পরিবেশ দূষণরোধে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে

বাকৃবি সেমিনারে বিশেষজ্ঞগণ

বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের আয়োজনে একটি ভার্চুয়াল সেমিনারের আয়োজন করা হয়। গতকাল এ সেমিনারে বাংলাদেশকে দূষণমুক্ত করার জন্য পরিবেশ সচেতনতার বার্তা মেনে চলতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান বিশেষজ্ঞরা।

বাকৃবির পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মো. আজহারুল ইসলামের সঞ্চালনায় সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা ড. এ কে এম জাকির হোসেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের ময়মনসিংহ বিভাগের পরিচালক ফরিদ আহমেদ, ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এম এ সাত্তার ম-ল। এতে পরিবেশ দিবসের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আসলাম আলী। বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান তার বক্তব্যে বলেন, অনেক সময় সংস্কার কাজের জন্য বৃক্ষ কাটতে হয়। সেক্ষেত্রে আমাদের উচিত সম্পূর্ণ বৃক্ষ না কেটে ডালপালা কেটে অথবা অন্য কোনভাবে সমন্বয় করে সংস্কার কার্য এগিয়ে নেয়া। নদীনালাগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, সেদিকে আমাদের নজর দিতে হবে। যত্রতত্র পলিথিন ফেলা বন্ধ করতে হবে। যেসব এলাকায় পরিবেশ হুমকির মুখে, সেসব এলাকায় বেশি বেশি নজর রাখতে হবে। সর্বোপরি বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় করে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় কাজ করে যেতে হবে এবং সচেতন হতে হবে সবাইকেই।

সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এ.কে.এম. জাকির হোসেন বলেন, আইপিসিসির মতে, আগামী ২১০০ সালের মধ্যে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা প্রায় ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়বে যার ফলে বিপুল পরিমাণ নি¤œভূমি সমুদ্রে তলিয়ে যাবে আর অসংখ্য মানুষ জলবায়ু শরণার্থী হয়ে পড়বে। এই গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির পেছনের অন্যতম কারণ হলো নির্বিচারে বনভূমি ধ্বংস করা। যদিও গত এক দশকে আমরা অনেক বৃক্ষরোপণ করেছি কিন্তু প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র্যকে আমরা ফিরিয়ে আনতে পারিনি। তাই জীববৈচিত্র?্য ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের সবকে সংঘবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী যে ১০০ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতিপূরণ দেয়ার কথা রয়েছে তা ভুক্তভোগী দেশগুলোর মাঝে দ্রুত বিতরণ করতে হবে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের ময়মনসিংহ বিভাগের পরিচালক ফরিদ আহমেদ বলেন, দেশে এখনও পরিবেশ দূষণ রোধে আইনের ঘাটতি রয়েছে। এ কারণে অনেক সময় দূষণকারীরা ছাড় পেয়ে যাচ্ছে কিংবা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না। এক্ষেত্রে আইনের সংশোধনী আনতে সরকারকে পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষকরা ভূমিকা রাখতে পারেন বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা গবেষণাকে পরিবেশ অধিদপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করতে পারলে পরিবেশ দূষণ রোধ করা আরও কিছুটা সহজ হবেও বলে তিনি জানান। অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আসলাম আলী বলেন, আমাদের জলবায়ুকে পুনরুদ্ধার করতে হলে গ্লোবাল মুভমেন্ট প্রয়োজন। অর্গানিক বর্জ্য রিসাইকেল করণ, খাদ্য নিরাপত্তা বৃদ্ধি, নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস বৃদ্ধি ও উপকূলীয় অঞ্চলকে পুনর্গঠন করতে হবে। সর্বোপরি আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে সচেতন করে গড়ে তুলতে হবে।

এ সময় বক্তব্য দেয়ার সময় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেমের (বাউরেস) পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আবু হাদী নূর আলী খান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সবাইকে নিয়ে জুন মাসে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন অভিযান পরিচালনা করাসহ প্রতি ৩ মাস অন্তর অন্তর বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা যেতে পারে। তিনি মনে করেন, বিভাগের পক্ষ থেকে সচেতনতার বার্তা পৌঁছানো এবং সবাইকে সচেতনতার সঙ্গে পরিবেশ রক্ষার কথা বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদিউজ্জামান খান। তিনি তার বক্তব্য বলেন, দেশে যেভাবে দূষণ শুরু হয়েছে, তা বন্ধ করার ব্যবস্থা নিতে হবে এখনই। ইটের ভাটা, কলকারখানার বর্জ্য, পলিথিনের ব্যবহার, কীটনাশক ব্যবহারে দিনকে দিন অনেক খারাপ হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের পরিবেশ। কীভাবে এগুলোর বিকল্প ব্যবস্থা করা যায়, তা আমাদেরই করতে হবে এবং সরকারকে পরিবেশ দূষণের যে আইন আছে, তার যথাযথ ব্যবহার করে পরিবেশ ঠিক রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি বলেন, বিশ্বে যে করোনার ভয়াবহতা তার পেছনেও পরিবেশ দূষণই দায়ী। এজন্য অত্যাধিক হারে গাছ লাগিয়ে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

বাকৃবির পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান তার বক্তব্যে বলেন, আজকের এই সেমিনারে যে পরামর্শগুলো উঠে এসেছে, তা পলিসি লেভেলে নিয়ে যেতে তিনি কাজ করবেন। যাতে বাংলাদেশকে একটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়ে তোলা ও জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। একইসঙ্গে বিভাগের শিক্ষা, গবেষণাকে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে শুরু করে বিভিন্ন অধিদপ্তরের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার কথাও জানান তিনি।

সেমিনারে সমাপনী বক্তব্য দেন অনুষ্ঠানের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল বাতেন। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, প্রত্যেকেই যদি সচেতন হত তাহলে বাংলাদেশের পরিবেশ এত দূষিত হতো না। কেবল পরিবেশ অধিদপ্তর কিংবা সরকার একা দূষণ রোধ করতে পারবে না, এক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে হবে সবাইকেই।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. রেহেনা খাতুন, অধ্যাপক ড. মো. শাহাদাত হোসেন, অধ্যাপক ড. মুরাদ আহমেদ ফারুখ, সহকারী অধ্যাপক হাফছা জাহান হিয়াসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষক, স্নাতকোত্তর, স্নাতক শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা।

রবিবার, ০৬ জুন ২০২১ , ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২৪ শাওয়াল ১৪৪২

পরিবেশ দূষণরোধে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে

বাকৃবি সেমিনারে বিশেষজ্ঞগণ

বাকৃবি প্রতিনিধি

বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের আয়োজনে একটি ভার্চুয়াল সেমিনারের আয়োজন করা হয়। গতকাল এ সেমিনারে বাংলাদেশকে দূষণমুক্ত করার জন্য পরিবেশ সচেতনতার বার্তা মেনে চলতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান বিশেষজ্ঞরা।

বাকৃবির পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মো. আজহারুল ইসলামের সঞ্চালনায় সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা ড. এ কে এম জাকির হোসেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের ময়মনসিংহ বিভাগের পরিচালক ফরিদ আহমেদ, ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এম এ সাত্তার ম-ল। এতে পরিবেশ দিবসের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আসলাম আলী। বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান তার বক্তব্যে বলেন, অনেক সময় সংস্কার কাজের জন্য বৃক্ষ কাটতে হয়। সেক্ষেত্রে আমাদের উচিত সম্পূর্ণ বৃক্ষ না কেটে ডালপালা কেটে অথবা অন্য কোনভাবে সমন্বয় করে সংস্কার কার্য এগিয়ে নেয়া। নদীনালাগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, সেদিকে আমাদের নজর দিতে হবে। যত্রতত্র পলিথিন ফেলা বন্ধ করতে হবে। যেসব এলাকায় পরিবেশ হুমকির মুখে, সেসব এলাকায় বেশি বেশি নজর রাখতে হবে। সর্বোপরি বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় করে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় কাজ করে যেতে হবে এবং সচেতন হতে হবে সবাইকেই।

সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এ.কে.এম. জাকির হোসেন বলেন, আইপিসিসির মতে, আগামী ২১০০ সালের মধ্যে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা প্রায় ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়বে যার ফলে বিপুল পরিমাণ নি¤œভূমি সমুদ্রে তলিয়ে যাবে আর অসংখ্য মানুষ জলবায়ু শরণার্থী হয়ে পড়বে। এই গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির পেছনের অন্যতম কারণ হলো নির্বিচারে বনভূমি ধ্বংস করা। যদিও গত এক দশকে আমরা অনেক বৃক্ষরোপণ করেছি কিন্তু প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র্যকে আমরা ফিরিয়ে আনতে পারিনি। তাই জীববৈচিত্র?্য ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের সবকে সংঘবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী যে ১০০ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতিপূরণ দেয়ার কথা রয়েছে তা ভুক্তভোগী দেশগুলোর মাঝে দ্রুত বিতরণ করতে হবে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের ময়মনসিংহ বিভাগের পরিচালক ফরিদ আহমেদ বলেন, দেশে এখনও পরিবেশ দূষণ রোধে আইনের ঘাটতি রয়েছে। এ কারণে অনেক সময় দূষণকারীরা ছাড় পেয়ে যাচ্ছে কিংবা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না। এক্ষেত্রে আইনের সংশোধনী আনতে সরকারকে পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষকরা ভূমিকা রাখতে পারেন বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা গবেষণাকে পরিবেশ অধিদপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করতে পারলে পরিবেশ দূষণ রোধ করা আরও কিছুটা সহজ হবেও বলে তিনি জানান। অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আসলাম আলী বলেন, আমাদের জলবায়ুকে পুনরুদ্ধার করতে হলে গ্লোবাল মুভমেন্ট প্রয়োজন। অর্গানিক বর্জ্য রিসাইকেল করণ, খাদ্য নিরাপত্তা বৃদ্ধি, নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস বৃদ্ধি ও উপকূলীয় অঞ্চলকে পুনর্গঠন করতে হবে। সর্বোপরি আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে সচেতন করে গড়ে তুলতে হবে।

এ সময় বক্তব্য দেয়ার সময় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেমের (বাউরেস) পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আবু হাদী নূর আলী খান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সবাইকে নিয়ে জুন মাসে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন অভিযান পরিচালনা করাসহ প্রতি ৩ মাস অন্তর অন্তর বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা যেতে পারে। তিনি মনে করেন, বিভাগের পক্ষ থেকে সচেতনতার বার্তা পৌঁছানো এবং সবাইকে সচেতনতার সঙ্গে পরিবেশ রক্ষার কথা বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদিউজ্জামান খান। তিনি তার বক্তব্য বলেন, দেশে যেভাবে দূষণ শুরু হয়েছে, তা বন্ধ করার ব্যবস্থা নিতে হবে এখনই। ইটের ভাটা, কলকারখানার বর্জ্য, পলিথিনের ব্যবহার, কীটনাশক ব্যবহারে দিনকে দিন অনেক খারাপ হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের পরিবেশ। কীভাবে এগুলোর বিকল্প ব্যবস্থা করা যায়, তা আমাদেরই করতে হবে এবং সরকারকে পরিবেশ দূষণের যে আইন আছে, তার যথাযথ ব্যবহার করে পরিবেশ ঠিক রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি বলেন, বিশ্বে যে করোনার ভয়াবহতা তার পেছনেও পরিবেশ দূষণই দায়ী। এজন্য অত্যাধিক হারে গাছ লাগিয়ে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

বাকৃবির পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান তার বক্তব্যে বলেন, আজকের এই সেমিনারে যে পরামর্শগুলো উঠে এসেছে, তা পলিসি লেভেলে নিয়ে যেতে তিনি কাজ করবেন। যাতে বাংলাদেশকে একটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়ে তোলা ও জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। একইসঙ্গে বিভাগের শিক্ষা, গবেষণাকে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে শুরু করে বিভিন্ন অধিদপ্তরের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার কথাও জানান তিনি।

সেমিনারে সমাপনী বক্তব্য দেন অনুষ্ঠানের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল বাতেন। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, প্রত্যেকেই যদি সচেতন হত তাহলে বাংলাদেশের পরিবেশ এত দূষিত হতো না। কেবল পরিবেশ অধিদপ্তর কিংবা সরকার একা দূষণ রোধ করতে পারবে না, এক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে হবে সবাইকেই।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. রেহেনা খাতুন, অধ্যাপক ড. মো. শাহাদাত হোসেন, অধ্যাপক ড. মুরাদ আহমেদ ফারুখ, সহকারী অধ্যাপক হাফছা জাহান হিয়াসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষক, স্নাতকোত্তর, স্নাতক শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা।