ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্সের ১০ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন

ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ৩৪তম বার্ষিক সাধারণ সভা গত বৃহস্পতিবার কোম্পানির চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। কোম্পানির পরিচালক, এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম রহমান ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা অরুন কুমার সাহা ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন। করোনা মহামারীর কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়াতে ওই সভা ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পরিচালকদের প্রতিবেদন এবং ২০২০ সালের ৩১, ডিসেম্বর তারিখে সমাপ্ত বছরের নিরীক্ষকের প্রতিবেদনসহ কোম্পানির নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী উপস্থাপন করা হয়।

চেয়ারম্যান সভায় জানান, মরণঘাতী মহামারী করোনার ভয়াবহতার প্রভাবে সংকুচিত হওয়া বিশ্ব অর্থনীতির মাঝেও ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড ২০২০ সালে ৮৫৯.৫০ মিলিয়নের অধিক টাকা প্রিমিয়াম আয় করেছে এবং ৪০০.৫০ মিলিয়ন টাকার বীমা দাবি পরিশোধ করেছে। ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোম্পানির মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২,৬৮৯.৮২ মিলিয়ন টাকা। পরিচালনা পর্ষদের সুপারিশক্রমে ঘোষিত মোট ১০ শতাংশ (৭ শতাংশ নগদ এবং ৩ শতাংশ বোনাস) ডিভিডেন্ট কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভায় শেয়ারহোল্ডার কর্তৃক সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়।

কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান আরও জানান, প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে ইস্টল্যান্ড ব্যবসায়িক নীতির ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও নৈতিকতা বজায় রেখেছে। অনবদ্য ব্যবসায়িক সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘দি ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট একাউন্টেন্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি)’ কর্তৃক পূর্ববর্তী সময়ে পর পর ৪ বছর সাধারণ বীমা খাতে ‘বেস্ট করপোরেট অ্যাওয়ার্ড’ এবং বীমা খাতে পরিচ্ছন্ন বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য ‘দি ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) কর্তৃক ১ বছর ‘সার্টিফিকেট অব মেরিট অ্যাওয়ার্ড’ সম্মানে ভূষিত হয়েছে ।

চেয়ারম্যান আরও উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের ইন্স্যুরেন্স বাজার ক্ষুদ্র বিধায় সব নন-লাইফ বীমা কোম্পানিসমূহ তীব্র প্রতিযোগিতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ফলে কোম্পানির প্রবৃদ্ধি ও মুনাফা অর্জন বাধাগ্রস্ত এবং সার্বিকভাবে কাক্সিক্ষত প্রবৃদ্ধি অর্জন বিঘিœত হচ্ছে। দেশের বীমা খাতের উন্নয়নের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে বীমাশিল্পের অনৈতিক এবং অসুস্থ প্রতিযোগিতা শীঘ্রই বন্ধ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

চেয়ারম্যান পরিশেষে অর্থ মন্ত্রণালয়, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, ডিএসই, সিএসই, এসবিসি, অন্যান্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা, সম্মানিত গ্রাহক এবং সম্মানিত শেয়ারহোল্ডারদের অব্যাহত সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশপূর্বক তার বক্তব্য শেষ করেন। কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও ঊর্ধ্বতন নির্বাহী কর্মকর্তা ছাড়াও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ারহোল্ডার ওই ভার্চুয়াল সভায় যোগদান করেন।

শনিবার, ১২ জুন ২০২১ , ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ৩০ শাওয়াল ১৪৪২

ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্সের ১০ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ৩৪তম বার্ষিক সাধারণ সভা গত বৃহস্পতিবার কোম্পানির চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। কোম্পানির পরিচালক, এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম রহমান ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা অরুন কুমার সাহা ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন। করোনা মহামারীর কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়াতে ওই সভা ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পরিচালকদের প্রতিবেদন এবং ২০২০ সালের ৩১, ডিসেম্বর তারিখে সমাপ্ত বছরের নিরীক্ষকের প্রতিবেদনসহ কোম্পানির নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী উপস্থাপন করা হয়।

চেয়ারম্যান সভায় জানান, মরণঘাতী মহামারী করোনার ভয়াবহতার প্রভাবে সংকুচিত হওয়া বিশ্ব অর্থনীতির মাঝেও ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড ২০২০ সালে ৮৫৯.৫০ মিলিয়নের অধিক টাকা প্রিমিয়াম আয় করেছে এবং ৪০০.৫০ মিলিয়ন টাকার বীমা দাবি পরিশোধ করেছে। ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোম্পানির মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২,৬৮৯.৮২ মিলিয়ন টাকা। পরিচালনা পর্ষদের সুপারিশক্রমে ঘোষিত মোট ১০ শতাংশ (৭ শতাংশ নগদ এবং ৩ শতাংশ বোনাস) ডিভিডেন্ট কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভায় শেয়ারহোল্ডার কর্তৃক সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়।

কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান আরও জানান, প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে ইস্টল্যান্ড ব্যবসায়িক নীতির ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও নৈতিকতা বজায় রেখেছে। অনবদ্য ব্যবসায়িক সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘দি ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট একাউন্টেন্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি)’ কর্তৃক পূর্ববর্তী সময়ে পর পর ৪ বছর সাধারণ বীমা খাতে ‘বেস্ট করপোরেট অ্যাওয়ার্ড’ এবং বীমা খাতে পরিচ্ছন্ন বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য ‘দি ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) কর্তৃক ১ বছর ‘সার্টিফিকেট অব মেরিট অ্যাওয়ার্ড’ সম্মানে ভূষিত হয়েছে ।

চেয়ারম্যান আরও উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের ইন্স্যুরেন্স বাজার ক্ষুদ্র বিধায় সব নন-লাইফ বীমা কোম্পানিসমূহ তীব্র প্রতিযোগিতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ফলে কোম্পানির প্রবৃদ্ধি ও মুনাফা অর্জন বাধাগ্রস্ত এবং সার্বিকভাবে কাক্সিক্ষত প্রবৃদ্ধি অর্জন বিঘিœত হচ্ছে। দেশের বীমা খাতের উন্নয়নের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে বীমাশিল্পের অনৈতিক এবং অসুস্থ প্রতিযোগিতা শীঘ্রই বন্ধ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

চেয়ারম্যান পরিশেষে অর্থ মন্ত্রণালয়, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, ডিএসই, সিএসই, এসবিসি, অন্যান্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা, সম্মানিত গ্রাহক এবং সম্মানিত শেয়ারহোল্ডারদের অব্যাহত সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশপূর্বক তার বক্তব্য শেষ করেন। কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও ঊর্ধ্বতন নির্বাহী কর্মকর্তা ছাড়াও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ারহোল্ডার ওই ভার্চুয়াল সভায় যোগদান করেন।