সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে নতুন দরিদ্রদের কোন স্বীকৃতি নেই

প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরে চলমান করোনার প্রভাবে দেশের অনেক মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে গেছে। শ্রমিক ও কর্মজীবী মানুষ কাজ হারিয়ে বেকার জীবনযাপন করছে। শুধু তাই নয়, কোভিড-১৯-এর ফলে চাকরি হারানো, আয় কমে যাওয়া, ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাওয়া ইত্যাদিও পরিলক্ষিত হচ্ছে। শহরের অনেক মানুষ গ্রামে ফিরছে, অভিবাসীরা তাদের চাকরি হারিয়ে দেশে ফিরছে আর সম্ভাব্য অভিবাসীদের অভিবাসন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সরকার বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির বরাদ্দ বৃদ্ধি করলেও করোনার কারণে নতুন যুক্ত হওয়া দরিদ্ররা এতে দৃশ্যমান নয়।

গতকাল অনলাইনে ‘খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ’ আয়োজিত ‘বাজেট ২০২১-২২ : করোনাকালে জীবন ও জীবিকা’ শীর্ষক ওয়েবিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ ও পিকেএসএফের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ-এর সভাপতিত্বে এবং খাদ্য অধিকার বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক ও ওয়েভ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মহসিন আলীর সঞ্চালনায় এ ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।

পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, ‘এবারের বাজেটে দারিদ্র্য ও ন্যায়বিচারকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে যেখানে নাগরিক হিসেবে জনমানুষের চাহিদার প্রতিফলন ঘটেছে। তবে জীবনচক্রের কথা বিবেচনায় নিয়ে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ঢেলে সাজানো প্রয়োজন। আর কর্মসূচির যথাযথ বাস্তবায়নে দরকার উপকারভোগীর সঠিক তথ্যভা-ার।’ একই সঙ্গে সময়মত গুণগত তথ্যের প্রাপ্যতার প্রয়োজনীয়তার উপরও তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, ‘পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করতে না পারলে বাংলাদেশের নড়বড়ে অর্থনীতির পুনরুদ্ধার ঘটবে না। গ্রামীণ অর্থনীতি ব্যাপকভাবে ভেঙে পড়বে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সবাইকে সঙ্গে নিয়ে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। যেখানে সবার মানবিক মর্যাদা নিশ্চিত হবে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর, সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এতে সম্মানীয় আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন। ভার্চুয়াল এই ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সায়েমা হক বিদিশা।

সম্মানীয় আলোচকের বক্তব্যে ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর বলেন, ‘করোনা অতিমারী জীবন ও জীবিকার ওপর মারাত্মক আঘাত হেনেছে। এর ফলে যেকোন হিসাবেই নতুন দারিদ্র্য বেড়েছে এবং দারিদ্র্যের হার তিন দশক আগের হারে পৌঁছে গেছে। সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা এবং যথাযথ ব্যবস্থার অভাবে যে কোন দুর্যোগে আমাদের দারিদ্র্যের পরিমাণ বেড়ে যায়। জাতীয় খানাভিত্তিক তথ্যভা-ারের অভাবে সঠিক জনগোষ্ঠীর কাছে সাহায্য যায় না। এবারের বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির বরাদ্দ বাড়ানো হলেও মাথাপিছু বরাদ্দ বাড়েনি।

তিনি আরও বলেন, ‘জীবন ও জীবিকার নিরাপত্তার জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে বরাদ্দ সবচেয়ে বেশি দরকার ছিল। সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে আগের বছরের চেয়ে বরাদ্দ ১৩ শতাংশ বেড়েছে। নতুন ১৪ লাখ মানুষকে এর আওতায় আনা হয়েছে। নগর দরিদ্রসহ আড়াই কোটি নতুন দরিদ্রের জন্য তা অপ্রতুল। উপরন্তু বরাদ্দকৃত অর্থের বেশিরভাগ অংশ সরকারি কর্মচারীদের পেনশন, সঞ্চয়পত্রের সুদ প্রভৃতি প্রদানে ব্যয় হবে।’

ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘এবারের বাজেটে সরকার স্বাস্থ্য, কৃষি, কর্মসংস্থান এবং স্টিমুলাস প্যাকেজকে মূল বিবেচনায় নিয়েছে। তবে বেশকিছু বরাদ্দের ক্ষেত্রে রিস্ট্রাকচারিং হলে ভালো হতো। যেমন-সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ছোট ছোট অনেক উপখাতের বরাদ্দ কমানো হয়েছে, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্যও পর্যাপ্ত বরাদ্দের সুযোগ নেই যা মানুষকে দারিদ্র্যের বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার ক্ষেত্রে অন্তরায়। বর্তমান পরিস্থিতিতে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর খাদ্য অধিকার নিশ্চিতকরণে ওএমএস কার্যক্রম বাড়ানো, খাদ্য বাজার স্থিতিশীলকরণে পণ্যের আমদানি বাড়ানো, পেশাভিত্তিক দারিদ্র্যের ডাটাবেজ তৈরি এবং সে আলোকে সহায়তা প্রদান, দেশের এনজিওসমূহকে এ ধরনের কাজে সম্পৃক্তকরণ প্রভৃতির পাশাপাশি ক্ষুদ্র উদ্যোগসমূহকে দাঁড় করানোর লক্ষ্যে বিস্তৃত পরিসরে কর্মসূচি গ্রহণ প্রয়োজন।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে ড. সায়েমা হক বিদিশা বলেন, ‘শুধুমাত্র দারিদ্র্যের কথা চিন্তা করলে হবে না। যারা অর্থনৈতিকভাবে নাজুক অবস্থায় রয়েছে এরূপ জনগোষ্ঠীর জীবনমানের উন্নয়নে নীতিগত জায়গায় আমাদের কাজ করতে হবে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, এই করোনাকালে নি¤œ আয়ের মানুষের খাদ্য অধিকার ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। অনেক মানুষ কর্মসংস্থান হারিয়ে বেকার হয়েছে। মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যুহার বৃদ্ধিসহ সার্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। তিনি আরও বলেন, ২০১৬ সালের খানা জরিপে দেখা গেছে, ২৪.৩ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। আর দারিদ্র্যসীমার কাছাকাছি যে মানুষগুলো থাকে তারা যে কোন দুর্যোগের কবলে পড়লেই দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যায়। দেশের বিভিন্ন অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতগুলোতে নতুন করে দারিদ্র্য ঝুঁকি বেড়েছে। এক গাণিতিক হিসেবে দেখা গেছে, প্রায় ৯-১০ শতাংশ মানুষ খাদ্য দারিদ্র্যে ভুগছে।’

বৃহস্পতিবার, ১০ জুন ২০২১ , ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২৮ শাওয়াল ১৪৪২

খাদ্য অধিকার বাংলাদেশের বাজেট প্রতিক্রিয়া

সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে নতুন দরিদ্রদের কোন স্বীকৃতি নেই

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরে চলমান করোনার প্রভাবে দেশের অনেক মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে গেছে। শ্রমিক ও কর্মজীবী মানুষ কাজ হারিয়ে বেকার জীবনযাপন করছে। শুধু তাই নয়, কোভিড-১৯-এর ফলে চাকরি হারানো, আয় কমে যাওয়া, ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাওয়া ইত্যাদিও পরিলক্ষিত হচ্ছে। শহরের অনেক মানুষ গ্রামে ফিরছে, অভিবাসীরা তাদের চাকরি হারিয়ে দেশে ফিরছে আর সম্ভাব্য অভিবাসীদের অভিবাসন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সরকার বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির বরাদ্দ বৃদ্ধি করলেও করোনার কারণে নতুন যুক্ত হওয়া দরিদ্ররা এতে দৃশ্যমান নয়।

গতকাল অনলাইনে ‘খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ’ আয়োজিত ‘বাজেট ২০২১-২২ : করোনাকালে জীবন ও জীবিকা’ শীর্ষক ওয়েবিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ ও পিকেএসএফের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ-এর সভাপতিত্বে এবং খাদ্য অধিকার বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক ও ওয়েভ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মহসিন আলীর সঞ্চালনায় এ ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।

পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, ‘এবারের বাজেটে দারিদ্র্য ও ন্যায়বিচারকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে যেখানে নাগরিক হিসেবে জনমানুষের চাহিদার প্রতিফলন ঘটেছে। তবে জীবনচক্রের কথা বিবেচনায় নিয়ে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ঢেলে সাজানো প্রয়োজন। আর কর্মসূচির যথাযথ বাস্তবায়নে দরকার উপকারভোগীর সঠিক তথ্যভা-ার।’ একই সঙ্গে সময়মত গুণগত তথ্যের প্রাপ্যতার প্রয়োজনীয়তার উপরও তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, ‘পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করতে না পারলে বাংলাদেশের নড়বড়ে অর্থনীতির পুনরুদ্ধার ঘটবে না। গ্রামীণ অর্থনীতি ব্যাপকভাবে ভেঙে পড়বে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সবাইকে সঙ্গে নিয়ে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। যেখানে সবার মানবিক মর্যাদা নিশ্চিত হবে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর, সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এতে সম্মানীয় আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন। ভার্চুয়াল এই ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সায়েমা হক বিদিশা।

সম্মানীয় আলোচকের বক্তব্যে ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর বলেন, ‘করোনা অতিমারী জীবন ও জীবিকার ওপর মারাত্মক আঘাত হেনেছে। এর ফলে যেকোন হিসাবেই নতুন দারিদ্র্য বেড়েছে এবং দারিদ্র্যের হার তিন দশক আগের হারে পৌঁছে গেছে। সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা এবং যথাযথ ব্যবস্থার অভাবে যে কোন দুর্যোগে আমাদের দারিদ্র্যের পরিমাণ বেড়ে যায়। জাতীয় খানাভিত্তিক তথ্যভা-ারের অভাবে সঠিক জনগোষ্ঠীর কাছে সাহায্য যায় না। এবারের বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির বরাদ্দ বাড়ানো হলেও মাথাপিছু বরাদ্দ বাড়েনি।

তিনি আরও বলেন, ‘জীবন ও জীবিকার নিরাপত্তার জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে বরাদ্দ সবচেয়ে বেশি দরকার ছিল। সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে আগের বছরের চেয়ে বরাদ্দ ১৩ শতাংশ বেড়েছে। নতুন ১৪ লাখ মানুষকে এর আওতায় আনা হয়েছে। নগর দরিদ্রসহ আড়াই কোটি নতুন দরিদ্রের জন্য তা অপ্রতুল। উপরন্তু বরাদ্দকৃত অর্থের বেশিরভাগ অংশ সরকারি কর্মচারীদের পেনশন, সঞ্চয়পত্রের সুদ প্রভৃতি প্রদানে ব্যয় হবে।’

ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘এবারের বাজেটে সরকার স্বাস্থ্য, কৃষি, কর্মসংস্থান এবং স্টিমুলাস প্যাকেজকে মূল বিবেচনায় নিয়েছে। তবে বেশকিছু বরাদ্দের ক্ষেত্রে রিস্ট্রাকচারিং হলে ভালো হতো। যেমন-সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ছোট ছোট অনেক উপখাতের বরাদ্দ কমানো হয়েছে, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্যও পর্যাপ্ত বরাদ্দের সুযোগ নেই যা মানুষকে দারিদ্র্যের বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার ক্ষেত্রে অন্তরায়। বর্তমান পরিস্থিতিতে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর খাদ্য অধিকার নিশ্চিতকরণে ওএমএস কার্যক্রম বাড়ানো, খাদ্য বাজার স্থিতিশীলকরণে পণ্যের আমদানি বাড়ানো, পেশাভিত্তিক দারিদ্র্যের ডাটাবেজ তৈরি এবং সে আলোকে সহায়তা প্রদান, দেশের এনজিওসমূহকে এ ধরনের কাজে সম্পৃক্তকরণ প্রভৃতির পাশাপাশি ক্ষুদ্র উদ্যোগসমূহকে দাঁড় করানোর লক্ষ্যে বিস্তৃত পরিসরে কর্মসূচি গ্রহণ প্রয়োজন।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে ড. সায়েমা হক বিদিশা বলেন, ‘শুধুমাত্র দারিদ্র্যের কথা চিন্তা করলে হবে না। যারা অর্থনৈতিকভাবে নাজুক অবস্থায় রয়েছে এরূপ জনগোষ্ঠীর জীবনমানের উন্নয়নে নীতিগত জায়গায় আমাদের কাজ করতে হবে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, এই করোনাকালে নি¤œ আয়ের মানুষের খাদ্য অধিকার ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। অনেক মানুষ কর্মসংস্থান হারিয়ে বেকার হয়েছে। মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যুহার বৃদ্ধিসহ সার্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। তিনি আরও বলেন, ২০১৬ সালের খানা জরিপে দেখা গেছে, ২৪.৩ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। আর দারিদ্র্যসীমার কাছাকাছি যে মানুষগুলো থাকে তারা যে কোন দুর্যোগের কবলে পড়লেই দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যায়। দেশের বিভিন্ন অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতগুলোতে নতুন করে দারিদ্র্য ঝুঁকি বেড়েছে। এক গাণিতিক হিসেবে দেখা গেছে, প্রায় ৯-১০ শতাংশ মানুষ খাদ্য দারিদ্র্যে ভুগছে।’