চেয়ারম্যানের স্ত্রীর ১৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া জিনের বাদশা চক্রের তিন সদস্য গ্রেপ্তার

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মীর এনায়েত হোসেন মন্টুর স্ত্রীকে ধুকা দিয়ে ১৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া জিনের বাদশা চক্রের সদস্য তিন সহোদরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গত শুক্রবার ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার তিন সহোদর হলো জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার দেওলি শিবপুর গ্রামের আবদুর রবের ছেলে মিন্টু মিয়া (৩৫) আলম (২৭) ও মিজান (২২)। এ সময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন ও সিমকার্ড উদ্ধার করে পুলিশ।

উপজেলা চেয়ারম্যানের ভাতিজী খালেদা আক্তার মির্জাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল গ্রেপ্তারকৃতদের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে মির্জাপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ রিজাউল হক দিপু জানিয়েছেন।

লিখিত অভিযোগ ও পুলিশ জানায়, উপজেলা চেয়ারম্যানের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৬০) দীর্ঘদিন ধরে পেটের ব্যাথায় ভোগছেন। গত ১৫ মার্চ রাত আনুমানিক সোয়া এগারোটার দিকে তিনি তার নিজ রুমে টিভি দেখছিলেন। এ সময় তিনি ডিস লাইনে ‘৪৩ ভিডিও চ্যানেল’ নামে স্থানীয় চ্যানেলে চিকিৎসার চটকদার বিজ্ঞাপন দেখেন। যোগাযোগের জন্য বিজ্ঞাপনে নিচে একাধিক মোবাইল নম্বর প্রদর্শন করা হয়। পরে তিনি উল্লেখিত নম্বরে যোগাযোগ করেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে তার বিশ্বাস জন্মায়। বিবাদীরা জিনের বাদশা পরিচয় দিয়ে জ্বিনের মাধ্যমে চিকিৎসা করানোর কথা বলেন। পরে কৌশলে মহিষ, কাপড় চোপড় দেয়ার অজুহাতে গত তিন মাসে বিভিন্ন সময়ে বিকাশের মাধ্যমে ১৫ লাখ ৯৯ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। বিষয়টি পারিবারিকভাবে জানাজানি হলে চেয়ারম্যানের ভাতিজী খালেদা আক্তার গত ২৩ মে অজ্ঞাতনামাদের অভিযুক্ত করে মির্জাপুর থানায় মামলা করেন। মামলা নম্বর ১৭ তাং ২৩/০৫/২০২১। মামলার পর প্রতারকদের ধরতে মাঠে নামে মির্জাপুর থানা পুলিশ। চেয়ারম্যানের স্ত্রীর সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে যোগাযোগ করা প্রতারকেদের একাধিক মোবাইল ফোন নম্বর ও টাকা গ্রহণের বিকাশ নম্বরের খোঁজে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আলাউদ্দিন। তিনি তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রতারকদের অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারেন। পরে ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় গত তিনদিন অবস্থান করে গত শুক্রবার প্রতারকের তিনভাইকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন। এ সময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন ও সিমকার্ড উদ্ধার করা হয়।

রবিবার, ০৬ জুন ২০২১ , ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২৪ শাওয়াল ১৪৪২

মির্জাপুর উপজেলা

চেয়ারম্যানের স্ত্রীর ১৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া জিনের বাদশা চক্রের তিন সদস্য গ্রেপ্তার

প্রতিনিধি, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল)

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মীর এনায়েত হোসেন মন্টুর স্ত্রীকে ধুকা দিয়ে ১৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া জিনের বাদশা চক্রের সদস্য তিন সহোদরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গত শুক্রবার ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার তিন সহোদর হলো জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার দেওলি শিবপুর গ্রামের আবদুর রবের ছেলে মিন্টু মিয়া (৩৫) আলম (২৭) ও মিজান (২২)। এ সময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন ও সিমকার্ড উদ্ধার করে পুলিশ।

উপজেলা চেয়ারম্যানের ভাতিজী খালেদা আক্তার মির্জাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল গ্রেপ্তারকৃতদের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে মির্জাপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ রিজাউল হক দিপু জানিয়েছেন।

লিখিত অভিযোগ ও পুলিশ জানায়, উপজেলা চেয়ারম্যানের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৬০) দীর্ঘদিন ধরে পেটের ব্যাথায় ভোগছেন। গত ১৫ মার্চ রাত আনুমানিক সোয়া এগারোটার দিকে তিনি তার নিজ রুমে টিভি দেখছিলেন। এ সময় তিনি ডিস লাইনে ‘৪৩ ভিডিও চ্যানেল’ নামে স্থানীয় চ্যানেলে চিকিৎসার চটকদার বিজ্ঞাপন দেখেন। যোগাযোগের জন্য বিজ্ঞাপনে নিচে একাধিক মোবাইল নম্বর প্রদর্শন করা হয়। পরে তিনি উল্লেখিত নম্বরে যোগাযোগ করেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে তার বিশ্বাস জন্মায়। বিবাদীরা জিনের বাদশা পরিচয় দিয়ে জ্বিনের মাধ্যমে চিকিৎসা করানোর কথা বলেন। পরে কৌশলে মহিষ, কাপড় চোপড় দেয়ার অজুহাতে গত তিন মাসে বিভিন্ন সময়ে বিকাশের মাধ্যমে ১৫ লাখ ৯৯ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। বিষয়টি পারিবারিকভাবে জানাজানি হলে চেয়ারম্যানের ভাতিজী খালেদা আক্তার গত ২৩ মে অজ্ঞাতনামাদের অভিযুক্ত করে মির্জাপুর থানায় মামলা করেন। মামলা নম্বর ১৭ তাং ২৩/০৫/২০২১। মামলার পর প্রতারকদের ধরতে মাঠে নামে মির্জাপুর থানা পুলিশ। চেয়ারম্যানের স্ত্রীর সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে যোগাযোগ করা প্রতারকেদের একাধিক মোবাইল ফোন নম্বর ও টাকা গ্রহণের বিকাশ নম্বরের খোঁজে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আলাউদ্দিন। তিনি তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রতারকদের অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারেন। পরে ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় গত তিনদিন অবস্থান করে গত শুক্রবার প্রতারকের তিনভাইকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন। এ সময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন ও সিমকার্ড উদ্ধার করা হয়।