সরকার সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিতে পারেনি বলে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির সংসদ সদস্য (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩) মো. হারুনুর রশীদ। তিনি বলেন, বাংলাদেশে যেন ভারতের অবস্থা না হয়, সেজন্য টিকা দিতে হবে। কিন্তু বাজেটে টিকার কোন সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন নেই। গতকাল জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ বলেন, গত এক বছরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যে বরাদ্দ ছিল, তা জনগণের কল্যাণে বা সঠিকভাবে কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে কাজে এসেছে, এ কথা সরকার বলতে পারবে না। চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোরসহ যেখানে সংক্রমণ বেড়েছে, সেখানে অন্তত ১০০ শয্যার হাসপাতালের ব্যবস্থা করতে হবে। না হলে মানুষ রাস্তায় মারা যাবে। তিনি স্বাস্থ্য বিভাগের সংস্কারও দাবি করেন।
বাংলাদেশে টিকার ট্রায়াল দেয়ার যে প্রস্তাব চীন ও রাশিয়া দিয়েছিল, সে ট্রায়াল কেন করা হয়নি? প্রশ্ন রেখে হারুনুর রশীদ বলেন, আন্তর্জাতিক টিকা রাজনীতির শিকার বাংলাদেশ। যে কারণে চীন থেকে টিকা পাওয়া যাবে কিনা তা এখনও অনিশ্চিত।
হারুনুর রশীদ বলেন, বাজেট অবাস্তবায়িত থেকে গেছে। কারণ, করোনা বিবেচনায় সরকার বাজেট দিতে পারেনি। সরকারের নীতি এবং ভুল সিদ্ধান্তের কারণে জনদুর্ভোগ বেড়েছে। গত রমজানে লকডাউন ছিল। ঈদে মানুষ ব্যাপক দুর্ভোগে ছিল। যে মানুষ ৫০০ টাকায় সামাজিক দূরত্ব মেনে রাজশাহী যেতে পারত, তাকে তিন হাজার থেকে চার হাজার টাকা খরচ করতে হয়েছে। লঞ্চ বন্ধ করে ফেরিতে মানুষ পারাপার করা হলো। এতে সংক্রমণ বেড়েছে। তিনি প্রশ্ন রাখেন, এগুলো কি সরকারের ব্যর্থতা নয়? সরকারকে কি এসবের দায় নিতে হবে না? বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর ভ্যাট প্রস্তাবের সমালোচনা করে বিএনপির এই সংসদ সদস্য বলেন, এখন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চেয়ে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় বেশি শিক্ষার্থী পড়ালেখা করেন। এটা প্রত্যাহার করা উচিত।
সোমবার, ০৭ জুন ২০২১ , ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২৫ শাওয়াল ১৪৪২
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
সরকার সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিতে পারেনি বলে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির সংসদ সদস্য (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩) মো. হারুনুর রশীদ। তিনি বলেন, বাংলাদেশে যেন ভারতের অবস্থা না হয়, সেজন্য টিকা দিতে হবে। কিন্তু বাজেটে টিকার কোন সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন নেই। গতকাল জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ বলেন, গত এক বছরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যে বরাদ্দ ছিল, তা জনগণের কল্যাণে বা সঠিকভাবে কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে কাজে এসেছে, এ কথা সরকার বলতে পারবে না। চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোরসহ যেখানে সংক্রমণ বেড়েছে, সেখানে অন্তত ১০০ শয্যার হাসপাতালের ব্যবস্থা করতে হবে। না হলে মানুষ রাস্তায় মারা যাবে। তিনি স্বাস্থ্য বিভাগের সংস্কারও দাবি করেন।
বাংলাদেশে টিকার ট্রায়াল দেয়ার যে প্রস্তাব চীন ও রাশিয়া দিয়েছিল, সে ট্রায়াল কেন করা হয়নি? প্রশ্ন রেখে হারুনুর রশীদ বলেন, আন্তর্জাতিক টিকা রাজনীতির শিকার বাংলাদেশ। যে কারণে চীন থেকে টিকা পাওয়া যাবে কিনা তা এখনও অনিশ্চিত।
হারুনুর রশীদ বলেন, বাজেট অবাস্তবায়িত থেকে গেছে। কারণ, করোনা বিবেচনায় সরকার বাজেট দিতে পারেনি। সরকারের নীতি এবং ভুল সিদ্ধান্তের কারণে জনদুর্ভোগ বেড়েছে। গত রমজানে লকডাউন ছিল। ঈদে মানুষ ব্যাপক দুর্ভোগে ছিল। যে মানুষ ৫০০ টাকায় সামাজিক দূরত্ব মেনে রাজশাহী যেতে পারত, তাকে তিন হাজার থেকে চার হাজার টাকা খরচ করতে হয়েছে। লঞ্চ বন্ধ করে ফেরিতে মানুষ পারাপার করা হলো। এতে সংক্রমণ বেড়েছে। তিনি প্রশ্ন রাখেন, এগুলো কি সরকারের ব্যর্থতা নয়? সরকারকে কি এসবের দায় নিতে হবে না? বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর ভ্যাট প্রস্তাবের সমালোচনা করে বিএনপির এই সংসদ সদস্য বলেন, এখন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চেয়ে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় বেশি শিক্ষার্থী পড়ালেখা করেন। এটা প্রত্যাহার করা উচিত।