সম্প্রতি আসামের করিমগঞ্জের সাত রপ্তানিকারককে থানায় আটকে রাখা ও পরে তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ঘটনার জেরে সিলেট-দিসপুর-দিল্লি পর্যন্ত গড়ায়। করিমগঞ্জের এই ঘটনায় বাংলাদেশের সিলেটের আমদানিকারকরা যথেষ্ঠ অস্বস্তিতে পড়েছে এবং কিছুটা অসন্তুষ্ট। ইতোমধ্যে তারা করিমগঞ্জের রপ্তানিকারকদের ভরসায় কয়েক কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন। করোনার জেরে এমনিতেই তাদের ব্যবসা গত বছর থেকেই লাটে উঠেছে। কিছুদিন হলো তারা ভারত থেকে কয়লা আমদানি শুরু করেছিলেন, কিন্তু এরই মধ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেঁউ সিলেটের আমদানিকারকদের সংকটেকে আরও গভীরে নিয়ে গেছে।
তার মধ্যে করিমগঞ্জের ঘটনাতে তারা ভীষণ উদ্বিগ্ন কিন্তু যেহেতু এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার, আইনশৃঙ্খলার প্রশ্নœ জড়িত তাই তারা এ ব্যাপারে প্রকাশ্যে কিছু বলতে বা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে না পারলেও তারা হাত গুটিয়ে বসে নেই। দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা বন্ধ থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করে তারা গত ৫ জুন আসামের মুখ্য সচিব ও কাস্টম কমিশনারকে চিঠি দিয়ে করিমগঞ্জের ও সিলেটের মধ্যে আমদানি রপ্তানি ব্যবসা আবার শুরু করার জন্য আর্জি জানিয়েছেন। বিষয়টি তারা গুয়াহাটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনারকেও লিখিতভাবে অবগত করছেন।
ইতোমধ্যে পুরো বিষয়টি নিয়ে দু’দেশর সরকারের মধ্যে নড়া-চড়া শুরু হয়েছে। সিলেট চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইনডাস্ট্রিজের পক্ষ থেকে সভাপতি আবু তাহের মোহাম্মদ শোয়েবও গত ৫ জুন আসামের মুখ্যসচিব ও শিলঙের কাস্টম কমিশনারকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, সিলেটের প্রচুর ব্যবসায়ী ভারত থেকে কয়লা, পাথর, ফল ও ভোগ্যপণ্যদ্রব্য আমদানি করে।
কিন্তু একমাত্র মেঘালয়ের হালুয়াঘাট দিয়েই আমদানি ও রপ্তানি হচ্ছে। বাকি সব স্টেশন বন্ধ হয়ে আছে। করিমগঞ্জের সুতারকান্দী ও শেওলা দিয়ে যে ব্যবসা হতো সেটাও বন্ধ হয়ে আছে।
এখন সিলেট-আসাম সীমান্তের এলসি স্টেশনগওলো বন্ধ থাকায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পণ্যগুলো আমদানি করতে না পারলে এলসিগুলো বাতিল হয়ে যাবে।
বিষয়টি এখন দু’দেশের কূটনৈতিক তৎপরতায় বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা দরকার বলে সিলেটের ব্যবসায়ীরা মনে করছেন।
বুধবার, ০৯ জুন ২০২১ , ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২৭ শাওয়াল ১৪৪২
দীপক মুখার্জী, কলকাতা
সম্প্রতি আসামের করিমগঞ্জের সাত রপ্তানিকারককে থানায় আটকে রাখা ও পরে তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ঘটনার জেরে সিলেট-দিসপুর-দিল্লি পর্যন্ত গড়ায়। করিমগঞ্জের এই ঘটনায় বাংলাদেশের সিলেটের আমদানিকারকরা যথেষ্ঠ অস্বস্তিতে পড়েছে এবং কিছুটা অসন্তুষ্ট। ইতোমধ্যে তারা করিমগঞ্জের রপ্তানিকারকদের ভরসায় কয়েক কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন। করোনার জেরে এমনিতেই তাদের ব্যবসা গত বছর থেকেই লাটে উঠেছে। কিছুদিন হলো তারা ভারত থেকে কয়লা আমদানি শুরু করেছিলেন, কিন্তু এরই মধ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেঁউ সিলেটের আমদানিকারকদের সংকটেকে আরও গভীরে নিয়ে গেছে।
তার মধ্যে করিমগঞ্জের ঘটনাতে তারা ভীষণ উদ্বিগ্ন কিন্তু যেহেতু এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার, আইনশৃঙ্খলার প্রশ্নœ জড়িত তাই তারা এ ব্যাপারে প্রকাশ্যে কিছু বলতে বা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে না পারলেও তারা হাত গুটিয়ে বসে নেই। দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা বন্ধ থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করে তারা গত ৫ জুন আসামের মুখ্য সচিব ও কাস্টম কমিশনারকে চিঠি দিয়ে করিমগঞ্জের ও সিলেটের মধ্যে আমদানি রপ্তানি ব্যবসা আবার শুরু করার জন্য আর্জি জানিয়েছেন। বিষয়টি তারা গুয়াহাটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনারকেও লিখিতভাবে অবগত করছেন।
ইতোমধ্যে পুরো বিষয়টি নিয়ে দু’দেশর সরকারের মধ্যে নড়া-চড়া শুরু হয়েছে। সিলেট চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইনডাস্ট্রিজের পক্ষ থেকে সভাপতি আবু তাহের মোহাম্মদ শোয়েবও গত ৫ জুন আসামের মুখ্যসচিব ও শিলঙের কাস্টম কমিশনারকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, সিলেটের প্রচুর ব্যবসায়ী ভারত থেকে কয়লা, পাথর, ফল ও ভোগ্যপণ্যদ্রব্য আমদানি করে।
কিন্তু একমাত্র মেঘালয়ের হালুয়াঘাট দিয়েই আমদানি ও রপ্তানি হচ্ছে। বাকি সব স্টেশন বন্ধ হয়ে আছে। করিমগঞ্জের সুতারকান্দী ও শেওলা দিয়ে যে ব্যবসা হতো সেটাও বন্ধ হয়ে আছে।
এখন সিলেট-আসাম সীমান্তের এলসি স্টেশনগওলো বন্ধ থাকায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পণ্যগুলো আমদানি করতে না পারলে এলসিগুলো বাতিল হয়ে যাবে।
বিষয়টি এখন দু’দেশের কূটনৈতিক তৎপরতায় বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা দরকার বলে সিলেটের ব্যবসায়ীরা মনে করছেন।