তিতাসকে ৩ ভাগ করার পরিকল্পনা

বিশাল এলাকা নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাওয়ায় তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডকে (টিজিটিডিসিএল) ভেঙে তিন ভাগ করার পরিকল্পনা করছে সরকার। রাজধানীসহ আশপাশের ১২টি জেলায় গ্যাস বিতরণ করছে তিতাস। তবে গত সাত-আট বছর ধরে নিয়ন্ত্রণহীন অবৈধ গ্যাস সংযোগের জন্য সমালোচিত হচ্ছে রাষ্ট্রীয় এ প্রতিষ্ঠান।

প্রায় দেড় যুগ আগে, পেট্রোবাংলার এক প্রতিবেদনে তিতাস গ্যাস কোম্পানিকে তিন ভাগে ভাগ করার সুপারিশ করা হয়েছিল। এখন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় তিতাসকে ভাগ করার পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে।

ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ জেলায় গ্যাস সরবরাহের দায়িত্বে আছে সবচেয়ে বড় গ্যাস বিতরণকারী এই প্রতিষ্ঠান। তিতাসের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের দাবি, অভিযানের পর অভিযান পরিচলান করেও জনবলের অভাবে অবৈধ সংযোগ পুরোপুরি উচ্ছেদ করা যাচ্ছে না।

জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আনিছুর রহমান গতকাল এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার আয়োজিত ভার্চুয়াল সেমিনারে বলেন, ‘বৃহত্তর ঢাকা ও বৃহত্তর ময়মনসিংহ এলাকাজুড়ে তিতাস গ্যাসের কার্যক্রম বিস্তৃত। একদিকে মুন্সীগঞ্জ থেকে শেরপুর, আরেকদিকে ভৈরব থেকে কেরানীগঞ্জ। এতো বিশাল এলাকা কোনভাবেই বর্তমান কাঠামোর মাধ্যমে পরিচালনা এবং নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না। এ কারণেই আমরা তিতাস গ্যাসকে বিভক্ত করতে চাই।’ কিভাবে তিতাসকে বিভক্ত করা যায়, এ বিষয়ে সেমিনারে অংশ নেয়া বিশেষজ্ঞদের কাছে পরামর্শ চান জ্বালানি সচিব। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ারের এডিটর মোল্লাহ আমজাদ হোসেন।

সেমিনারে অংশ নেয়া পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক খোন্দকার সালেক সুফি বলেন, ২০০২ সালে পেট্রোবাংলার এক প্রতিবেদনে তিতাস গ্যাসকে ঢাকা মেট্রো, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী, ময়মনসিংহ তিনটি ভাগে বিভক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছিল। জ্বালানি মন্ত্রণালয় চাইলে সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

জবাবে জ্বালনি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব বলেন, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগও অন্তত তিনভাগে তিতাস গ্যাসকে বিভক্ত করার পরিকল্পনা করছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগে জনসাধারণের আগ্রহের বিষয়ে সিনিয়র সচিব আনিছুর রহমান বলেন, ‘এই মুহূর্তে বাসাবাড়িতে গ্যাস সংযোগ দেয়া সম্ভব নয়। আমি নিজে কয়েকবার আবাসিকে গ্যাস সংযোগের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নজরে এনেছিলাম, তিনি না বলেছেন। এমনকি সচিবদের আবাসনে গ্যাস সংযোগও নাকচ করে দিয়ে এলপিজি ব্যবহারের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’

অবৈধ গ্যাস সংযোগের বিষয়ে সিনিয়র সচিব বলেন, ‘তিতাস গ্যাসের আওতায় থাকা এলাকাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অবৈধ সংযোগ রয়েছে নারায়ণগঞ্জে। আর ঢাকার কেরানীগঞ্জে গ্যাস পাইপলাইনের ওপর সবচেয়ে বেশি স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। তবে গ্যাসের অবৈধ সংযোগ বন্ধে অভিযান চলছে। যেহেতু বৈধ-অবৈধ সংযোগ মিলে গেছে, আমরা এখন উৎসে লাইন কেটে দিচ্ছি। এতে বৈধ গ্রাহকের কিছু অসুবিধা হচ্ছে। তবে তারা আমাদের সহায়তা করছেন। এক্ষেত্রে গ্যাস কোম্পানির অসাধু কর্মকর্তাদেরর ছাড় দেয়া হচ্ছে না। শুধু বদলি না, বিভাগীয় ব্যবস্থা, প্রয়োজনে ফৌজদারি মামলা পর্যন্ত করা হচ্ছে। এসব কাজ কঠিন, তবুও আমরা করছি। যে কোন উপায়ে আমরা গ্যাসের অবৈধ সংযোগ উচ্ছেদ করব। আর কেরানীগঞ্জে গ্যাসের লাইনের ওপর স্থাপনা অপসারণেও আমরা ব্যবস্থা নেব। যেহেতু এটা জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকা। এক্ষেত্রে আমরা তার সহায়তা নেব।

তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী আলী ইকবাল মোহাম্মদ নুরুল্লাহ সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, ‘তিতাস গ্যাসে কি পরিমাণ অবৈধ লাইন রয়েছে তা চিহ্নিত করা সম্ভব নয়। এ বিষয়টি এখন তিতাস গ্যাস এবং জ্বালানি বিভাগের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। কোন প্রকার হিসাব ছাড়াই অবৈধ সংযোগ উচ্ছেদে অভিযান চালাতে হচ্ছে আমাদের।’

তিতাসের এমডি বলেন, ‘অনেক এলাকায় বৈধ লাইনের পর ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত অবৈধ লাইন চলে গেছে। এসব এলাকায় কিছু বৈধ গ্রাহক থাকলেও তাদের অনেকে লাইন চালুর পর একবারও বিল জমা দেননি। গজারিয়া এলাকায় প্রতিদিন ১৫ লাখ ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ হয়, যার মধ্যে সাড়ে ১৩ লাখ ঘনফুট গ্যাসের বিল আমরা পাই না। কেবল নারায়ণগঞ্জ এলাকায় সরবরাহ করা গ্যাসের মধ্যে ছয় থেকে সাত কোটি ঘনফুট গ্যাসের বিল আমরা পাচ্ছি না।’

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশিনের (বিইআরসি) সদস্য (গ্যাস) মো. মকবুল-ই-এলাহি চৌধুরী বলেন, বাসাবাড়িতে ৭৮ ঘনফুট গ্যাস সরবরাহের বিপরীতে ৯৭৫ টাকা বিল সংগ্রহ করে তিতাস। বাস্তবতা হচ্ছে আদায় করা বিলের বিপরীতে ৪০ থেকে ৪৫ ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়। অর্থাৎ বাকি গ্যাসটা হিসাবের আওতায় থাকে না, যা হচ্ছে অবৈধ গ্যাস। আর যতদিন এই অবৈধ গ্যাস থাকবে, ততদিন অবৈধ সংযোগ বন্ধ করা যাবে না। এ সমস্যা সমাধানে গ্যাস বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে দ্রুত প্রিপেইড মিটার আর ইভিসি মিটার চালু করার পরামর্শ দেন তিনি।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাখরাবাদ গ্যাস বিতরণ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শঙ্কর মজুমদার, পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল মান্নান পাটওয়ারী, জালালাবাদ গ্যাস বিতরণ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুনুর রশীদ মোল্লাহ, সুন্দরবন গ্যাস বিতরণ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মো. নাসির উদ্দিন, বিইআরসির সাবেক সদস্য আবদুল আজিজ খান, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আলী আহমেদ খান প্রমুখ।

রবিবার, ০৬ জুন ২০২১ , ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২৪ শাওয়াল ১৪৪২

তিতাসকে ৩ ভাগ করার পরিকল্পনা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

বিশাল এলাকা নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাওয়ায় তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডকে (টিজিটিডিসিএল) ভেঙে তিন ভাগ করার পরিকল্পনা করছে সরকার। রাজধানীসহ আশপাশের ১২টি জেলায় গ্যাস বিতরণ করছে তিতাস। তবে গত সাত-আট বছর ধরে নিয়ন্ত্রণহীন অবৈধ গ্যাস সংযোগের জন্য সমালোচিত হচ্ছে রাষ্ট্রীয় এ প্রতিষ্ঠান।

প্রায় দেড় যুগ আগে, পেট্রোবাংলার এক প্রতিবেদনে তিতাস গ্যাস কোম্পানিকে তিন ভাগে ভাগ করার সুপারিশ করা হয়েছিল। এখন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় তিতাসকে ভাগ করার পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে।

ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ জেলায় গ্যাস সরবরাহের দায়িত্বে আছে সবচেয়ে বড় গ্যাস বিতরণকারী এই প্রতিষ্ঠান। তিতাসের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের দাবি, অভিযানের পর অভিযান পরিচলান করেও জনবলের অভাবে অবৈধ সংযোগ পুরোপুরি উচ্ছেদ করা যাচ্ছে না।

জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আনিছুর রহমান গতকাল এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার আয়োজিত ভার্চুয়াল সেমিনারে বলেন, ‘বৃহত্তর ঢাকা ও বৃহত্তর ময়মনসিংহ এলাকাজুড়ে তিতাস গ্যাসের কার্যক্রম বিস্তৃত। একদিকে মুন্সীগঞ্জ থেকে শেরপুর, আরেকদিকে ভৈরব থেকে কেরানীগঞ্জ। এতো বিশাল এলাকা কোনভাবেই বর্তমান কাঠামোর মাধ্যমে পরিচালনা এবং নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না। এ কারণেই আমরা তিতাস গ্যাসকে বিভক্ত করতে চাই।’ কিভাবে তিতাসকে বিভক্ত করা যায়, এ বিষয়ে সেমিনারে অংশ নেয়া বিশেষজ্ঞদের কাছে পরামর্শ চান জ্বালানি সচিব। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ারের এডিটর মোল্লাহ আমজাদ হোসেন।

সেমিনারে অংশ নেয়া পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক খোন্দকার সালেক সুফি বলেন, ২০০২ সালে পেট্রোবাংলার এক প্রতিবেদনে তিতাস গ্যাসকে ঢাকা মেট্রো, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী, ময়মনসিংহ তিনটি ভাগে বিভক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছিল। জ্বালানি মন্ত্রণালয় চাইলে সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

জবাবে জ্বালনি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব বলেন, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগও অন্তত তিনভাগে তিতাস গ্যাসকে বিভক্ত করার পরিকল্পনা করছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আবাসিকে নতুন গ্যাস সংযোগে জনসাধারণের আগ্রহের বিষয়ে সিনিয়র সচিব আনিছুর রহমান বলেন, ‘এই মুহূর্তে বাসাবাড়িতে গ্যাস সংযোগ দেয়া সম্ভব নয়। আমি নিজে কয়েকবার আবাসিকে গ্যাস সংযোগের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নজরে এনেছিলাম, তিনি না বলেছেন। এমনকি সচিবদের আবাসনে গ্যাস সংযোগও নাকচ করে দিয়ে এলপিজি ব্যবহারের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’

অবৈধ গ্যাস সংযোগের বিষয়ে সিনিয়র সচিব বলেন, ‘তিতাস গ্যাসের আওতায় থাকা এলাকাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অবৈধ সংযোগ রয়েছে নারায়ণগঞ্জে। আর ঢাকার কেরানীগঞ্জে গ্যাস পাইপলাইনের ওপর সবচেয়ে বেশি স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। তবে গ্যাসের অবৈধ সংযোগ বন্ধে অভিযান চলছে। যেহেতু বৈধ-অবৈধ সংযোগ মিলে গেছে, আমরা এখন উৎসে লাইন কেটে দিচ্ছি। এতে বৈধ গ্রাহকের কিছু অসুবিধা হচ্ছে। তবে তারা আমাদের সহায়তা করছেন। এক্ষেত্রে গ্যাস কোম্পানির অসাধু কর্মকর্তাদেরর ছাড় দেয়া হচ্ছে না। শুধু বদলি না, বিভাগীয় ব্যবস্থা, প্রয়োজনে ফৌজদারি মামলা পর্যন্ত করা হচ্ছে। এসব কাজ কঠিন, তবুও আমরা করছি। যে কোন উপায়ে আমরা গ্যাসের অবৈধ সংযোগ উচ্ছেদ করব। আর কেরানীগঞ্জে গ্যাসের লাইনের ওপর স্থাপনা অপসারণেও আমরা ব্যবস্থা নেব। যেহেতু এটা জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকা। এক্ষেত্রে আমরা তার সহায়তা নেব।

তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী আলী ইকবাল মোহাম্মদ নুরুল্লাহ সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, ‘তিতাস গ্যাসে কি পরিমাণ অবৈধ লাইন রয়েছে তা চিহ্নিত করা সম্ভব নয়। এ বিষয়টি এখন তিতাস গ্যাস এবং জ্বালানি বিভাগের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। কোন প্রকার হিসাব ছাড়াই অবৈধ সংযোগ উচ্ছেদে অভিযান চালাতে হচ্ছে আমাদের।’

তিতাসের এমডি বলেন, ‘অনেক এলাকায় বৈধ লাইনের পর ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত অবৈধ লাইন চলে গেছে। এসব এলাকায় কিছু বৈধ গ্রাহক থাকলেও তাদের অনেকে লাইন চালুর পর একবারও বিল জমা দেননি। গজারিয়া এলাকায় প্রতিদিন ১৫ লাখ ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ হয়, যার মধ্যে সাড়ে ১৩ লাখ ঘনফুট গ্যাসের বিল আমরা পাই না। কেবল নারায়ণগঞ্জ এলাকায় সরবরাহ করা গ্যাসের মধ্যে ছয় থেকে সাত কোটি ঘনফুট গ্যাসের বিল আমরা পাচ্ছি না।’

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশিনের (বিইআরসি) সদস্য (গ্যাস) মো. মকবুল-ই-এলাহি চৌধুরী বলেন, বাসাবাড়িতে ৭৮ ঘনফুট গ্যাস সরবরাহের বিপরীতে ৯৭৫ টাকা বিল সংগ্রহ করে তিতাস। বাস্তবতা হচ্ছে আদায় করা বিলের বিপরীতে ৪০ থেকে ৪৫ ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়। অর্থাৎ বাকি গ্যাসটা হিসাবের আওতায় থাকে না, যা হচ্ছে অবৈধ গ্যাস। আর যতদিন এই অবৈধ গ্যাস থাকবে, ততদিন অবৈধ সংযোগ বন্ধ করা যাবে না। এ সমস্যা সমাধানে গ্যাস বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে দ্রুত প্রিপেইড মিটার আর ইভিসি মিটার চালু করার পরামর্শ দেন তিনি।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাখরাবাদ গ্যাস বিতরণ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শঙ্কর মজুমদার, পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল মান্নান পাটওয়ারী, জালালাবাদ গ্যাস বিতরণ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুনুর রশীদ মোল্লাহ, সুন্দরবন গ্যাস বিতরণ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মো. নাসির উদ্দিন, বিইআরসির সাবেক সদস্য আবদুল আজিজ খান, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আলী আহমেদ খান প্রমুখ।