পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বলেছেন, কোভ্যাক্স উদ্যোগের আওতায় আমরা অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১০ লাখ টিকা পাচ্ছি। গতকাল গণমাধ্যমকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন। তবে কবে নাগাদ এই টিকা আসবে সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করেছি টিকার জন্য। আমাদের দেশে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ প্রথম ডোজ নিয়েছে এবং টিকা না পেলে তারা দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারছেন না। আমরা জরুরি ভিত্তিতে তাদের কাছে টিকা চেয়েছি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ইতোমধ্যে ১ হাজার ৬৫৪ জন বাংলাদেশি আমাদের সমস্যার বিষয়ে আমেরিকান হোয়াইট হাউজে একটি পিটিশন করেছেন। আমেরিকানদের বক্তব্য হলো, বাংলাদেশে এই রোগের প্রভাব কম এবং সেজন্য তারা আমাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনা করছে না।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে আমাদের টিকা দেবে। তবে কবে দেবে সেটি এখনও বলেনি। তারা অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও অন্যান্য টিকা কোভ্যাক্সের অধীনে দেবে।’
এদিকে, আগামী ১৩ জুন চীন থেকে ছয় লাখ টিকা উপহার হিসেবে পাচ্ছে বাংলাদেশ।
সংকট কাটাতে যে টিকা এখন বাংলাদেশের জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন সেই অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ১০ লাখ ৮০০ ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা কোভ্যাক্সের আওতায় পাওয়ার সুখবর দিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘কোভ্যাক্স কর্মসূচির আওতায় আমরা শীঘ্রই ১০ লাখ ৮০০ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পাচ্ছি।’
কোভ্যাক্স থেকে ৬ কোটি ডোজের বেশি টিকা পাওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশের। এর মধ্যে ফাইজার-বায়োএনকেটের তৈরি ১ লাখ ৬২০ ডোজ টিকা গত ১ জুন বাংলাদেশ হাতে পেয়েছে। অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা আসবে, তার দিনক্ষণ এখনও ঠিক হয়নি।
কোভ্যাক্স হলো করোনা প্রতিরোধে দরিদ্র এবং মধ্যমআয়ের দেশগুলোকে বিনামূল্যে টিকা সরবরাহ করতে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নেতৃত্বে একটি বৈশ্বিক উদ্যোগ।
বাংলাদেশ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড দিয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে গণটিকাদান শুরু করলেও দুই চালানের পর আর দিতে পারেনি এই টিকা উৎপাদনকারী ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট। ফলে সরকার নতুন করে টিকার প্রথম ডোজ দেয়া বন্ধ করে দেয়। যারা প্রথম ডোজ নিয়েছেন, তাদের সবাইকে দ্বিতীয় ডোজও দেয়া যায়নি।
এই পরিস্থিতিতে সরকার চীন ও রুশ টিকা আনার উদ্যোগ নিলেও যারা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন, তাদের জন্য ওই টিকার বিকল্প নেই।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৬ কোটি ডোজ টিকা কিনে রাখলেও তা ব্যবহার করছিল না তাদের হাতে অন্য টিকা থাকার কারণে। যুক্তরাষ্ট্র এখনও এ টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদনও দেয়নি। ভারত রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা না তোলায় যুক্তরাষ্ট্রের কাছে থাকা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা থেকে কিছু পাঠাতে দেশটির প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছিল বাংলাদেশ।
শনিবার, ১২ জুন ২০২১ , ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ৩০ শাওয়াল ১৪৪২
পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বলেছেন, কোভ্যাক্স উদ্যোগের আওতায় আমরা অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১০ লাখ টিকা পাচ্ছি। গতকাল গণমাধ্যমকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন। তবে কবে নাগাদ এই টিকা আসবে সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ করেছি টিকার জন্য। আমাদের দেশে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ প্রথম ডোজ নিয়েছে এবং টিকা না পেলে তারা দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারছেন না। আমরা জরুরি ভিত্তিতে তাদের কাছে টিকা চেয়েছি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ইতোমধ্যে ১ হাজার ৬৫৪ জন বাংলাদেশি আমাদের সমস্যার বিষয়ে আমেরিকান হোয়াইট হাউজে একটি পিটিশন করেছেন। আমেরিকানদের বক্তব্য হলো, বাংলাদেশে এই রোগের প্রভাব কম এবং সেজন্য তারা আমাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনা করছে না।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে আমাদের টিকা দেবে। তবে কবে দেবে সেটি এখনও বলেনি। তারা অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও অন্যান্য টিকা কোভ্যাক্সের অধীনে দেবে।’
এদিকে, আগামী ১৩ জুন চীন থেকে ছয় লাখ টিকা উপহার হিসেবে পাচ্ছে বাংলাদেশ।
সংকট কাটাতে যে টিকা এখন বাংলাদেশের জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন সেই অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ১০ লাখ ৮০০ ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা কোভ্যাক্সের আওতায় পাওয়ার সুখবর দিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘কোভ্যাক্স কর্মসূচির আওতায় আমরা শীঘ্রই ১০ লাখ ৮০০ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পাচ্ছি।’
কোভ্যাক্স থেকে ৬ কোটি ডোজের বেশি টিকা পাওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশের। এর মধ্যে ফাইজার-বায়োএনকেটের তৈরি ১ লাখ ৬২০ ডোজ টিকা গত ১ জুন বাংলাদেশ হাতে পেয়েছে। অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা আসবে, তার দিনক্ষণ এখনও ঠিক হয়নি।
কোভ্যাক্স হলো করোনা প্রতিরোধে দরিদ্র এবং মধ্যমআয়ের দেশগুলোকে বিনামূল্যে টিকা সরবরাহ করতে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নেতৃত্বে একটি বৈশ্বিক উদ্যোগ।
বাংলাদেশ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড দিয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে গণটিকাদান শুরু করলেও দুই চালানের পর আর দিতে পারেনি এই টিকা উৎপাদনকারী ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট। ফলে সরকার নতুন করে টিকার প্রথম ডোজ দেয়া বন্ধ করে দেয়। যারা প্রথম ডোজ নিয়েছেন, তাদের সবাইকে দ্বিতীয় ডোজও দেয়া যায়নি।
এই পরিস্থিতিতে সরকার চীন ও রুশ টিকা আনার উদ্যোগ নিলেও যারা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন, তাদের জন্য ওই টিকার বিকল্প নেই।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৬ কোটি ডোজ টিকা কিনে রাখলেও তা ব্যবহার করছিল না তাদের হাতে অন্য টিকা থাকার কারণে। যুক্তরাষ্ট্র এখনও এ টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদনও দেয়নি। ভারত রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা না তোলায় যুক্তরাষ্ট্রের কাছে থাকা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা থেকে কিছু পাঠাতে দেশটির প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছিল বাংলাদেশ।