উন্নয়ন সমন্বয়ের বাজেট প্রতিক্রিয়া

স্বাস্থ্যে আরও সাহসী হতে পারত সরকার

প্রস্তাবিত ২০২১-২২ অর্থবছরে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ দেয়ার ক্ষেত্রে সরকার আরও সাহসী হতে পারত বলে মনে করে বেসরকারি সংস্থা উন্নয়ন সমন্বয়। বাজেট-পরবর্তী এক প্রতিক্রিয়ায় গতকাল এক ওয়েবিনারে সংস্থাটি বলেছে, করোনার সময়ে প্রত্যাশা ছিল এই খাতে মোট বাজেটের অন্তত ৭ শতাংশ বরাদ্দ দেয়া হবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে আসছে বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বাজেটের ৫ দশমিক ৪ শতাংশ রাখা হচ্ছে। মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর (এমএফএস) করপোরেট কর বাড়ানোরও সমালোচনা করেছে উন্নয়ন সমন্বয়।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল গত বৃহস্পতিবার সংসদে ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেছেন। সেটির ওপর গতকাল বাজেট-পরবর্তী প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে উন্নয়ন সমন্বয়। কেমন হলো বাজেট ২০২১-২২ শিরোনামে ওয়েবিনার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উন্নয়ন সমন্বয়নের সভাপতি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান।

আতিউর রহমান বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেটে সরকার এমএফএসের ওপর করপোরেট কর ৭ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে, যেটি এখন আছে ৩২ দশমিক ৫ শতাংশ। এটি বাড়িয়ে ৪০ শতাংশ করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। কিন্তু মোবাইল ব্যাংকিং সেবার ওপর করপোরেট কর বাড়ানোর প্রস্তাব সময়োপযোগী নয়। অনেকে বলেন, এই কর তো কোম্পানিগুলো দেবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো দিন শেষে এটা গ্রাহকের ঘাড়েই চাপাবে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়ের ওপর কর বাড়ানো যৌক্তিক নয় বলে মনে করে উন্নয়ন সমন্বয়।’ আতিউর রহমান বলেন, ‘টাকা নয়, টিকাই এখন প্রধান বিবেচ্য বিষয় হওয়া উচিত। প্রবৃদ্ধি, ঘাটতি অর্থায়ন এগুলোর চেয়ে বেশি নজর দেয়া উচিত কীভাবে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ মানুষকে দ্রুত টিকা দেয়া যায়। টিকা পেলেই মানুষ স্বস্তি পাবে। ব্যবসায়ীরা আস্থা পাবে।’

রবিবার, ০৬ জুন ২০২১ , ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২৪ শাওয়াল ১৪৪২

উন্নয়ন সমন্বয়ের বাজেট প্রতিক্রিয়া

স্বাস্থ্যে আরও সাহসী হতে পারত সরকার

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

প্রস্তাবিত ২০২১-২২ অর্থবছরে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ দেয়ার ক্ষেত্রে সরকার আরও সাহসী হতে পারত বলে মনে করে বেসরকারি সংস্থা উন্নয়ন সমন্বয়। বাজেট-পরবর্তী এক প্রতিক্রিয়ায় গতকাল এক ওয়েবিনারে সংস্থাটি বলেছে, করোনার সময়ে প্রত্যাশা ছিল এই খাতে মোট বাজেটের অন্তত ৭ শতাংশ বরাদ্দ দেয়া হবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে আসছে বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বাজেটের ৫ দশমিক ৪ শতাংশ রাখা হচ্ছে। মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর (এমএফএস) করপোরেট কর বাড়ানোরও সমালোচনা করেছে উন্নয়ন সমন্বয়।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল গত বৃহস্পতিবার সংসদে ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেছেন। সেটির ওপর গতকাল বাজেট-পরবর্তী প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে উন্নয়ন সমন্বয়। কেমন হলো বাজেট ২০২১-২২ শিরোনামে ওয়েবিনার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উন্নয়ন সমন্বয়নের সভাপতি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান।

আতিউর রহমান বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেটে সরকার এমএফএসের ওপর করপোরেট কর ৭ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে, যেটি এখন আছে ৩২ দশমিক ৫ শতাংশ। এটি বাড়িয়ে ৪০ শতাংশ করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। কিন্তু মোবাইল ব্যাংকিং সেবার ওপর করপোরেট কর বাড়ানোর প্রস্তাব সময়োপযোগী নয়। অনেকে বলেন, এই কর তো কোম্পানিগুলো দেবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো দিন শেষে এটা গ্রাহকের ঘাড়েই চাপাবে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়ের ওপর কর বাড়ানো যৌক্তিক নয় বলে মনে করে উন্নয়ন সমন্বয়।’ আতিউর রহমান বলেন, ‘টাকা নয়, টিকাই এখন প্রধান বিবেচ্য বিষয় হওয়া উচিত। প্রবৃদ্ধি, ঘাটতি অর্থায়ন এগুলোর চেয়ে বেশি নজর দেয়া উচিত কীভাবে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ মানুষকে দ্রুত টিকা দেয়া যায়। টিকা পেলেই মানুষ স্বস্তি পাবে। ব্যবসায়ীরা আস্থা পাবে।’