নন-এমপিও প্রসঙ্গে

১৯৯৩ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদক্রমে দেশের উচ্চশিক্ষার চাপ সামলাতে দেশের বিভিন্ন বেসরকারি কলেজে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর কোর্স চালু করা হয়। বিভিন্ন মানদ-ের ভিত্তিতে এ অনুমোদন প্রক্রিয়া এখনও অব্যাহত আছে। কিন্তু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা সরকার কোন পক্ষই এসব শিক্ষকদের বেতনের দায় নিতে চায় না। বিভিন্ন গণমাধ্যম ও শিক্ষক সংগঠনের তথ্য মতে বর্তমানে সারাদেশে প্রায় ৩১৫ কলেজে ৪ হাজার ৫০০ অধিক শিক্ষক এ স্তরে কর্মরত।

কিন্তু ১৯৯৩ সালের পূর্বে জনবল কাঠামোতে একটি ডিগ্রি কলেজে সর্বোচ্চ দুজন শিক্ষকের পদ সৃজন থাকায় এ স্তরে কর্মরত অন্য শিক্ষকরা সরকারি এমপিও সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আবার একই বিধিতে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সদ্য জাতীয়করণকৃত কলেজের এ স্তরের শিক্ষকবৃন্দ আত্তীকরণের আওতাভুক্ত হয়েছেন। এখন বিষয় হচ্ছে, একই বিধিতে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এ স্তরের শিক্ষকরা কেন বঞ্চিত হবেন।

এদিকে ২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে এ অভিশপ্ততা থেকে মুক্তির প্রয়াসে কিছু শিক্ষক উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হয়। ২০১৮ সালে উচ্চ আদালত শিক্ষকদের এ মানবিক ও যৌক্তিক দাবির পক্ষে রায় দেয়।

সরকার পক্ষ এটির বিপরীতে আবার আপিল করলে আদালত শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তির আদেশ দেয়। কিন্তু কার্যত রায় প্রকাশের পর দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হলেও এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ের কোন সুরাহা হয়নি। সবশেষে এ স্তরে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের একটিই প্রশ্ন, উন্নয়ন অগ্রযাত্রার আগামী উন্নয়নশীল বাংলাদেশে ২৯ বৎসরের ননএমপিও এ অভিশপ্ততার মুক্তি মিলবে তো?

চিরঞ্জীব চ্যাটার্জী

বুধবার, ০৯ জুন ২০২১ , ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২৭ শাওয়াল ১৪৪২

নন-এমপিও প্রসঙ্গে

১৯৯৩ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদক্রমে দেশের উচ্চশিক্ষার চাপ সামলাতে দেশের বিভিন্ন বেসরকারি কলেজে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর কোর্স চালু করা হয়। বিভিন্ন মানদ-ের ভিত্তিতে এ অনুমোদন প্রক্রিয়া এখনও অব্যাহত আছে। কিন্তু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা সরকার কোন পক্ষই এসব শিক্ষকদের বেতনের দায় নিতে চায় না। বিভিন্ন গণমাধ্যম ও শিক্ষক সংগঠনের তথ্য মতে বর্তমানে সারাদেশে প্রায় ৩১৫ কলেজে ৪ হাজার ৫০০ অধিক শিক্ষক এ স্তরে কর্মরত।

কিন্তু ১৯৯৩ সালের পূর্বে জনবল কাঠামোতে একটি ডিগ্রি কলেজে সর্বোচ্চ দুজন শিক্ষকের পদ সৃজন থাকায় এ স্তরে কর্মরত অন্য শিক্ষকরা সরকারি এমপিও সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আবার একই বিধিতে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সদ্য জাতীয়করণকৃত কলেজের এ স্তরের শিক্ষকবৃন্দ আত্তীকরণের আওতাভুক্ত হয়েছেন। এখন বিষয় হচ্ছে, একই বিধিতে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এ স্তরের শিক্ষকরা কেন বঞ্চিত হবেন।

এদিকে ২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে এ অভিশপ্ততা থেকে মুক্তির প্রয়াসে কিছু শিক্ষক উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হয়। ২০১৮ সালে উচ্চ আদালত শিক্ষকদের এ মানবিক ও যৌক্তিক দাবির পক্ষে রায় দেয়।

সরকার পক্ষ এটির বিপরীতে আবার আপিল করলে আদালত শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তির আদেশ দেয়। কিন্তু কার্যত রায় প্রকাশের পর দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হলেও এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ের কোন সুরাহা হয়নি। সবশেষে এ স্তরে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের একটিই প্রশ্ন, উন্নয়ন অগ্রযাত্রার আগামী উন্নয়নশীল বাংলাদেশে ২৯ বৎসরের ননএমপিও এ অভিশপ্ততার মুক্তি মিলবে তো?

চিরঞ্জীব চ্যাটার্জী