হারিয়ে যাচ্ছে চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক নিদর্শন

চট্টগ্রামকে বলা হয় হাজারো বছরের চট্টগ্রাম। প্রাচীন এই নগরীতে আজ থেকে সাড়ে চার হাজার বছর আগেও মানব বসতি ছিল বলে গকেষণায় জানা গেছে। প্রাচীন গ্রন্থ মহাভারতের বিভিন্ন শ্লোকে আদিনাথ, চন্দ্রনাথ ও কাঞ্চননাথের কথা উল্লেখ পাওয়া যায়। আর এগুলোর অবস্থান চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ড, ফটিকছড়ি ও কক্সবাজারের মহেশখালীতে।

ইতিহাস সমৃদ্ধ এ তিন স্মৃতির স্মারক অযতেœ অবহেলায় ধ্বংসের প্রহর গুনছে। রাষ্ট্রের সার্বিক সহযোগিতা ও সংরক্ষণের উদ্যোগবিহীন এ ইতিহাসের স্মারক রক্ষা করা অসম্ভব।

চট্টগ্রামের প্রাচীন প্রত্ননিদর্শনগুলো সংরক্ষণ, নিয়ম মোতাবেক সংস্কার ও জাতীয়-আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রচার প্রকাশ করতে পারলে চট্টগ্রামের গৌরব ও সম্মান বৃদ্ধি পাবে। যথোপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বহির্বিশ্বের পর্যটকের আগমন ঘটবে ফলে দেশের অর্থনীতি উন্নয়নও সম্ভব। উন্নত বিশ্বের প্রায় দেশে সে জাতি ও দেশের ঐতিহ্য রক্ষা ও সংরক্ষণ করে আসছে।

আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রায় অর্ধশত প্রতœতত্ত্ব নিদর্শন পরিদর্শন করে আলোকচিত্র ধারণ করেছি। সেগুলোর দেশে বিদেশে উনিশটি একক চিত্রপ্রদর্শনী করে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করেছি। বর্তমান অবস্থায় সংরক্ষণ ও আইনে সংস্কার করা না হলে খুব অল্প সময়ে এগুলো ধ্বংস হয়ে যাবে। ইতিহাসের পাতা থেকে হারিয়ে যাবে আমাদের গৌরবের অনেক প্রাচীন নিদর্শন। তাই অচিরেই এসব ঐতিহ্য রক্ষা ও সংরক্ষণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করত হবে।

রাজিব শর্মা

বুধবার, ০৯ জুন ২০২১ , ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২৭ শাওয়াল ১৪৪২

হারিয়ে যাচ্ছে চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক নিদর্শন

চট্টগ্রামকে বলা হয় হাজারো বছরের চট্টগ্রাম। প্রাচীন এই নগরীতে আজ থেকে সাড়ে চার হাজার বছর আগেও মানব বসতি ছিল বলে গকেষণায় জানা গেছে। প্রাচীন গ্রন্থ মহাভারতের বিভিন্ন শ্লোকে আদিনাথ, চন্দ্রনাথ ও কাঞ্চননাথের কথা উল্লেখ পাওয়া যায়। আর এগুলোর অবস্থান চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ড, ফটিকছড়ি ও কক্সবাজারের মহেশখালীতে।

ইতিহাস সমৃদ্ধ এ তিন স্মৃতির স্মারক অযতেœ অবহেলায় ধ্বংসের প্রহর গুনছে। রাষ্ট্রের সার্বিক সহযোগিতা ও সংরক্ষণের উদ্যোগবিহীন এ ইতিহাসের স্মারক রক্ষা করা অসম্ভব।

চট্টগ্রামের প্রাচীন প্রত্ননিদর্শনগুলো সংরক্ষণ, নিয়ম মোতাবেক সংস্কার ও জাতীয়-আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রচার প্রকাশ করতে পারলে চট্টগ্রামের গৌরব ও সম্মান বৃদ্ধি পাবে। যথোপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বহির্বিশ্বের পর্যটকের আগমন ঘটবে ফলে দেশের অর্থনীতি উন্নয়নও সম্ভব। উন্নত বিশ্বের প্রায় দেশে সে জাতি ও দেশের ঐতিহ্য রক্ষা ও সংরক্ষণ করে আসছে।

আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রায় অর্ধশত প্রতœতত্ত্ব নিদর্শন পরিদর্শন করে আলোকচিত্র ধারণ করেছি। সেগুলোর দেশে বিদেশে উনিশটি একক চিত্রপ্রদর্শনী করে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করেছি। বর্তমান অবস্থায় সংরক্ষণ ও আইনে সংস্কার করা না হলে খুব অল্প সময়ে এগুলো ধ্বংস হয়ে যাবে। ইতিহাসের পাতা থেকে হারিয়ে যাবে আমাদের গৌরবের অনেক প্রাচীন নিদর্শন। তাই অচিরেই এসব ঐতিহ্য রক্ষা ও সংরক্ষণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করত হবে।

রাজিব শর্মা