রেকর্ড পাচার, নষ্ট বা হ্যাক করলে জেল-জরিমানা

সরকারি আর্কাইভসে রক্ষিথ রেকর্ড পাচার, চুরি, নষ্ট বা হ্যাক করলে জেলা-জরিমানার বিধান রেখে ‘বাংলাদেশ জাতীয় আর্কাইভস বিল-২০২১’ জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে। গতকাল সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন। এর আগে সকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়। বিলটি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।

১৯৮৩ সালের অধ্যাদেশ বাতিল করে নতুন আইন প্রণয়নের লক্ষ্যে বিলটি উত্থাপন করা হয়। এতে বলা হয়েছে, জাতীয় আর্কাইভস পরিচালনায় একটি উপদেষ্টা পরিষদ থাকবে। এখানে একজন মহাপরিচালক থাকবেন। অধ্যাদেশে এই মহাপরিচালক পদ ছিল না। আইনটি পাস হলে নতুন মহাপরিচালক নিয়োগ দেয়া হবে। বিদ্যমান আইনে রেকর্ড বিনষ্ট করার যে বিধান ছিল খসড়া আইনে তা বাদ দেয়া হয়েছে। বিলে বলা হয়েছে, সরকারি রেকর্ড আর্কাইভসে থাকতে হলে তা ২৫ বছর বা তার বেশি পুরনো হতে হবে। ব্যক্তিগত রেকর্ডও আর্কাইভসে রাখা যাবে। ঐতিহাসিক, সামাজিক, রাজনৈতিক কিংবা সাংস্কৃতিক তাৎপর্য রয়েছে এমন ৩০ বছর বা তার বেশি পুরনো ব্যক্তিগত রেকর্ডও আর্কাইভসে সংরক্ষণ করা যাবে।

বিলে আর্কাইভসে রক্ষিত রেকর্ড চুরি, নষ্ট বা হ্যাক করলে তিন বছরের জেল ও ২০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। আর রেকর্ড পাঁচার করলে পাঁচ বছরের জেল ও এক লাখ টাকা অর্থদ-ের বিধান করা হয়েছে। আগের আইনে না থাকলে খসড়া আইনে রেকর্ডের সফট কপি করার বিধান রাখা হয়েছে। প্রস্তাবিত আইনে গবেষক ও তথ্য সেবা গ্রহীতাদের অনলাইন ডিজিটাল সেবা দেয়ার জন্য আর্কাইভস ডিজিটাল সেবা বা তথ্যপ্রযুক্তি সেবা দিতে নির্দেশনা রয়েছে। ফি দিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করলে গোপন কোন দলিল না হলে তা সরবরাহ করার বিধান রাখা হয়েছে।

দুই বিলের রিপোর্ট উপস্থাপন

এদিকে গতকাল সংসদের বৈঠকে শিশু দিবাযত্ন বিল, ২০২১ এবং হজ ও ওমরা ব্যবস্থ্যাপনা বিল, ২০২১-এর ওপর পৃথকভাবে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত এবং ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির রিপোর্ট উপস্থাপন করা হয়। রিপোর্ট দুটি উপস্থাপন করেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত এবং ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি যথাক্রমে বেগম মেহের আফরোজ ও হাফেজ রুহুল আমিন মাদানি।

সোমবার, ০৭ জুন ২০২১ , ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২৫ শাওয়াল ১৪৪২

আর্কাইভ বিল

রেকর্ড পাচার, নষ্ট বা হ্যাক করলে জেল-জরিমানা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

সরকারি আর্কাইভসে রক্ষিথ রেকর্ড পাচার, চুরি, নষ্ট বা হ্যাক করলে জেলা-জরিমানার বিধান রেখে ‘বাংলাদেশ জাতীয় আর্কাইভস বিল-২০২১’ জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে। গতকাল সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন। এর আগে সকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়। বিলটি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।

১৯৮৩ সালের অধ্যাদেশ বাতিল করে নতুন আইন প্রণয়নের লক্ষ্যে বিলটি উত্থাপন করা হয়। এতে বলা হয়েছে, জাতীয় আর্কাইভস পরিচালনায় একটি উপদেষ্টা পরিষদ থাকবে। এখানে একজন মহাপরিচালক থাকবেন। অধ্যাদেশে এই মহাপরিচালক পদ ছিল না। আইনটি পাস হলে নতুন মহাপরিচালক নিয়োগ দেয়া হবে। বিদ্যমান আইনে রেকর্ড বিনষ্ট করার যে বিধান ছিল খসড়া আইনে তা বাদ দেয়া হয়েছে। বিলে বলা হয়েছে, সরকারি রেকর্ড আর্কাইভসে থাকতে হলে তা ২৫ বছর বা তার বেশি পুরনো হতে হবে। ব্যক্তিগত রেকর্ডও আর্কাইভসে রাখা যাবে। ঐতিহাসিক, সামাজিক, রাজনৈতিক কিংবা সাংস্কৃতিক তাৎপর্য রয়েছে এমন ৩০ বছর বা তার বেশি পুরনো ব্যক্তিগত রেকর্ডও আর্কাইভসে সংরক্ষণ করা যাবে।

বিলে আর্কাইভসে রক্ষিত রেকর্ড চুরি, নষ্ট বা হ্যাক করলে তিন বছরের জেল ও ২০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। আর রেকর্ড পাঁচার করলে পাঁচ বছরের জেল ও এক লাখ টাকা অর্থদ-ের বিধান করা হয়েছে। আগের আইনে না থাকলে খসড়া আইনে রেকর্ডের সফট কপি করার বিধান রাখা হয়েছে। প্রস্তাবিত আইনে গবেষক ও তথ্য সেবা গ্রহীতাদের অনলাইন ডিজিটাল সেবা দেয়ার জন্য আর্কাইভস ডিজিটাল সেবা বা তথ্যপ্রযুক্তি সেবা দিতে নির্দেশনা রয়েছে। ফি দিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করলে গোপন কোন দলিল না হলে তা সরবরাহ করার বিধান রাখা হয়েছে।

দুই বিলের রিপোর্ট উপস্থাপন

এদিকে গতকাল সংসদের বৈঠকে শিশু দিবাযত্ন বিল, ২০২১ এবং হজ ও ওমরা ব্যবস্থ্যাপনা বিল, ২০২১-এর ওপর পৃথকভাবে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত এবং ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির রিপোর্ট উপস্থাপন করা হয়। রিপোর্ট দুটি উপস্থাপন করেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত এবং ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি যথাক্রমে বেগম মেহের আফরোজ ও হাফেজ রুহুল আমিন মাদানি।