চলচ্চিত্রে অরুনার ৩৫ বছর

১৯৮৬ সালের আজকের দিনে নায়ক রাজ রাজ্জাকের হাত ধরে রাজ্জাক পরিচালিত ‘চাপা ডাঙ্গার বউ’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অরুনা বিশ্বাসের চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু হয়। সিনেমাতে তার বিপরীতে ছিলেন বাপ্পারাজ। ১৯৮৬ সালের ৬ জুন সিনেমাটি মুক্তি পায়। প্রথম সিনেমা দিয়েই অরুনা বিশ্বাস দর্শকের মন জয় করে নিয়েছিলেন। তারপর অরুনা বিশ্বাস অনেক জনপ্রিয় সিনেমায় অভিনয়ে করেন। অরুনা বিশ্বাস এক সময় নাটক প্রযোজনা ও নির্মাণের সঙ্গেও নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। সর্বশেষ তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে ‘ঠিকানা বত্রিশ’ খ- চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। কিছুদিন আগে অরুনা বিশ্বাস কানাডা গেছেন। সেখানে তার মা ভাই সন্তান থাকেন। তাদের সঙ্গে একান্তে কিছুটা সময় কাটিয়ে আবারো দেশে ফিরবেন তিনি। কারণ তিনি চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের সদস্য। চলচ্চিত্র জীবনের দীর্ঘদিনের পথচলা এবং নিজের সাফল্য প্রসঙ্গে অরুনা বিশ্বাস বলেন, ‘অবশ্যই চলচ্চিত্র জীবনের পথচলার কথা বলতে গেলে আমাদের চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি নায়ক রাজ রাজ্জাক কাকুর কথা বলতেই হবে। তিনিই আমার বাবাকে বলে তার সিনেমা’তে কাজ করিয়েছিলেন। আমি নায়ক রাজ পরিবারের কাছে কৃতজ্ঞ। তবে এরপর যদি আমাকে সিনেমাটোগ্রাফার মাহফুজ ভাই আমার পাশে না দাঁড়াতেন তাহলে হয়তো আমি হারিয়েই যেতাম। আমার পরিবারের প্রতি, আমার বাবা-মা’র প্রতি, আমার ভক্ত দর্শক, সাংবাদিক, নির্মাতা, প্রযোজক, সহশিল্পীদের প্রতি আন্তরিকভাবে আমি কৃতজ্ঞ। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্তি হয়নি আমার। কিন্তু তাতে দুঃখবোধ নেই আমার। দর্শক আমাকে কী পরিমাণ ভালোবাসে তা আমি প্রতি মুহূর্তে অনুভব করি। সৃষ্টিকর্তার কাছে অসীম কৃতজ্ঞতা।’

রবিবার, ০৬ জুন ২০২১ , ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২৪ শাওয়াল ১৪৪২

চলচ্চিত্রে অরুনার ৩৫ বছর

image

১৯৮৬ সালের আজকের দিনে নায়ক রাজ রাজ্জাকের হাত ধরে রাজ্জাক পরিচালিত ‘চাপা ডাঙ্গার বউ’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অরুনা বিশ্বাসের চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু হয়। সিনেমাতে তার বিপরীতে ছিলেন বাপ্পারাজ। ১৯৮৬ সালের ৬ জুন সিনেমাটি মুক্তি পায়। প্রথম সিনেমা দিয়েই অরুনা বিশ্বাস দর্শকের মন জয় করে নিয়েছিলেন। তারপর অরুনা বিশ্বাস অনেক জনপ্রিয় সিনেমায় অভিনয়ে করেন। অরুনা বিশ্বাস এক সময় নাটক প্রযোজনা ও নির্মাণের সঙ্গেও নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। সর্বশেষ তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে ‘ঠিকানা বত্রিশ’ খ- চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। কিছুদিন আগে অরুনা বিশ্বাস কানাডা গেছেন। সেখানে তার মা ভাই সন্তান থাকেন। তাদের সঙ্গে একান্তে কিছুটা সময় কাটিয়ে আবারো দেশে ফিরবেন তিনি। কারণ তিনি চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের সদস্য। চলচ্চিত্র জীবনের দীর্ঘদিনের পথচলা এবং নিজের সাফল্য প্রসঙ্গে অরুনা বিশ্বাস বলেন, ‘অবশ্যই চলচ্চিত্র জীবনের পথচলার কথা বলতে গেলে আমাদের চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি নায়ক রাজ রাজ্জাক কাকুর কথা বলতেই হবে। তিনিই আমার বাবাকে বলে তার সিনেমা’তে কাজ করিয়েছিলেন। আমি নায়ক রাজ পরিবারের কাছে কৃতজ্ঞ। তবে এরপর যদি আমাকে সিনেমাটোগ্রাফার মাহফুজ ভাই আমার পাশে না দাঁড়াতেন তাহলে হয়তো আমি হারিয়েই যেতাম। আমার পরিবারের প্রতি, আমার বাবা-মা’র প্রতি, আমার ভক্ত দর্শক, সাংবাদিক, নির্মাতা, প্রযোজক, সহশিল্পীদের প্রতি আন্তরিকভাবে আমি কৃতজ্ঞ। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্তি হয়নি আমার। কিন্তু তাতে দুঃখবোধ নেই আমার। দর্শক আমাকে কী পরিমাণ ভালোবাসে তা আমি প্রতি মুহূর্তে অনুভব করি। সৃষ্টিকর্তার কাছে অসীম কৃতজ্ঞতা।’