চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ১৬ টি গ্রামে ‘লকডাউন’ চলছে। লকডাউনের পরদিন চুয়াডাঙ্গা জেলায় সক্রিয় পজিটিভ রোগীর সংখ্যা ছিলো ১৬৩ জন। যা নমুনা পরীক্ষার শতকরা হার ২০ দশমিক ৪৩। বুধবার রাত পর্যন্ত আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২৪১ জন। যা নমুনা পরীক্ষার শতকরা হাব ৪৬ দশমিক ২৫। করোনা সংক্রমণ রোধে পুলিশ, বিজিবির সঙ্গে একযোগে কাজ করছেন জনপ্রতিনিধিরা।

উল্লেখ্য, চলতি মাসের ২ তারিখে সীমান্ত ঘেঁষা ৭টি গ্রামে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল। পরে ৬ জুন নতুন করে আরও ৯টি গ্রাম যোগ হওয়ায় মোট ১৬টি গ্রামে লকডাউন কার্যকর রয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের করোনা সংক্রান্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. আওলিয়ার রহমান জানান, চুয়াডাঙ্গায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও ৩৭ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে সদর উপজেলায় ১৭ জন, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ৪ জন, দামুড়হুদা উপজেলায় ১৩ জন ও জীবননগর উপজেলায় ৩ জন রয়েছে।

এ নিয়ে জেলায় ২ হাজার ১৫৪ জন আক্রান্ত হয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৮৪৩ জন । বর্তমানে আক্রান্ত আছে২৪১ জন । এরমধ্যে হোম আইসোলেশনে আছেন ২১৫ জন, হাসপাতালে আছেন ২৩ জন ও ঢাকায় রেফার্ডে আছেন ৩ জন ।

এদিকে যেসব বাড়িতে করোনাভাইরাস রোগী রয়েছেন, ওসব বাড়িতে লাল পতাকা উড়িয়ে সতর্ক করার সরকারি নির্দেশনা রয়েছে। এরপরও সর্বক্ষেত্রে তা মানা হচ্ছে না । এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা পৌর সভার ইন্সপেক্টর বলেছেন, অনেকের বাড়িতে লাল পতাকা লাগাতে গেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে।