অশ্লীল ও অশালীন টিকটক-লাইকি মিউজিক ভিডিও তৈরি করে ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ায় রাজশাহীতে সহযোগীসহ দুই তরুণীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এরা হলেন, টিকটক-লাইকি তারকা হিসেবে পরিচিত তানিশা ও পায়েল। আর তাদের সহযোগীরা হলেন মেহেদী ও রাব্বি। এদের মধ্যে তানিশার বাড়ি নগরের মতিহার থানার খোঁজাপুর, পায়েলের বাড়ি নওগাঁর মান্দা উপজেলার নারায়নপুর এবং মেহেদীর বাড়ি পবার কানপাড়া ও রাবির নগরের চন্দ্রিমা থানার মুশরাইল। নগরের পদ্মা গার্ডে, জিয়া পার্ক, বিমান চত্তর, টি-বাঁধ ও আই বাঁধ এলাকায় তারা টিকটক-লাইকি মিউজিক ভিডিও তৈরি করে থাকে। গতকাল দুপুরে মহানগর পুলিশের সদরদপ্তরে তাদের সাংবাদিকদের সামনে হাজির করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিকী জানান, টিকটক-লাইকি গ্রুপের হয়ে পায়েল ও তানিশা বিভিন্ন পোলভন দেখিয়ে মিউজিক ভিডিও করার জন্য তরুণ-তরুণীদের আকৃষ্ট করে। তাদের ফাঁদে পড়া একজন ভিকটিমকেও উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার পায়েল ও তানিশার কাছ থেকে টিকটক-লাইকি গ্রুপের বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে পুলিশ। এ গ্রুপে জড়িত অনেকের নামও পাওয়া গেছে। তাদেরকেও গ্রেপ্তার করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, রোববার সন্ধ্যায় রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে লাইকি গ্রুপের ভিডিও তৈরির মুল হোতা গ্রেপ্তার আসামি মেহেদী হাসান পুলিশকে জানিয়েছে, লাইকি ভিডিও তৈরি করে প্রতি মাসে আট থেকে দশ হাজার টাকা আয় করে। অভাবি কিশোর-কিশোরীদের দিয়ে অশ্লীল ও আপত্তিকর ভিডিও তৈরি করতো।
আবু কালাম সিদ্দিকী বলেন, রাতারাতি জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য অনেকেই এ ধরনের ভিডিও তৈরি করে নৈতিকভাবে ধ্বংসের পথে পা বাড়াচ্ছে। অশ্লীল ও আপত্তিকর টিকটক, লাইকি ও বিগো লাইভ ভিডিও সমাজের নৈতিক অবক্ষয় ও যুবক সমাজকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এমনকি অনেকে বিভিন্ন ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পরাসহ মাদক সেবন এবং মাদক ব্যবসায় জড়িত হচ্ছে। এ ধরনের ভিডিও কিশোর অপরাধের মতো ঘটনা উস্কে দিচ্ছে।
তিনি বলেন, এর আগে গত ২ জুন রাজশাহী নগরীতে অভিযান চালিয়ে দুই নারীসহ নয়জনকে গেপ্তার করা হয়েছিল। কিশোর অপরাধ অশ্লীলতামুক্ত শান্তির রাজশাহী শহর প্রতিষ্ঠায় অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
মঙ্গলবার, ০৮ জুন ২০২১ , ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২৬ শাওয়াল ১৪৪২
জেলা বার্তা পরিবেশক, রাজশাহী
অশ্লীল ও অশালীন টিকটক-লাইকি মিউজিক ভিডিও তৈরি করে ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ায় রাজশাহীতে সহযোগীসহ দুই তরুণীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এরা হলেন, টিকটক-লাইকি তারকা হিসেবে পরিচিত তানিশা ও পায়েল। আর তাদের সহযোগীরা হলেন মেহেদী ও রাব্বি। এদের মধ্যে তানিশার বাড়ি নগরের মতিহার থানার খোঁজাপুর, পায়েলের বাড়ি নওগাঁর মান্দা উপজেলার নারায়নপুর এবং মেহেদীর বাড়ি পবার কানপাড়া ও রাবির নগরের চন্দ্রিমা থানার মুশরাইল। নগরের পদ্মা গার্ডে, জিয়া পার্ক, বিমান চত্তর, টি-বাঁধ ও আই বাঁধ এলাকায় তারা টিকটক-লাইকি মিউজিক ভিডিও তৈরি করে থাকে। গতকাল দুপুরে মহানগর পুলিশের সদরদপ্তরে তাদের সাংবাদিকদের সামনে হাজির করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিকী জানান, টিকটক-লাইকি গ্রুপের হয়ে পায়েল ও তানিশা বিভিন্ন পোলভন দেখিয়ে মিউজিক ভিডিও করার জন্য তরুণ-তরুণীদের আকৃষ্ট করে। তাদের ফাঁদে পড়া একজন ভিকটিমকেও উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার পায়েল ও তানিশার কাছ থেকে টিকটক-লাইকি গ্রুপের বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে পুলিশ। এ গ্রুপে জড়িত অনেকের নামও পাওয়া গেছে। তাদেরকেও গ্রেপ্তার করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, রোববার সন্ধ্যায় রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে লাইকি গ্রুপের ভিডিও তৈরির মুল হোতা গ্রেপ্তার আসামি মেহেদী হাসান পুলিশকে জানিয়েছে, লাইকি ভিডিও তৈরি করে প্রতি মাসে আট থেকে দশ হাজার টাকা আয় করে। অভাবি কিশোর-কিশোরীদের দিয়ে অশ্লীল ও আপত্তিকর ভিডিও তৈরি করতো।
আবু কালাম সিদ্দিকী বলেন, রাতারাতি জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য অনেকেই এ ধরনের ভিডিও তৈরি করে নৈতিকভাবে ধ্বংসের পথে পা বাড়াচ্ছে। অশ্লীল ও আপত্তিকর টিকটক, লাইকি ও বিগো লাইভ ভিডিও সমাজের নৈতিক অবক্ষয় ও যুবক সমাজকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এমনকি অনেকে বিভিন্ন ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পরাসহ মাদক সেবন এবং মাদক ব্যবসায় জড়িত হচ্ছে। এ ধরনের ভিডিও কিশোর অপরাধের মতো ঘটনা উস্কে দিচ্ছে।
তিনি বলেন, এর আগে গত ২ জুন রাজশাহী নগরীতে অভিযান চালিয়ে দুই নারীসহ নয়জনকে গেপ্তার করা হয়েছিল। কিশোর অপরাধ অশ্লীলতামুক্ত শান্তির রাজশাহী শহর প্রতিষ্ঠায় অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।