বিদেশগামীদের করোনা পরীক্ষা আর্মি স্টেডিয়ামে

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন জানিয়েছেন, বিদেশগামী যাত্রীদের সুবিধার জন্য তাদের করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা এখন আর্মি স্টেডিয়ামে করা হয়েছে। গতকাল করোনা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুলেটিনে এ কথা জানান।

অধ্যাপক রোবেদ আমিন বলেন, বিদেশগামী যাত্রীদের আরও উন্নত ও ভালো সার্ভিস দেয়ার জন্য ডিএনসিসি আরটি-পিসিআরের কার্যক্রম আর্মি স্টেডিয়ামে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এর আগে বিদেশগামী যাত্রীদের করোনার নমুনা পরীক্ষা হতো রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত ডিএনসিসি বুথে কিন্তু সেই হাসপাতালে এখন করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। সেটা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে নির্ধারিত হয়েছে। তাই এ কাজে তাদের ব্যস্ততা বেড়েছে বিধায় সেখানে অবস্থিত আটটি আরটি-পিসিআর বুথে এখন আর করোনার নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু সেখানে কিছু অসাধু এবং দালাল শ্রেণীর ব্যক্তি মানুষকে পথভ্রষ্ট করে বিভিন্নভাবে তাদের থেকে টাকা আদায় করছে এবং ভুয়া সার্টিফিকেট দিচ্ছে অথবা সার্টিফিকেট তাড়াতাড়ি এনে দেবে বলে মানুষের কাছ থেকে টাকা আদায় করছে।’ এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে অধ্যাপক রোবেদ আমিন বলেন, ‘এ বিষয়ে কোন আর্থিক লেনদেনের দায়ভার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নেবে না।’

স্বাস্থ্য বুলেটিনে অধিদপ্তরের মুখপাত্র বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ সব সীমান্ত এলাকার হাসপাতালে আসনসংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে জরুরি অবস্থা ছাড়া কোন রোগী যেন ভর্তি না করা হয় এমন নির্দেশ দেয়া হয়েছে। দরকার হলে সম্পূর্ণ হাসপাতাল করোনা বিশেষায়িত হাসপাতাল করে দেয়া হবে।’

রোবেদ আমিন বলেন, সীমান্তবর্তী যেসব এলাকায় সংক্রমণ বাড়ছে, সেগুলোকে বলা হয়েছে ইমারজেন্সি ছাড়া যেন কোন রোগী হাসপাতালগুলোতে না থাকে। এক্ষেত্রে সাধারণ শয্যায় থেকে করোনা রোগীরা সেবা নিতে পারবেন। অক্সিজেনের সংকট নিয়ে তিনি বলেন, আমরা সবাই অবগত সংক্রমণ সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আমরা সবাই শঙ্কিত আছি। যেসব রোগীর শ্বাসকষ্ট আছে, বুকে ব্যথা এবং কোন কারণে অত্যন্ত দুর্বলতা অনুভব করছেন তারা যেন হাসপাতালে আসে; আর যাদের হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন নেই তারা যেন হাসপাতালে এসে অযথাই ভিড় না জমায়। তাহলে যা অক্সিজেন আছে এটা দিয়েই সব রোগীকে চিকিৎসা দেয়া যাবে। তিনি আরও বলেন, আমরা দেশে করোনা সংক্রমণ ৬ শতাংশে নামিয়ে এনেছিলাম, এখন আবার সেটি বাড়তে শুরু করেছে। ৩০ মে থেকে যদি হিসাব করা হয়, এখন পর্যন্ত সংক্রমণ কিন্তু ওঠানামা করছে। কখনও বা সংক্রমণ ৯ থেকে ১০ শতাংশেও চলে যাচ্ছে। সুতরাং আমরা এখনও বলতে পারছি না আমাদের সংক্রমণ কমে গেছে। এখনও সংক্রমণ আনস্টেবল (ভারসাম্যহীন) রয়েছে।

সোমবার, ০৭ জুন ২০২১ , ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২৫ শাওয়াল ১৪৪২

বিদেশগামীদের করোনা পরীক্ষা আর্মি স্টেডিয়ামে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন জানিয়েছেন, বিদেশগামী যাত্রীদের সুবিধার জন্য তাদের করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা এখন আর্মি স্টেডিয়ামে করা হয়েছে। গতকাল করোনা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুলেটিনে এ কথা জানান।

অধ্যাপক রোবেদ আমিন বলেন, বিদেশগামী যাত্রীদের আরও উন্নত ও ভালো সার্ভিস দেয়ার জন্য ডিএনসিসি আরটি-পিসিআরের কার্যক্রম আর্মি স্টেডিয়ামে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এর আগে বিদেশগামী যাত্রীদের করোনার নমুনা পরীক্ষা হতো রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত ডিএনসিসি বুথে কিন্তু সেই হাসপাতালে এখন করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। সেটা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে নির্ধারিত হয়েছে। তাই এ কাজে তাদের ব্যস্ততা বেড়েছে বিধায় সেখানে অবস্থিত আটটি আরটি-পিসিআর বুথে এখন আর করোনার নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু সেখানে কিছু অসাধু এবং দালাল শ্রেণীর ব্যক্তি মানুষকে পথভ্রষ্ট করে বিভিন্নভাবে তাদের থেকে টাকা আদায় করছে এবং ভুয়া সার্টিফিকেট দিচ্ছে অথবা সার্টিফিকেট তাড়াতাড়ি এনে দেবে বলে মানুষের কাছ থেকে টাকা আদায় করছে।’ এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে অধ্যাপক রোবেদ আমিন বলেন, ‘এ বিষয়ে কোন আর্থিক লেনদেনের দায়ভার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নেবে না।’

স্বাস্থ্য বুলেটিনে অধিদপ্তরের মুখপাত্র বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ সব সীমান্ত এলাকার হাসপাতালে আসনসংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে জরুরি অবস্থা ছাড়া কোন রোগী যেন ভর্তি না করা হয় এমন নির্দেশ দেয়া হয়েছে। দরকার হলে সম্পূর্ণ হাসপাতাল করোনা বিশেষায়িত হাসপাতাল করে দেয়া হবে।’

রোবেদ আমিন বলেন, সীমান্তবর্তী যেসব এলাকায় সংক্রমণ বাড়ছে, সেগুলোকে বলা হয়েছে ইমারজেন্সি ছাড়া যেন কোন রোগী হাসপাতালগুলোতে না থাকে। এক্ষেত্রে সাধারণ শয্যায় থেকে করোনা রোগীরা সেবা নিতে পারবেন। অক্সিজেনের সংকট নিয়ে তিনি বলেন, আমরা সবাই অবগত সংক্রমণ সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আমরা সবাই শঙ্কিত আছি। যেসব রোগীর শ্বাসকষ্ট আছে, বুকে ব্যথা এবং কোন কারণে অত্যন্ত দুর্বলতা অনুভব করছেন তারা যেন হাসপাতালে আসে; আর যাদের হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন নেই তারা যেন হাসপাতালে এসে অযথাই ভিড় না জমায়। তাহলে যা অক্সিজেন আছে এটা দিয়েই সব রোগীকে চিকিৎসা দেয়া যাবে। তিনি আরও বলেন, আমরা দেশে করোনা সংক্রমণ ৬ শতাংশে নামিয়ে এনেছিলাম, এখন আবার সেটি বাড়তে শুরু করেছে। ৩০ মে থেকে যদি হিসাব করা হয়, এখন পর্যন্ত সংক্রমণ কিন্তু ওঠানামা করছে। কখনও বা সংক্রমণ ৯ থেকে ১০ শতাংশেও চলে যাচ্ছে। সুতরাং আমরা এখনও বলতে পারছি না আমাদের সংক্রমণ কমে গেছে। এখনও সংক্রমণ আনস্টেবল (ভারসাম্যহীন) রয়েছে।