দশে মিলে স্বনির্ভর দেশ

পোরশায় স্বেচ্ছাশ্রমে দেড় কিমি. সড়ক সংস্কার

নওগাঁর পোরশায় মাটির কাঁচা রাস্তা স্বেচ্ছাশ্রমে সংস্কার করেছেন এলাকাবাসী। বর্ষার পানিতে কর্দমাক্ত দেড় কিলোমিটার কাঁচা রাস্তাটি চলাচলের একেবারেই অযোগ্য হয়ে পড়েছিল। উপজেলার গাঙ্গুরিয়া ইউপির গোয়ালমারি ব্রিজ থেকে কাদিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার কর্দমাক্ত রাস্তাটি স্বেচ্ছাশ্রমে সংস্কার করা হয়। সংস্কারে এলাকাবাসীর সঙ্গে সহযোগিতা করেন কয়েকটি গ্রামের অটোভ্যান চালক।

এলাকার বাসিন্দারা জানান, দীর্ঘদিন মেরামত না করায় রাস্তাটি প্রতি বর্ষায়ই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রতিবছর বর্ষায় রাস্তাটির অবস্থা বেহাল হয়ে পড়ে। উপজেলার গাঙ্গুরিয়া ইউপির কাদিপুর গ্রাম, মালতিপুর গ্রাম, বড়গুন্দইল গ্রাম, নারায়নপুর গ্রাম, জামালপুর গ্রাম, ছোট তেতুলিয়া গ্রাম ও গোডপাড়া গ্রামসহ ২০টি গ্রামের লোকজন এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে থাকেন। রাস্তাটি কাঁচা হওয়ায় আকাশের বৃষ্টিতে কর্দমাক্ত হয়ে পড়ে।

আর এ সময় স্কুল কলেজ, হাসপাতাল, হাট বাজারে যাতায়াত করা অনেক কষ্টের হয়ে পড়ে।

এলাকাবাসী উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যান ও ওয়ার্ড মেম্বারের বার বার দৃষ্টিগোচর করেও কোন ফল পাননি। অবশেষে এলাকার একদল তরুণের উদ্যোগে রাস্তাটি সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে। তবে রাস্তাটি যেহেতু কাঁচা আকাশের বৃষ্টি হলে আবারও কর্দমাক্ত হয়ে পড়বে। তাই এলাকাবাসী এই রাস্তাটি পাকাকরণের দাবি জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে গাগুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক নিজের ব্যর্থতা স্বীকার করে জানান, আমার ইউনিয়নে এ রকম অনেক কাঁচা রাস্তা আছে।

এ রাস্তাগুলো দিয়ে বর্ষায় চলাচল করা যায় না। তিনি জানান, আমি বার বার এ রাস্তাগুলোর ব্যাপারে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। কোন লাভ হয়নি। এখানে আমি ব্যর্থ হয়েছি।

রবিবার, ০৬ জুন ২০২১ , ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২৪ শাওয়াল ১৪৪২

দশে মিলে স্বনির্ভর দেশ

পোরশায় স্বেচ্ছাশ্রমে দেড় কিমি. সড়ক সংস্কার

প্রতিনিধি, পোরশা (নওগাঁ)

image

নওগাঁর পোরশায় মাটির কাঁচা রাস্তা স্বেচ্ছাশ্রমে সংস্কার করেছেন এলাকাবাসী। বর্ষার পানিতে কর্দমাক্ত দেড় কিলোমিটার কাঁচা রাস্তাটি চলাচলের একেবারেই অযোগ্য হয়ে পড়েছিল। উপজেলার গাঙ্গুরিয়া ইউপির গোয়ালমারি ব্রিজ থেকে কাদিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার কর্দমাক্ত রাস্তাটি স্বেচ্ছাশ্রমে সংস্কার করা হয়। সংস্কারে এলাকাবাসীর সঙ্গে সহযোগিতা করেন কয়েকটি গ্রামের অটোভ্যান চালক।

এলাকার বাসিন্দারা জানান, দীর্ঘদিন মেরামত না করায় রাস্তাটি প্রতি বর্ষায়ই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রতিবছর বর্ষায় রাস্তাটির অবস্থা বেহাল হয়ে পড়ে। উপজেলার গাঙ্গুরিয়া ইউপির কাদিপুর গ্রাম, মালতিপুর গ্রাম, বড়গুন্দইল গ্রাম, নারায়নপুর গ্রাম, জামালপুর গ্রাম, ছোট তেতুলিয়া গ্রাম ও গোডপাড়া গ্রামসহ ২০টি গ্রামের লোকজন এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে থাকেন। রাস্তাটি কাঁচা হওয়ায় আকাশের বৃষ্টিতে কর্দমাক্ত হয়ে পড়ে।

আর এ সময় স্কুল কলেজ, হাসপাতাল, হাট বাজারে যাতায়াত করা অনেক কষ্টের হয়ে পড়ে।

এলাকাবাসী উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যান ও ওয়ার্ড মেম্বারের বার বার দৃষ্টিগোচর করেও কোন ফল পাননি। অবশেষে এলাকার একদল তরুণের উদ্যোগে রাস্তাটি সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে। তবে রাস্তাটি যেহেতু কাঁচা আকাশের বৃষ্টি হলে আবারও কর্দমাক্ত হয়ে পড়বে। তাই এলাকাবাসী এই রাস্তাটি পাকাকরণের দাবি জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে গাগুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক নিজের ব্যর্থতা স্বীকার করে জানান, আমার ইউনিয়নে এ রকম অনেক কাঁচা রাস্তা আছে।

এ রাস্তাগুলো দিয়ে বর্ষায় চলাচল করা যায় না। তিনি জানান, আমি বার বার এ রাস্তাগুলোর ব্যাপারে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। কোন লাভ হয়নি। এখানে আমি ব্যর্থ হয়েছি।