শাজাহান খান ও শাহাবুদ্দিন মোল্লা, পরস্পরের পদত্যাগ দাবি

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ সদস্য শাজাহান খান মাদারীপুরে জামায়াত-বিএনপিকে পুনর্বাসিত করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা। গত সোমবার রাতে জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা অভিযোগ করেন, ‘শাজাহান খান ঢাকায় গিয়ে খালেদা জিয়াকে গালাগাল করে বক্তব্য দেন। আবার রাতেই মাদারীপুরে এসে জামায়াত-শিবির ও বিএনপিকে নিয়ে মিটিং করেন। তাদের পুনর্বাসন করছেন। এসব কিন্তু ভালো লক্ষণ না। আওয়ামী লীগের লোক চিকিৎসার অভাবে ধুঁকে ধুঁকে মরে, আপনি তাদের সহযোগিতা করেন না। অথচ আপনি সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে গিয়ে বিএনপির লোকদের সহযোগিতা করেন। সেই প্রমাণও আমাদের কাছে আছে।’

গত রোববার বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতির পদত্যাগের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা করেছিলেন শাজাহান খান-সমর্থিত মুক্তিযোদ্ধারা। এ প্রসঙ্গ টেনে শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা বলেন, ‘শাজাহান খানের নেতৃত্বে আমার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা হয়েছে। সেই প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান হাওলাদার। কী তার পরিচয়? তিনি জাসদ ও বিএনপি করেছেন। বিএনপির এমন এক নেতা কি আওয়ামী লীগের সভাপতির পদত্যাগ চাইতে পারেন? এটা যারা আমরা আওয়ামী লীগ করি তাদের জন্য লজ্জার।’

সংসদ সদস্য শাজাহান খানের আগের ইতিহাস টেনে জেলা আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘বুকে হাত রেখে বলেন, ১৫ বছর আগে আপনাদের কী ছিল? এখন কী হয়েছেন? এখন যা হয়েছেন, তা রাজৈর-মাদারীপুর মানুষের ভোটে। আপনি এমপি-মন্ত্রী হয়েছেন, কিন্তু জনগণের কোন উন্নয়ন হয়নি। সাধারণ কর্মীদের কোন উন্নয়ন হয়নি।’ তিনি অভিযোগ করেন, ‘রাজৈরের ৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ মাদারীপুরের অসংখ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি শাজাহান খান নিজে, তার স্ত্রী ও সন্তান।’

শাজাহান খানের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে শাহাবুদ্দিন মোল্লা বলেন, ‘শাজাহান খান যাদের দিয়ে আমার পদত্যাগ চান, এটা ভালো লক্ষণ না। জেলা আওয়ামী লীগের অফিসে আসার মতো সৎ সাহস আপনার নেই। আমার বিরুদ্ধে কোন কথা থাকলে তা আওয়ামী লীগের পরিবারের মধ্যে আলোচনা করুন। ফেইসবুকে রাজাকার, আলবদরদের সন্তানদের দিয়ে আমাদের ও আওয়ামী লীগের কুৎসা রচনা করে যাচ্ছেন, এটা ভালো লক্ষণ না। আমি বলতে চাই, এসব বন্ধ করুন।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির, সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মাদারীপুর পৌরসভার মেয়র খালিদ হোসেন, যুবলীগের সভাপতি আতাহার হোসেন ব্যাপারী, ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদ হোসেন অনিকসহ অন্যরা।

আরও খবর
১৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩০টি সাইলো নির্মাণ করা হবে
জাতিসংঘের ৭৬তম সাধারণ পরিষদের সহ-সভাপতি বাংলাদেশ
দুর্নীতি নয়, দুর্নীতির তথ্য প্রকাশে বেশি নিয়ন্ত্রণ সরকারের
দেশে করোনার টিকা নিয়েছেন ১ কোটি ৪৮ লাখ ৭৫৬ জন
সরকারি স্থাপনায় মশার লার্ভা পেলে ৪ গুণ জরিমানা মেয়র তাপস
সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
আমদানি-রপ্তানি শুরুর ব্যবস্থা নিতে দাবি দু’দেশের ব্যবসায়ীদের
বিএনপি হয়তো বজ্রপাতে মৃত্যুর দায়ও সরকারকে দেবে কাদের
মেগা প্রজেক্ট হয়, মৌলিক অধিকার নিশ্চিত হয় না মির্জা ফখরুল
টেকনাফে পাহাড় কেটে রোহিঙ্গা ক্যাম্প নির্মাণ
১৭৬ কোটি টাকা জালিয়াতি ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বুধবার, ০৯ জুন ২০২১ , ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২৭ শাওয়াল ১৪৪২

মাদারীপুরে আ’লীগ

শাজাহান খান ও শাহাবুদ্দিন মোল্লা, পরস্পরের পদত্যাগ দাবি

জেলা বার্তা পরিবেশক, মাদারীপুর

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ সদস্য শাজাহান খান মাদারীপুরে জামায়াত-বিএনপিকে পুনর্বাসিত করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা। গত সোমবার রাতে জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা অভিযোগ করেন, ‘শাজাহান খান ঢাকায় গিয়ে খালেদা জিয়াকে গালাগাল করে বক্তব্য দেন। আবার রাতেই মাদারীপুরে এসে জামায়াত-শিবির ও বিএনপিকে নিয়ে মিটিং করেন। তাদের পুনর্বাসন করছেন। এসব কিন্তু ভালো লক্ষণ না। আওয়ামী লীগের লোক চিকিৎসার অভাবে ধুঁকে ধুঁকে মরে, আপনি তাদের সহযোগিতা করেন না। অথচ আপনি সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে গিয়ে বিএনপির লোকদের সহযোগিতা করেন। সেই প্রমাণও আমাদের কাছে আছে।’

গত রোববার বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতির পদত্যাগের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা করেছিলেন শাজাহান খান-সমর্থিত মুক্তিযোদ্ধারা। এ প্রসঙ্গ টেনে শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা বলেন, ‘শাজাহান খানের নেতৃত্বে আমার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা হয়েছে। সেই প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান হাওলাদার। কী তার পরিচয়? তিনি জাসদ ও বিএনপি করেছেন। বিএনপির এমন এক নেতা কি আওয়ামী লীগের সভাপতির পদত্যাগ চাইতে পারেন? এটা যারা আমরা আওয়ামী লীগ করি তাদের জন্য লজ্জার।’

সংসদ সদস্য শাজাহান খানের আগের ইতিহাস টেনে জেলা আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘বুকে হাত রেখে বলেন, ১৫ বছর আগে আপনাদের কী ছিল? এখন কী হয়েছেন? এখন যা হয়েছেন, তা রাজৈর-মাদারীপুর মানুষের ভোটে। আপনি এমপি-মন্ত্রী হয়েছেন, কিন্তু জনগণের কোন উন্নয়ন হয়নি। সাধারণ কর্মীদের কোন উন্নয়ন হয়নি।’ তিনি অভিযোগ করেন, ‘রাজৈরের ৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ মাদারীপুরের অসংখ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি শাজাহান খান নিজে, তার স্ত্রী ও সন্তান।’

শাজাহান খানের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে শাহাবুদ্দিন মোল্লা বলেন, ‘শাজাহান খান যাদের দিয়ে আমার পদত্যাগ চান, এটা ভালো লক্ষণ না। জেলা আওয়ামী লীগের অফিসে আসার মতো সৎ সাহস আপনার নেই। আমার বিরুদ্ধে কোন কথা থাকলে তা আওয়ামী লীগের পরিবারের মধ্যে আলোচনা করুন। ফেইসবুকে রাজাকার, আলবদরদের সন্তানদের দিয়ে আমাদের ও আওয়ামী লীগের কুৎসা রচনা করে যাচ্ছেন, এটা ভালো লক্ষণ না। আমি বলতে চাই, এসব বন্ধ করুন।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির, সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মাদারীপুর পৌরসভার মেয়র খালিদ হোসেন, যুবলীগের সভাপতি আতাহার হোসেন ব্যাপারী, ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদ হোসেন অনিকসহ অন্যরা।