। নমুনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ হওয়া ব্যক্তিদের ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে রাখতে হবে। এক্ষেত্রে অতীতের শৈথিল্য আর গাফিলতির পুনরাবৃত্তি কাম্য নয়।

সীমান্তবর্তী ১৫ জেলাসহ যে ২২ জেলায় করোনার সংক্রমণ এখন বাড়ছে সেসব জেলার হাসপাতালগুলোতে শয্যা ও অক্সিজেন সংকট রয়েছে। অনেক স্থানেই নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র (আইসিইউ) নেই। যেকারণে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত জটিল রোগীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। করোনার সংক্রমণ বাড়লে এই দুর্ভোগ আরও বাড়বে। রাতারাতি হাসপাতালগুলোর সক্ষমতা বাড়ানো সম্ভব নয়। টিকারও সংকট দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় সবচেয়ে জরুরি হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। মানুষ যেন মাস্ক পরা, বারবার হাত ধোঁয়া, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো স্বাস্থ্যবিধি মানে সেটা নিশ্চিত করা জরুরি। এক্ষেত্রে কোন ছাড় দেয়া চলবে না। সীমান্তবর্তী যেসব জেলায় ‘লকডাউন’ দেয়া হয়েছে তা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।