চীনকে ঠেকাতে নতুন ‘স্ট্রাইক ফোর্স’ গঠন যুক্তরাষ্ট্রের

চীনের মতো প্রতিযোগীদের ‘অন্যায় বাণিজ্য কৌশল’ ঠেকাতে নতুন একটি ‘স্ট্রাইক ফোর্স’ গঠনের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়। বিবিসি

বাইডেন প্রশাসনের ঘোষণা অনুযায়ী নবগঠিত এ স্ট্রাইক ফোর্স বাণিজ্যনীতির লঙ্ঘনের বিষয়টি নজরদারি করবে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, এতে করে বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘœ সৃষ্টি হয়েছে। চীন ব্যবসা বিস্তারে যেসব ‘অন্যায়’ কাজ করছে তার প্রতিকার করাই হবে এর উদ্দেশ্য।

বাইডেন প্রশাসনের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধিদের নেতৃত্বে এ ‘সাপ্লাই চেইন ট্রেড স্ট্রাইক ফোর্স’ সুনির্দিষ্টভাবে সেই সব বাণিজ্য বিধি লঙ্ঘনের দিকে নজর রাখবে যেগুলোর কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ ব্যবস্থা ‘ফাঁপা’ হয়ে গেছে।

কম্পিউটার চিপের মতো পণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থা নিয়ে এক পর্যালোচনার পর বাইডেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা দেয়া হলো। কম্পিউটার চিপ যথাসময়ে না পাওয়ার কারণে অনেক কোম্পানির উৎপাদন ব্যবস্থা বিলম্বিত হচ্ছে বলে ওই পর্যালোচনায় উঠে এসেছে।

গত ফেব্রুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহ ব্যবস্থা নিয়ে একটি পর্যালোচনা প্রতিবেদন তৈরি এবং ১০০ দিনের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেন। সেই পর্যালোচনা প্রতিবেদন পাওয়ার পর বাইডেন প্রশাসন এই পদক্ষেপ নিল।

জো বাইডেন ওই প্রতিবেদনে ওষুধ শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ পণ্য এবং বিরল খনিজ পণ্য যেগুলোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে বিদেশি সরবরাহের ওপর নির্ভর করতে হয় সেসব পণ্যের সরবরাহ পেতে তার দেশ এখন কতটা ঝুঁকিতে আছে তা জানাতে নির্দেশ দেন।

যুক্তরাষ্ট্রের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে ‘বেশ কয়েকটি বিদেশি সরকার’র বিশেষ করে চীনের কয়েকটি শিল্প নীতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ ব্যবস্থা ঝুঁকির মধ্যে আছে। আমার বিশ্বাস এ স্ট্রাইক ফোর্স চীন বিষয়ে আমাদের কিছু নীতির উন্নয়ন ঘটাবে।’

বৃহস্পতিবার, ১০ জুন ২০২১ , ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২৮ শাওয়াল ১৪৪২

চীনকে ঠেকাতে নতুন ‘স্ট্রাইক ফোর্স’ গঠন যুক্তরাষ্ট্রের

চীনের মতো প্রতিযোগীদের ‘অন্যায় বাণিজ্য কৌশল’ ঠেকাতে নতুন একটি ‘স্ট্রাইক ফোর্স’ গঠনের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়। বিবিসি

বাইডেন প্রশাসনের ঘোষণা অনুযায়ী নবগঠিত এ স্ট্রাইক ফোর্স বাণিজ্যনীতির লঙ্ঘনের বিষয়টি নজরদারি করবে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, এতে করে বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘœ সৃষ্টি হয়েছে। চীন ব্যবসা বিস্তারে যেসব ‘অন্যায়’ কাজ করছে তার প্রতিকার করাই হবে এর উদ্দেশ্য।

বাইডেন প্রশাসনের একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধিদের নেতৃত্বে এ ‘সাপ্লাই চেইন ট্রেড স্ট্রাইক ফোর্স’ সুনির্দিষ্টভাবে সেই সব বাণিজ্য বিধি লঙ্ঘনের দিকে নজর রাখবে যেগুলোর কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ ব্যবস্থা ‘ফাঁপা’ হয়ে গেছে।

কম্পিউটার চিপের মতো পণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থা নিয়ে এক পর্যালোচনার পর বাইডেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা দেয়া হলো। কম্পিউটার চিপ যথাসময়ে না পাওয়ার কারণে অনেক কোম্পানির উৎপাদন ব্যবস্থা বিলম্বিত হচ্ছে বলে ওই পর্যালোচনায় উঠে এসেছে।

গত ফেব্রুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহ ব্যবস্থা নিয়ে একটি পর্যালোচনা প্রতিবেদন তৈরি এবং ১০০ দিনের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেন। সেই পর্যালোচনা প্রতিবেদন পাওয়ার পর বাইডেন প্রশাসন এই পদক্ষেপ নিল।

জো বাইডেন ওই প্রতিবেদনে ওষুধ শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ পণ্য এবং বিরল খনিজ পণ্য যেগুলোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে বিদেশি সরবরাহের ওপর নির্ভর করতে হয় সেসব পণ্যের সরবরাহ পেতে তার দেশ এখন কতটা ঝুঁকিতে আছে তা জানাতে নির্দেশ দেন।

যুক্তরাষ্ট্রের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে ‘বেশ কয়েকটি বিদেশি সরকার’র বিশেষ করে চীনের কয়েকটি শিল্প নীতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ ব্যবস্থা ঝুঁকির মধ্যে আছে। আমার বিশ্বাস এ স্ট্রাইক ফোর্স চীন বিষয়ে আমাদের কিছু নীতির উন্নয়ন ঘটাবে।’