গতবছর ১০ কোটি ৬১ লাখ টাকা মুনাফা করেছে জনতা ক্যাপিটাল

রাষ্ট্রায়াত্ত জনতা ব্যাংকের পাশাপাশি এর সাবসিডিয়ারি কোম্পানিগুলোও এগিয়ে যাচ্ছে দ্রুত গতিতে। জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও ক্যারিশমেটিক নেতৃত্বে ব্যাংকটির পাশাপাশি বিভিন্ন সূচকে এগিয়ে যাচ্ছে জনতা ক্যাপিটাল অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড (জেসিআইএল)। ২০২০ সালে করোনা মহামারীর মধ্যেও ব্যাংকের এই সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানটি বড় অঙ্কের মুনাফা করেছে। দেশের শেয়ারবাজারে কার্যক্রম পরিচালনাকারী এই প্রতিষ্ঠানটি ২০২০ সালে নিট মুনাফা করেছে ১০ কোটি ৬১ লাখ ৪২ হাজার টাকা।

করোনা মহামারীর কারণে ২০২০ সালে প্রায় ৬৬ দিন পুঁজিবাজার বন্ধ থাকাসহ বিভিন্ন কারণে যখন অনেক মার্চেন্ট ব্যাংকই মুনাফা করতে পারেনি তখন চমক দেখিয়েছে জনতা ক্যাপিটাল অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট। ২০১৯ সালের তুলনায় গত বছর মুনাফা বেড়েছে প্রায় সাড়ে তিন গুণ। ২০১৯ সালে জনতা ক্যাপিটালের নিট মুনাফা হয়েছিল ৩ কোটি ১৬ লাখ ৫৮ হাজার টাকা। গতকাল অনুষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। জনতা ব্যাংকের এই সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানটি চলতি বছরেও ভালো মুনাফা করতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। জনতা ক্যাপিটাল সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ১০ জুন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি ৪০ কোটি টাকার বেশি পরিচালন মুনাফা করেছে। বিনিয়োগকারী ও জনতা ক্যাপিটালের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মূলত প্রতিষ্ঠানের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বেড়ে যাওয়ার এবং সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার কারণেই ভালো মুনাফা করতে পেরেছে জনতা ব্যাংকের এই প্রতিষ্ঠানটি।

এ প্রসঙ্গে জনতা ক্যাপিটাল অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের প্রধান নির্বাহী শহীদুল হক বলেন, ‘জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও পর্ষদের সঠিক দিকনির্দেশনা এবং আমাদের কর্মীবাহিনীর কর্মপ্রচেষ্টার ফলে আমরা ইতিবাচক অগ্রগতির দিকে যাচ্ছি। আমাদের এই বড় অর্জনের পেছনে কাজ করেছে আমাদের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা। করোনা মহামারীর মধ্যে যখন বাজারের অবস্থা খারাপ ছিল তখন অনেক মার্চেন্ট ব্যাংকই ফোর্সড সেল করে তাদের বিনিয়োগ পুনরুদ্ধার করেছে। এতে একদিকে বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, অন্যদিকে বাজার খারাপ থাকায় প্রতিষ্ঠানগুলোও তাদের বিনিয়োগ পুরোপুরি ওঠাতে পারেনি। আর আমাদের বিনিয়োগ যেহেতু ভালো মৌলভিত্তির কোম্পানিগুলোতে ছিল, তাই আমরা ধৈর্য ধারণ করেছিলাম।’

জনতা ক্যাপিটাল সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১০ জুন পর্যন্ত ৪০ কোটি ১ লাখ ৭২ হাজার টাকা পরিচালন মুনাফা করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ২০২০ সালের এই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির মোট পরিচালন মুনাফা ছিল ১ কোটি ৩২ লাখ ৯০ হাজার টাকা। এক বছরের ব্যবধানে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালন মুনাফা বেড়েছে ৩০ গুণ; অঙ্কের হিসাবে যা ৩৮ কোটি ৬৮ লাখ ৮২ হাজার টাকা। এদিকে ২০২০ সালে মুনাফা বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ও শেয়ারপ্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) বেড়েছে। ২০১৯ সালে যেখানে ইপিএস ছিল শূন্য দশমিক শূন্য ৭ টাকা সেখানে ২০২০ সালে ইপিএস বেড়ে হয়েছে শূন্য দশমিক ২৫ টাকা। পাশাপাশি এনএভিপিএস’ও ১০ দশমিক ২২ টাকা থেকে বেড়ে ১০ দশমিক ৪৭ টাকা হয়েছে।

শুক্রবার, ১১ জুন ২০২১ , ২৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২৯ শাওয়াল ১৪৪২

গতবছর ১০ কোটি ৬১ লাখ টাকা মুনাফা করেছে জনতা ক্যাপিটাল

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

রাষ্ট্রায়াত্ত জনতা ব্যাংকের পাশাপাশি এর সাবসিডিয়ারি কোম্পানিগুলোও এগিয়ে যাচ্ছে দ্রুত গতিতে। জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও ক্যারিশমেটিক নেতৃত্বে ব্যাংকটির পাশাপাশি বিভিন্ন সূচকে এগিয়ে যাচ্ছে জনতা ক্যাপিটাল অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড (জেসিআইএল)। ২০২০ সালে করোনা মহামারীর মধ্যেও ব্যাংকের এই সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানটি বড় অঙ্কের মুনাফা করেছে। দেশের শেয়ারবাজারে কার্যক্রম পরিচালনাকারী এই প্রতিষ্ঠানটি ২০২০ সালে নিট মুনাফা করেছে ১০ কোটি ৬১ লাখ ৪২ হাজার টাকা।

করোনা মহামারীর কারণে ২০২০ সালে প্রায় ৬৬ দিন পুঁজিবাজার বন্ধ থাকাসহ বিভিন্ন কারণে যখন অনেক মার্চেন্ট ব্যাংকই মুনাফা করতে পারেনি তখন চমক দেখিয়েছে জনতা ক্যাপিটাল অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট। ২০১৯ সালের তুলনায় গত বছর মুনাফা বেড়েছে প্রায় সাড়ে তিন গুণ। ২০১৯ সালে জনতা ক্যাপিটালের নিট মুনাফা হয়েছিল ৩ কোটি ১৬ লাখ ৫৮ হাজার টাকা। গতকাল অনুষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। জনতা ব্যাংকের এই সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানটি চলতি বছরেও ভালো মুনাফা করতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। জনতা ক্যাপিটাল সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ১০ জুন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি ৪০ কোটি টাকার বেশি পরিচালন মুনাফা করেছে। বিনিয়োগকারী ও জনতা ক্যাপিটালের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মূলত প্রতিষ্ঠানের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বেড়ে যাওয়ার এবং সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার কারণেই ভালো মুনাফা করতে পেরেছে জনতা ব্যাংকের এই প্রতিষ্ঠানটি।

এ প্রসঙ্গে জনতা ক্যাপিটাল অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের প্রধান নির্বাহী শহীদুল হক বলেন, ‘জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও পর্ষদের সঠিক দিকনির্দেশনা এবং আমাদের কর্মীবাহিনীর কর্মপ্রচেষ্টার ফলে আমরা ইতিবাচক অগ্রগতির দিকে যাচ্ছি। আমাদের এই বড় অর্জনের পেছনে কাজ করেছে আমাদের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা। করোনা মহামারীর মধ্যে যখন বাজারের অবস্থা খারাপ ছিল তখন অনেক মার্চেন্ট ব্যাংকই ফোর্সড সেল করে তাদের বিনিয়োগ পুনরুদ্ধার করেছে। এতে একদিকে বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, অন্যদিকে বাজার খারাপ থাকায় প্রতিষ্ঠানগুলোও তাদের বিনিয়োগ পুরোপুরি ওঠাতে পারেনি। আর আমাদের বিনিয়োগ যেহেতু ভালো মৌলভিত্তির কোম্পানিগুলোতে ছিল, তাই আমরা ধৈর্য ধারণ করেছিলাম।’

জনতা ক্যাপিটাল সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১০ জুন পর্যন্ত ৪০ কোটি ১ লাখ ৭২ হাজার টাকা পরিচালন মুনাফা করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ২০২০ সালের এই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির মোট পরিচালন মুনাফা ছিল ১ কোটি ৩২ লাখ ৯০ হাজার টাকা। এক বছরের ব্যবধানে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালন মুনাফা বেড়েছে ৩০ গুণ; অঙ্কের হিসাবে যা ৩৮ কোটি ৬৮ লাখ ৮২ হাজার টাকা। এদিকে ২০২০ সালে মুনাফা বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ও শেয়ারপ্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) বেড়েছে। ২০১৯ সালে যেখানে ইপিএস ছিল শূন্য দশমিক শূন্য ৭ টাকা সেখানে ২০২০ সালে ইপিএস বেড়ে হয়েছে শূন্য দশমিক ২৫ টাকা। পাশাপাশি এনএভিপিএস’ও ১০ দশমিক ২২ টাকা থেকে বেড়ে ১০ দশমিক ৪৭ টাকা হয়েছে।