১৭৬ কোটি টাকা জালিয়াতি ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ভুয়া নথিপত্রে আবর বাংলাদেশ ব্যাংক (এবি ব্যাংক) থেকে১৭৬ কোটি টাকা জালিয়াতি করে ঋণ নেয়া এবং সেই টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এরশাদ ব্রাদাস করপোরেশনের মালিক (সিইও)এরশাদ আলী, সংশ্লিষ্টবাংকের সাবেক এমডি শামিম আহমেদ চৌধুরী ও মশিউর রহমানসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।গতকাল দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ১-এ মামলাটি করেন দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ।

মামলায় আসামি করা হয়েছে, এবি ব্যাংকের কাকরাইল ইসলামী শাখারসাবকে ম্যানেজারবিএম আবদুস সাত্তার,সাবেক এভিপি মো. আবদুর রহিম, সাবেক এসভিপি মো. আনিসুর রহমান, ভিপি মো. শহিদুল ইসলাম, এভিপি মো. রুহুল আমিন, প্রধান কার্যালয়ের ইভিপি ওয়াসিকা আফরোজী, ভিপি মুফতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক এসই ভিপি সালমা আক্তার, এভিপি মোহাম্মদ এমারত হোসেন ফকির, পিন্সিপাল অফিসার মো. তৌহিদুল ইসলাম, এসভিপি শামীম এ মোর্শেদ, ভিপি খন্দকার রাশেদ আনোয়ার, এভিপি সিরাজুল ইসলাম, ক্রেডিট কমিটির সদস্য মোহাম্মদ মাহফুল উল ইসলাম।

মামলা নথি থেকে জানা গেছে, মেসার্স এরশাদ ব্রাদার্স করপোরেশন আবর বাংলাদেশ ব্যাংক কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংকিং শাখার গ্রাহক। ওই শাখায় ২০১০ সাল থেকে ব্যবসায়িক লেনদেন করেন প্রতিষ্ঠানটি।পদ্মা মাল্টিপারপাস ব্রিজ প্রজেক্ট অফিস ঠিকাদার সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেড এবংচায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের নামে ৬টি ভুয়া ও জাল ওয়ার্ক ওয়ার্ড তৈরি করে। ওয়ার্ক অর্ডারটি জনৈক আমিনুল ইসলামের নামে ইস্যু করা হয় যার সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের কোন সম্পর্কই নেই।৬টি ওয়ার্ক অর্ডারের বিপরীতে১৬৬ কোটি১৯ লাখ টাকা ঋণ আবেদন করা হয়। জাল ওয়ার্ক অর্ডার সংশ্লিষ্ট শাখার তৎকালীন ম্যানেজারবিএম আবদুস সাত্তার, এভিপিমো. আবদুর রহিম, মো. আনিসুর রহমান, মো. শহিদুল ইসলাম যাচাই-বাছাই না করেই ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হয়েঋণ দেয়ার সুপারিশ করেক্রেডিড রিস্ক ম্যানেজম্যান্ট ডিভিশনেপাঠান।ওই শাখার দায়িত্বপ্রাপ্তরা ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করার জন্য ক্রেডিড কমিটির কাছে পাঠায়।পরে ক্রেডিড কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত মো. মাহফুজ উল হক, সাবেক তৎকালীন ডিএমডি (পরে এমডি হন)মশিউর রহমান এবংতৎকালীণ এমডি শামীম আহমেদ চৌধুরী যোগসাজশ করে ঋণ মঞ্জুর করেন।অনুসন্ধানে দুদক জানতে পারে, এরশাদ ব্রাদার্স করপোরেশনের মালিক এরশাদ আলী ২০১৭-১৮ সালে ৭টিব্যাংক গ্যারান্টির মাধ্যমেসংশ্লিষ্ট শাখা থেকে ১০ কোটি টাকাগ্রহণ করেন।ব্যাংক গারান্টির নামে যে টাকা নিয়েছেন সে বিষয়ে কোন অনুমোদন ছিল না। অনুমোদনহীন এ ব্যাংক গারান্টি ১ বছর মেয়াদে করা যায় যা ব্যাংকিং ধারায় অবৈধ।

দুদক সূত্র জানায়, এরশাদ ব্রাদার্স করপোরেশনের মালিকএরশাদ আলী ১৭৬ কোটি টাকারও বেশি ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। এর এ টাকায় ওই ব্যাংকের সাবেকএমডি শামীম আহমেদ চৌধুরী, ডিএমডি মশিউর রহমানসহ (পরে এমডি হন), ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা সহযোগিতা করেছেন।অনীয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ঋণের ব্যাপারে সব ধরনের সহযোগিতার বিনিময়ে তারা নিজেরাও লাভবান হয়েছেন। তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাবে দুদক।

আরও খবর
১৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩০টি সাইলো নির্মাণ করা হবে
জাতিসংঘের ৭৬তম সাধারণ পরিষদের সহ-সভাপতি বাংলাদেশ
দুর্নীতি নয়, দুর্নীতির তথ্য প্রকাশে বেশি নিয়ন্ত্রণ সরকারের
দেশে করোনার টিকা নিয়েছেন ১ কোটি ৪৮ লাখ ৭৫৬ জন
সরকারি স্থাপনায় মশার লার্ভা পেলে ৪ গুণ জরিমানা মেয়র তাপস
সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
আমদানি-রপ্তানি শুরুর ব্যবস্থা নিতে দাবি দু’দেশের ব্যবসায়ীদের
বিএনপি হয়তো বজ্রপাতে মৃত্যুর দায়ও সরকারকে দেবে কাদের
শাজাহান খান ও শাহাবুদ্দিন মোল্লা, পরস্পরের পদত্যাগ দাবি
মেগা প্রজেক্ট হয়, মৌলিক অধিকার নিশ্চিত হয় না মির্জা ফখরুল
টেকনাফে পাহাড় কেটে রোহিঙ্গা ক্যাম্প নির্মাণ

বুধবার, ০৯ জুন ২০২১ , ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২৭ শাওয়াল ১৪৪২

১৭৬ কোটি টাকা জালিয়াতি ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

ভুয়া নথিপত্রে আবর বাংলাদেশ ব্যাংক (এবি ব্যাংক) থেকে১৭৬ কোটি টাকা জালিয়াতি করে ঋণ নেয়া এবং সেই টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এরশাদ ব্রাদাস করপোরেশনের মালিক (সিইও)এরশাদ আলী, সংশ্লিষ্টবাংকের সাবেক এমডি শামিম আহমেদ চৌধুরী ও মশিউর রহমানসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।গতকাল দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ১-এ মামলাটি করেন দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ।

মামলায় আসামি করা হয়েছে, এবি ব্যাংকের কাকরাইল ইসলামী শাখারসাবকে ম্যানেজারবিএম আবদুস সাত্তার,সাবেক এভিপি মো. আবদুর রহিম, সাবেক এসভিপি মো. আনিসুর রহমান, ভিপি মো. শহিদুল ইসলাম, এভিপি মো. রুহুল আমিন, প্রধান কার্যালয়ের ইভিপি ওয়াসিকা আফরোজী, ভিপি মুফতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক এসই ভিপি সালমা আক্তার, এভিপি মোহাম্মদ এমারত হোসেন ফকির, পিন্সিপাল অফিসার মো. তৌহিদুল ইসলাম, এসভিপি শামীম এ মোর্শেদ, ভিপি খন্দকার রাশেদ আনোয়ার, এভিপি সিরাজুল ইসলাম, ক্রেডিট কমিটির সদস্য মোহাম্মদ মাহফুল উল ইসলাম।

মামলা নথি থেকে জানা গেছে, মেসার্স এরশাদ ব্রাদার্স করপোরেশন আবর বাংলাদেশ ব্যাংক কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংকিং শাখার গ্রাহক। ওই শাখায় ২০১০ সাল থেকে ব্যবসায়িক লেনদেন করেন প্রতিষ্ঠানটি।পদ্মা মাল্টিপারপাস ব্রিজ প্রজেক্ট অফিস ঠিকাদার সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেড এবংচায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের নামে ৬টি ভুয়া ও জাল ওয়ার্ক ওয়ার্ড তৈরি করে। ওয়ার্ক অর্ডারটি জনৈক আমিনুল ইসলামের নামে ইস্যু করা হয় যার সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের কোন সম্পর্কই নেই।৬টি ওয়ার্ক অর্ডারের বিপরীতে১৬৬ কোটি১৯ লাখ টাকা ঋণ আবেদন করা হয়। জাল ওয়ার্ক অর্ডার সংশ্লিষ্ট শাখার তৎকালীন ম্যানেজারবিএম আবদুস সাত্তার, এভিপিমো. আবদুর রহিম, মো. আনিসুর রহমান, মো. শহিদুল ইসলাম যাচাই-বাছাই না করেই ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হয়েঋণ দেয়ার সুপারিশ করেক্রেডিড রিস্ক ম্যানেজম্যান্ট ডিভিশনেপাঠান।ওই শাখার দায়িত্বপ্রাপ্তরা ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করার জন্য ক্রেডিড কমিটির কাছে পাঠায়।পরে ক্রেডিড কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত মো. মাহফুজ উল হক, সাবেক তৎকালীন ডিএমডি (পরে এমডি হন)মশিউর রহমান এবংতৎকালীণ এমডি শামীম আহমেদ চৌধুরী যোগসাজশ করে ঋণ মঞ্জুর করেন।অনুসন্ধানে দুদক জানতে পারে, এরশাদ ব্রাদার্স করপোরেশনের মালিক এরশাদ আলী ২০১৭-১৮ সালে ৭টিব্যাংক গ্যারান্টির মাধ্যমেসংশ্লিষ্ট শাখা থেকে ১০ কোটি টাকাগ্রহণ করেন।ব্যাংক গারান্টির নামে যে টাকা নিয়েছেন সে বিষয়ে কোন অনুমোদন ছিল না। অনুমোদনহীন এ ব্যাংক গারান্টি ১ বছর মেয়াদে করা যায় যা ব্যাংকিং ধারায় অবৈধ।

দুদক সূত্র জানায়, এরশাদ ব্রাদার্স করপোরেশনের মালিকএরশাদ আলী ১৭৬ কোটি টাকারও বেশি ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। এর এ টাকায় ওই ব্যাংকের সাবেকএমডি শামীম আহমেদ চৌধুরী, ডিএমডি মশিউর রহমানসহ (পরে এমডি হন), ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা সহযোগিতা করেছেন।অনীয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ঋণের ব্যাপারে সব ধরনের সহযোগিতার বিনিময়ে তারা নিজেরাও লাভবান হয়েছেন। তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাবে দুদক।