প্যালেস্টাইনিরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইসরায়েলি বোমা নিষ্ক্রিয় করছেন

গাজা উপত্যকায় সাম্প্রতিক ইসরায়েলি আগ্রাসনের ক্ষত এখনও বয়ে বেড়াচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা। দখলদার বাহিনীর টানা ১১ দিনের ওই তাণ্ডবের আপাতত সমাপ্তি ঘটেছে। কিন্তু শেষ হয়নি ফিলিস্তিনিদের দুর্দশা। গাজায় এখনও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে বহু বিপজ্জনক অবিস্ফোরিত ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র। আর শক্তিশালী এসব ক্ষেপণাস্ত্রের ওপরই খেলায় মেতেছে কোমলমতি শিশুরা। ঝুঁকি এড়াতে ক্ষেপণাস্ত্র অপসারণে জীবন বাজি রেখে কাজ করে যাচ্ছে স্থানীয় বোমা নিষ্ক্রিয়কারী টিম। কোনও হতাহত ছাড়াই এ পর্যন্ত ১২শ’ বোমা নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম হয়েছেন তারা। আল-জাজিরা

১৯ মে মধ্যরাত। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার রাফার বাসিন্দা মুহারেবের পরিবার যে বাড়িটিতে থাকেন ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় সেটি কেঁপে উঠে। এর দুই মিনিটের মাথায় আরেকটি দোতলা বাড়িকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে দখলদার বাহিনী। তবে কোনও কারণে দ্বিতীয় ক্ষেপণাস্ত্রটি বিস্ফোরিত হয়নি।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ১১ দিনের রক্তক্ষয়ী সংঘাতে ৬৬ শিশুসহ ২৬০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে দখলদার বাহিনী। হামাসের পাল্টা প্রতিরোধে ইসরায়েলে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। অবশেষে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের চাপে মিসরের মধ্যস্থতায় গত ২১ মে থেকে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছায় ইসরায়েল। ভয়াবহ ঝুঁকি গাজার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতায় কাজ করা এজন বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ মিকাদ। তিনি আল-জাজিরাকে বলেন, অত্যাবশকীয় প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জামের অভাব সত্ত্বেও গত ১০ মে থেকে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলের ৭০ সদস্য কাজ করে যাচ্ছেন। তবে এখনও পর্যন্ত কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তিনি জানান, ‘বোমা অপসারণের জন্য আমাদের কাছে তেমন কোন সুরক্ষা সরঞ্জাম নেই বললেই চলে। সাধারণ সরঞ্জাম রয়েছে যেমন, একটি টুলবক্স যা প্রতিটি ঘরেই পাওয়া যায়।’ ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ মিকাদ বলেন, ‘গাজায় গত ১৩ বছর ধরে ইসরায়েল অবরোধ দিয়ে রেখেছে। আর এতে আমাদের অনেক বিধি-নিষেধের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে।

ফলে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী যন্ত্র আমদানিও সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এখন সবচেয়ে চিন্তার বিষয় আমাদের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল ঝুঁকিতে রয়েছে। কারণ তারা পরবর্তীতে ইসরায়েলি হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’

মিকাদের দাবি, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় এবার নতুন ধরনের বিপজ্জনক অস্ত্র প্রথমবারের মতো প্রয়োগ করে ইসরাইয়েলি বাহিনী।

শুক্রবার, ১১ জুন ২০২১ , ২৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২৯ শাওয়াল ১৪৪২

প্যালেস্টাইনিরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইসরায়েলি বোমা নিষ্ক্রিয় করছেন

image

গাজা উপত্যকায় সাম্প্রতিক ইসরায়েলি আগ্রাসনের ক্ষত এখনও বয়ে বেড়াচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা। দখলদার বাহিনীর টানা ১১ দিনের ওই তাণ্ডবের আপাতত সমাপ্তি ঘটেছে। কিন্তু শেষ হয়নি ফিলিস্তিনিদের দুর্দশা। গাজায় এখনও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে বহু বিপজ্জনক অবিস্ফোরিত ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র। আর শক্তিশালী এসব ক্ষেপণাস্ত্রের ওপরই খেলায় মেতেছে কোমলমতি শিশুরা। ঝুঁকি এড়াতে ক্ষেপণাস্ত্র অপসারণে জীবন বাজি রেখে কাজ করে যাচ্ছে স্থানীয় বোমা নিষ্ক্রিয়কারী টিম। কোনও হতাহত ছাড়াই এ পর্যন্ত ১২শ’ বোমা নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম হয়েছেন তারা। আল-জাজিরা

১৯ মে মধ্যরাত। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার রাফার বাসিন্দা মুহারেবের পরিবার যে বাড়িটিতে থাকেন ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় সেটি কেঁপে উঠে। এর দুই মিনিটের মাথায় আরেকটি দোতলা বাড়িকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে দখলদার বাহিনী। তবে কোনও কারণে দ্বিতীয় ক্ষেপণাস্ত্রটি বিস্ফোরিত হয়নি।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ১১ দিনের রক্তক্ষয়ী সংঘাতে ৬৬ শিশুসহ ২৬০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে দখলদার বাহিনী। হামাসের পাল্টা প্রতিরোধে ইসরায়েলে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। অবশেষে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের চাপে মিসরের মধ্যস্থতায় গত ২১ মে থেকে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছায় ইসরায়েল। ভয়াবহ ঝুঁকি গাজার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতায় কাজ করা এজন বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ মিকাদ। তিনি আল-জাজিরাকে বলেন, অত্যাবশকীয় প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জামের অভাব সত্ত্বেও গত ১০ মে থেকে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলের ৭০ সদস্য কাজ করে যাচ্ছেন। তবে এখনও পর্যন্ত কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তিনি জানান, ‘বোমা অপসারণের জন্য আমাদের কাছে তেমন কোন সুরক্ষা সরঞ্জাম নেই বললেই চলে। সাধারণ সরঞ্জাম রয়েছে যেমন, একটি টুলবক্স যা প্রতিটি ঘরেই পাওয়া যায়।’ ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ মিকাদ বলেন, ‘গাজায় গত ১৩ বছর ধরে ইসরায়েল অবরোধ দিয়ে রেখেছে। আর এতে আমাদের অনেক বিধি-নিষেধের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে।

ফলে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী যন্ত্র আমদানিও সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এখন সবচেয়ে চিন্তার বিষয় আমাদের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল ঝুঁকিতে রয়েছে। কারণ তারা পরবর্তীতে ইসরায়েলি হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’

মিকাদের দাবি, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় এবার নতুন ধরনের বিপজ্জনক অস্ত্র প্রথমবারের মতো প্রয়োগ করে ইসরাইয়েলি বাহিনী।