পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের বেইজ কাটার সময় হাই স্কুলের বিজ্ঞানাগার ভবন ধসে পড়েছে। উপজেলার আলীপুরা ইউনিয়নের চাঁদপুরা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। একইস্থানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবস্থান। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দুটি হচ্ছে উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের ৮নং উত্তর চাঁদপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও এবিসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। ভবন ধসের পর ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট নতুন ভবন চেয়ে ও ভবন ধসের বিষয়ে ঠিকদার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়। বদলি জনিত কারণে ওই আবেদন লাল ফিতায় বন্দী হয়ে আছে। ওই বিজ্ঞানাগারে থাকা প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ যন্ত্রপাতি রোদ-বৃষ্টিতে নষ্ট হচ্ছে।
জানা যায়, এলজিইডির অর্থায়নে ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে ৭২ লাখ ৩ হাজার ৫শ’ ১৪ টাকা ব্যয়ে ৮নং উত্তর চাঁদপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দ্বিতল বিশিষ্ট ভবন ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি কাজ শুরু হয়ে ২০২১ সালে জানুয়ারি মাসে কাজ শেষ হয়। উত্তর চাঁদপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসা. রেজিনা বেগম জানান, হাইস্কুলের ভবন ধসে পড়েছে সত্য কিন্তু সেটা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের বিষয়।
এবিসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মাওলানা মো. সাইফুল অভিযোগ করে জানান, প্রাইমারির নতুন ভবন নির্মাণ করতে গিয়ে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিজ্ঞানাগার ভেঙ্গে ফেলেছে ।
বর্তমানে বিজ্ঞানাগার না থাকায় বিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ যন্ত্রপাতি রোদ-বৃষ্টিতে নষ্ট হচ্ছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সেলিম মিয়া জানান, তৎকালীন ইউএনও শুভ্রা দাস থাকা কালীন শিক্ষা কমিটির সভায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়াসহ ক্ষতিপূরণ দাবি জানানো হয়েছিল। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের শাহিন আলমের ফোনে একাধিকবার ফোন দিলে তার ফোন বন্ধ পাওয়ায় বক্তব্য দেয়া যায়নি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আল আমিন জানান, আমি আপনাদের মাধ্যমে জানলাম।
সোমবার, ০৭ জুন ২০২১ , ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২৫ শাওয়াল ১৪৪২
প্রতিনিধি, দশমিনা (পটুয়াখালী)
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের বেইজ কাটার সময় হাই স্কুলের বিজ্ঞানাগার ভবন ধসে পড়েছে। উপজেলার আলীপুরা ইউনিয়নের চাঁদপুরা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। একইস্থানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবস্থান। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দুটি হচ্ছে উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের ৮নং উত্তর চাঁদপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও এবিসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। ভবন ধসের পর ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট নতুন ভবন চেয়ে ও ভবন ধসের বিষয়ে ঠিকদার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়। বদলি জনিত কারণে ওই আবেদন লাল ফিতায় বন্দী হয়ে আছে। ওই বিজ্ঞানাগারে থাকা প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ যন্ত্রপাতি রোদ-বৃষ্টিতে নষ্ট হচ্ছে।
জানা যায়, এলজিইডির অর্থায়নে ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে ৭২ লাখ ৩ হাজার ৫শ’ ১৪ টাকা ব্যয়ে ৮নং উত্তর চাঁদপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দ্বিতল বিশিষ্ট ভবন ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি কাজ শুরু হয়ে ২০২১ সালে জানুয়ারি মাসে কাজ শেষ হয়। উত্তর চাঁদপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসা. রেজিনা বেগম জানান, হাইস্কুলের ভবন ধসে পড়েছে সত্য কিন্তু সেটা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের বিষয়।
এবিসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মাওলানা মো. সাইফুল অভিযোগ করে জানান, প্রাইমারির নতুন ভবন নির্মাণ করতে গিয়ে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিজ্ঞানাগার ভেঙ্গে ফেলেছে ।
বর্তমানে বিজ্ঞানাগার না থাকায় বিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ যন্ত্রপাতি রোদ-বৃষ্টিতে নষ্ট হচ্ছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সেলিম মিয়া জানান, তৎকালীন ইউএনও শুভ্রা দাস থাকা কালীন শিক্ষা কমিটির সভায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়াসহ ক্ষতিপূরণ দাবি জানানো হয়েছিল। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের শাহিন আলমের ফোনে একাধিকবার ফোন দিলে তার ফোন বন্ধ পাওয়ায় বক্তব্য দেয়া যায়নি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আল আমিন জানান, আমি আপনাদের মাধ্যমে জানলাম।