সরকারি আবাসন-স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে জরিমানা চার গুণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
গতকাল দুপুরে নগর ভবনের মেয়র হানিফ মিলনায়তনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার ‘জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি’ আয়োজিত ‘এডিস মশা বাহিত ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগ প্রতিরোধ’ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘আমরা এখন নির্মাণাধীন স্থাপনা, বিশেষ করে সরকারি আবাসন ও নির্মাণাধীন স্থাপনাগুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছি। আমি আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতকে নির্দেশনা দিয়েছি, সরকারি আবাসন ও নির্মাণাধীন স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে জরিমানা চার গুণ করার।’
তাপস আরও বলেন, ‘আমাদের সমস্যা সমাধান করতে হলে সমস্যা চিহ্নিত করতে হবে। সরকারের বিভিন্ন নির্মাণাধীন স্থাপনা, আবাসিক কলোনি ইত্যাদিতে আমাদের মশককর্মীরা যেতে পারে না, আমাদের কাউন্সিলরদের সেখানে যেতে দেয়া হয় না। ফলে সেখানে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম দুর্বল হয়। সেখানে একবার যদি এডিস মশার বংশবিস্তার শুরু হয় তবে তা বৃহৎ আকার ধারণ করবে। সেজন্য সরকারি আবাসন-স্থাপনায় আমরা এখন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছি।’
এ সময় মেয়র তাপস সরকারি আবাসন ও নির্মাণাধীন স্থাপনাগুলোকে এডিস মশার অভয়ারণ্য হিসেবে উল্লেখ করেন।
যেসব বাড়ির ছাদে এখন বাগান করার সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে, সেসব বাড়িতে আলাপ করে ফুলের টবে যেন পানি না জমে, সে বিষয়ে ভূমিকা রাখতে নারী কাউন্সিলরদের প্রতি আহ্বান জানান মেয়র। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শরীফ আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার কমিউনিকেবল ডিসিজ কন্ট্রোলের (সিডিসি) পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। দক্ষিণ সিটির বিভিন্ন এলাকার কাউন্সিলর, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা এবং করপোরেশনের বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানরা মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার, ০৯ জুন ২০২১ , ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২৭ শাওয়াল ১৪৪২
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
সরকারি আবাসন-স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে জরিমানা চার গুণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
গতকাল দুপুরে নগর ভবনের মেয়র হানিফ মিলনায়তনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার ‘জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি’ আয়োজিত ‘এডিস মশা বাহিত ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগ প্রতিরোধ’ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘আমরা এখন নির্মাণাধীন স্থাপনা, বিশেষ করে সরকারি আবাসন ও নির্মাণাধীন স্থাপনাগুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছি। আমি আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতকে নির্দেশনা দিয়েছি, সরকারি আবাসন ও নির্মাণাধীন স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে জরিমানা চার গুণ করার।’
তাপস আরও বলেন, ‘আমাদের সমস্যা সমাধান করতে হলে সমস্যা চিহ্নিত করতে হবে। সরকারের বিভিন্ন নির্মাণাধীন স্থাপনা, আবাসিক কলোনি ইত্যাদিতে আমাদের মশককর্মীরা যেতে পারে না, আমাদের কাউন্সিলরদের সেখানে যেতে দেয়া হয় না। ফলে সেখানে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম দুর্বল হয়। সেখানে একবার যদি এডিস মশার বংশবিস্তার শুরু হয় তবে তা বৃহৎ আকার ধারণ করবে। সেজন্য সরকারি আবাসন-স্থাপনায় আমরা এখন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছি।’
এ সময় মেয়র তাপস সরকারি আবাসন ও নির্মাণাধীন স্থাপনাগুলোকে এডিস মশার অভয়ারণ্য হিসেবে উল্লেখ করেন।
যেসব বাড়ির ছাদে এখন বাগান করার সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে, সেসব বাড়িতে আলাপ করে ফুলের টবে যেন পানি না জমে, সে বিষয়ে ভূমিকা রাখতে নারী কাউন্সিলরদের প্রতি আহ্বান জানান মেয়র। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শরীফ আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার কমিউনিকেবল ডিসিজ কন্ট্রোলের (সিডিসি) পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। দক্ষিণ সিটির বিভিন্ন এলাকার কাউন্সিলর, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা এবং করপোরেশনের বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানরা মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।