লকডাউনে বাজারজাতে সংকট সংরক্ষণের অভাবে মাঠেই নষ্ট হচ্ছে মিষ্টি কুমড়া

করোনার প্রভাবে যানবাহনের বাড়তি ভাড়া ছাড়াও ফসল উৎপাদন করে দাম না পেয়ে হতাশায় ভুগছে ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষক। উৎপাদিত সবজি মাঠে পচন ধরলেও তা নিয়ে মাথা ব্যথা নেই তাদের। অনেকটা ক্ষোভ থেকেই এ অবস্থায় পরিণত হয়েছে বলে জানান জেলার চাষিরা।

উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষক অনেকটাই কৃষির ওপর নির্ভরশীল। তাই অন্যান্য সবজি চাষের পাশাপাশি এবার মিষ্টি কুমড়ার চাষাবাদে ফলনও হয়েছে ভাল। আর সবজি উৎপাদন করেও করোনা পরিস্থিতিতে মধ্যে দফায় দফায় লকডাউনে সময়মতো শত শত বিঘা জমির মিষ্টি কুমড়া বাজারজাত করতে না পরায় এখন মাঠেই পচে নষ্ট হচ্ছে অনেক চাষির সবজি মিষ্টি কুমড়া।

এখন এক মণ মিষ্টি কুমড়ার দাম ১২০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে যা উৎপাদন খরচ তো দূরের কথা পুজি উঠানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা। লোকসান ও বাজারে দাম না পাওয়ায় কিছু কিছু কৃষক মাঠ থেকে মিষ্টি কুমড়া তুলে আশপাশেই যত্রতত্রভাবে স্তুপ করে রেখেছেন। আর সেখান থেকে স্থানীয় হাট বাজারের পাইকাররা কমদামে ক্রয় করে বিক্রি করার চেষ্টা করছেন। আর রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলার পাইকাররা আসছেন না যানবাহনের ভাড়া বেশি হওয়ার কারণে। ফলে এসব সবজি মাঠে কিংবা স্তুপ করে রাখায় সেখানে পচে নষ্ট হচ্ছে।

সদর উপজেলার বালিয়া, আকচা, গড়েয়া ইউনিয়নের বেশকিছু কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এবার দফায় দফায় লকডাউনের কারণে তাদের উৎপাদিত সবজি সময়মতো বিক্রি করতে না পারায় এ অবস্থায় সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় দূর-দূরান্তের পাইকাররাও আসছে না তেমন। এখন উৎপাদন খরচ উঠানোই মুশকিল হয়েছে পড়েছে। তবে যেহেতু উত্তরের এ জেলাটি কৃষি প্রধান তাই সবজি সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকলে সবজিগুলো পচে নষ্ট হতো না। এছাড়া কোন জুস কোম্পানি যদি এগিয়ে আসে কিংবা সরকার প্রদক্ষেপ নেয় তাহলে কৃষক দামও পেত বলে দাবি তাদের। আর এ অবস্থাতে কৃষি বিভাগের কোন কর্মকর্তা খোঁজ নেয়নি বলে অভিযোগ কৃষকের।

এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু হোসেন জানান, এখন দাম কম তবে এ জাতীয় সবজিগুলো যদি বাড়িতে কিংবা খোলা মাঠে ভালভাবে সংরক্ষণ করতে পারেন তাহলে পরবর্তিতে কৃষক দাম পবে। তবে আমরাও চাই সবজি সংরক্ষণে সরকার পদক্ষেপ নিলে এ অঞ্চলের কৃষক উপকৃত হবে।

রবিবার, ০৬ জুন ২০২১ , ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২৪ শাওয়াল ১৪৪২

লকডাউনে বাজারজাতে সংকট সংরক্ষণের অভাবে মাঠেই নষ্ট হচ্ছে মিষ্টি কুমড়া

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, ঠাকুরগাঁও

image

ঠাকুরগাঁও : দাম না পেয়ে ক্ষেতেই পচে নষ্ট হচ্ছে মিষ্টি কুমড়া -সংবাদ

করোনার প্রভাবে যানবাহনের বাড়তি ভাড়া ছাড়াও ফসল উৎপাদন করে দাম না পেয়ে হতাশায় ভুগছে ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষক। উৎপাদিত সবজি মাঠে পচন ধরলেও তা নিয়ে মাথা ব্যথা নেই তাদের। অনেকটা ক্ষোভ থেকেই এ অবস্থায় পরিণত হয়েছে বলে জানান জেলার চাষিরা।

উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষক অনেকটাই কৃষির ওপর নির্ভরশীল। তাই অন্যান্য সবজি চাষের পাশাপাশি এবার মিষ্টি কুমড়ার চাষাবাদে ফলনও হয়েছে ভাল। আর সবজি উৎপাদন করেও করোনা পরিস্থিতিতে মধ্যে দফায় দফায় লকডাউনে সময়মতো শত শত বিঘা জমির মিষ্টি কুমড়া বাজারজাত করতে না পরায় এখন মাঠেই পচে নষ্ট হচ্ছে অনেক চাষির সবজি মিষ্টি কুমড়া।

এখন এক মণ মিষ্টি কুমড়ার দাম ১২০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে যা উৎপাদন খরচ তো দূরের কথা পুজি উঠানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা। লোকসান ও বাজারে দাম না পাওয়ায় কিছু কিছু কৃষক মাঠ থেকে মিষ্টি কুমড়া তুলে আশপাশেই যত্রতত্রভাবে স্তুপ করে রেখেছেন। আর সেখান থেকে স্থানীয় হাট বাজারের পাইকাররা কমদামে ক্রয় করে বিক্রি করার চেষ্টা করছেন। আর রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলার পাইকাররা আসছেন না যানবাহনের ভাড়া বেশি হওয়ার কারণে। ফলে এসব সবজি মাঠে কিংবা স্তুপ করে রাখায় সেখানে পচে নষ্ট হচ্ছে।

সদর উপজেলার বালিয়া, আকচা, গড়েয়া ইউনিয়নের বেশকিছু কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এবার দফায় দফায় লকডাউনের কারণে তাদের উৎপাদিত সবজি সময়মতো বিক্রি করতে না পারায় এ অবস্থায় সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় দূর-দূরান্তের পাইকাররাও আসছে না তেমন। এখন উৎপাদন খরচ উঠানোই মুশকিল হয়েছে পড়েছে। তবে যেহেতু উত্তরের এ জেলাটি কৃষি প্রধান তাই সবজি সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকলে সবজিগুলো পচে নষ্ট হতো না। এছাড়া কোন জুস কোম্পানি যদি এগিয়ে আসে কিংবা সরকার প্রদক্ষেপ নেয় তাহলে কৃষক দামও পেত বলে দাবি তাদের। আর এ অবস্থাতে কৃষি বিভাগের কোন কর্মকর্তা খোঁজ নেয়নি বলে অভিযোগ কৃষকের।

এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু হোসেন জানান, এখন দাম কম তবে এ জাতীয় সবজিগুলো যদি বাড়িতে কিংবা খোলা মাঠে ভালভাবে সংরক্ষণ করতে পারেন তাহলে পরবর্তিতে কৃষক দাম পবে। তবে আমরাও চাই সবজি সংরক্ষণে সরকার পদক্ষেপ নিলে এ অঞ্চলের কৃষক উপকৃত হবে।