লালমনিরহাট সীমান্ত দিয়ে ভারতীয়দের অবাধ যাতায়াত

লালমনিরহাটের প্রায় ৫৪ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত এলাকাজুড়ে কমপক্ষে ২৭টি ছোট বড় হাট-বাজার রয়েছে। বিজিবির কড়া পাহারা সত্ত্বেও চোখ ফাঁকি দিয়ে এসব হাট-বাজারসহ বাংলাদেশের গ্রামগুলোতে অবাধে আসা-যাওয়া করছে ভারতীয় নাগরিকরা। কাঁটাতারের বেড়ার ফাঁক দিয়ে বাংলাদেশিরাও যাচ্ছে ভারতে। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে জেলার আদিতমারী উপজেলার সীমান্তবর্তী দুর্গাপুর ইউনিয়নে করোনা আক্রান্ত হয়ে ৪ জন মারা গেছেন। ফলে জেলার সীমান্তঘেঁষা এলাকাগুলোতেও করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এদিকে সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষরা অবাধে বিচরণ করছে জেলা শহরসহ সব জায়গায়। এতে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সীমান্ত এলাকায় কঠোর নজরদারি, যারা ভারত থেকে আসছে তাদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে রাখাসহ সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও তা বাস্তবে রূপ নিচ্ছে না। যদিও বুড়িমারী স্থলবন্দরে স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বলছে কর্তৃপক্ষ। আর বিজিবি বলছে, ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট কিংবা করোনা বিস্তার রোধসহ চোরাচালান ও অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি টহল জোরদার করা হয়েছে। করোনা প্রতিরোধ কমিটি জানিয়েছে, দুই দেশের সীমান্তের জিরো পয়েন্টে করোনারোধে জিরো টলারেন্স কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। পণ্যবাহী পরিবহন ও মানুষ পারাপারেও শক্ত অবস্থানে রয়েছে তারা। এ নিয়ে লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায় বলেন,সীমান্ত এলাকা হওয়ায় এখানে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। তবে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট কিংবা করোনা সংক্রমণরোধে স্বাস্থ্য বিভাগ, জেলা প্রশাসন, বিজিবি ও পুলিশ প্রশাসন সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।

লালমনিরহাট-১৫ ব্যাটালিয়নের (বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এসএম তৌহিদুল আলম বলেন, ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট কিংবা করোনা বিস্তার রোধসহ চোরাচালান ও অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি টহল জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া সীমান্ত এলাকায় জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে বিজিবি।

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বাবলু বলেন, সব ধরনের নিরাপত্তা বেষ্টনি তৈরি করা হয়েছে। রপ্তানি হওয়া পণ্যবাহী ট্রাকের চালকদের জন্য মাসব্যাপী হোম কোয়ারেন্টিনে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অপ্রয়োজনে সীমান্তের মানুষকে কোথাও পাড়ি না দিতে আহ্বানও জানানো হয়েছে।

শনিবার, ১২ জুন ২০২১ , ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ৩০ শাওয়াল ১৪৪২

লালমনিরহাট সীমান্ত দিয়ে ভারতীয়দের অবাধ যাতায়াত

মনিরুজ্জামান সরকার, লালমনিরহাট

লালমনিরহাটের প্রায় ৫৪ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত এলাকাজুড়ে কমপক্ষে ২৭টি ছোট বড় হাট-বাজার রয়েছে। বিজিবির কড়া পাহারা সত্ত্বেও চোখ ফাঁকি দিয়ে এসব হাট-বাজারসহ বাংলাদেশের গ্রামগুলোতে অবাধে আসা-যাওয়া করছে ভারতীয় নাগরিকরা। কাঁটাতারের বেড়ার ফাঁক দিয়ে বাংলাদেশিরাও যাচ্ছে ভারতে। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে জেলার আদিতমারী উপজেলার সীমান্তবর্তী দুর্গাপুর ইউনিয়নে করোনা আক্রান্ত হয়ে ৪ জন মারা গেছেন। ফলে জেলার সীমান্তঘেঁষা এলাকাগুলোতেও করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এদিকে সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষরা অবাধে বিচরণ করছে জেলা শহরসহ সব জায়গায়। এতে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সীমান্ত এলাকায় কঠোর নজরদারি, যারা ভারত থেকে আসছে তাদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে রাখাসহ সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও তা বাস্তবে রূপ নিচ্ছে না। যদিও বুড়িমারী স্থলবন্দরে স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বলছে কর্তৃপক্ষ। আর বিজিবি বলছে, ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট কিংবা করোনা বিস্তার রোধসহ চোরাচালান ও অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি টহল জোরদার করা হয়েছে। করোনা প্রতিরোধ কমিটি জানিয়েছে, দুই দেশের সীমান্তের জিরো পয়েন্টে করোনারোধে জিরো টলারেন্স কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। পণ্যবাহী পরিবহন ও মানুষ পারাপারেও শক্ত অবস্থানে রয়েছে তারা। এ নিয়ে লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায় বলেন,সীমান্ত এলাকা হওয়ায় এখানে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। তবে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট কিংবা করোনা সংক্রমণরোধে স্বাস্থ্য বিভাগ, জেলা প্রশাসন, বিজিবি ও পুলিশ প্রশাসন সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।

লালমনিরহাট-১৫ ব্যাটালিয়নের (বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এসএম তৌহিদুল আলম বলেন, ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট কিংবা করোনা বিস্তার রোধসহ চোরাচালান ও অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি টহল জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া সীমান্ত এলাকায় জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে বিজিবি।

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বাবলু বলেন, সব ধরনের নিরাপত্তা বেষ্টনি তৈরি করা হয়েছে। রপ্তানি হওয়া পণ্যবাহী ট্রাকের চালকদের জন্য মাসব্যাপী হোম কোয়ারেন্টিনে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অপ্রয়োজনে সীমান্তের মানুষকে কোথাও পাড়ি না দিতে আহ্বানও জানানো হয়েছে।