বর্ষার অজুহাতে চাল, সবজির দাম বেড়েছে, তেল চিনিতেও

সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে এবং বেড়েছে সবজির দাম। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বর্ষার কারণে বাজারে সবজির দাম বেড়েছে। সেই সঙ্গে বৃদ্ধি পেয়েছে চালের দাম, তবে অপরিবর্তিত রয়েছে মুরগির দাম।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, হঠাৎ করেই বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কমে গিয়েছিল, তাই দাম বেড়ে যায়। ৪০ টাকা থেকে লাফিয়ে দাম বেড়ে কেজি ৬০ টাকা হয়ে যায়। তবে এখন সরবরাহ বাড়ায় দাম কমে এখন খুচরায় ৫০ টাকায় নেমে এসেছে।

শান্তিনগরের ব্যবসায়ী জামাল বলেন, দাম বৃদ্ধি দেখে অনেকে বাড়তি পেঁয়াজ কিনেছেন। এতে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় পেঁয়াজের দাম আরও বেড়ে যায়। তবে এখন চাহিদা কমেছে। আবার দেশি পেঁয়াজের সরবরাহও বেড়েছে। এ কারণে দাম কমেছে।

বাজারে প্রতি কেজি গাজর ১০০ থেকে ১২০ টাকা, বেগুন আকারভেদে ৫০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, করলা ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা, টমেটো ৫০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা। চাল কুমড়া কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে ৩০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, চিচিঙ্গা ৩০ টাকা, পটোল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কচুর গাট ৬০ টাকা, আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। খিরা ৫০ থেকে টাকা। শসা ৪০ টাকা। কাকরোল প্রতি কেজি ৬০ টাকা, লেবুর হালি ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী জয়নুল বলেন, প্রতিবছরই এমন সময় সবজির দাম একটু বেশি থাকে। শীতের সবজি আসার আগে দাম কমার সম্ভাবনা কম বরং সামনে সবজির দাম আরও বাড়তে পারে।

চিনির দাম বেড়ে বাজারে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা। এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৮ থেকে ৮০ টাকায়। দাম বেড়ে প্রতি কেজি মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬২ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা। নাজিরশাইল সামান্য বেড়ে প্রতিকেজি (ভালো) ৬২ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছেঅ পোলাওয়ের চাল ৯০ থেকে ১০০ টাকায়। এছাড়া শুকনা মরিচ প্রতি কেজি ২৬০ টাকা, রসুনের কেজি ৮০ থেকে ১৩০ টাকা, আদা ৮০ থেকে ১৫০ টাকা। হলুদ ১৬০ টাকা থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে প্রতি লিটার ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে ১৫১ থেকে ১৫৫ টাকায়। আধা লিটারের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। লাল ডিমের ডজন বেড়ে ১০০ থেকে ১০৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। হাঁসের ডিমের ডজন এখন ১৩০ টাকা। সোনালি মুরগির ডিমের ডজন ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা। বাজারে প্রতি কেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। লেয়ার মুরগি কেজি ২৪০ টাকা।

মালিবাগের ব্যবসায়ী জহির খান বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দামে হেরফের হয়নি। এখন সোনালি মুরগি তুলনামূলক কম দামে পাওয়া যাচ্ছে। তবে আর বেশিদিন এই অবস্থা থাকবে না। কিছুদিনের মধ্যে সোনালি মুরগির দাম বেড়ে যেতে পারে। এসব বাজারে অপরিবর্তিত আছে গরু, খাসির মাংসের দাম। বাজারে প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, গরুর মাংস ৬০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

ক্রেতা মামুন হাসান বলেন, বাজারে প্রায় সবকিছুর দাম বেড়েছে। প্রতিদিন কোন না কোন পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। বাজারে এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে মধ্যবিত্তদের পরিবার-পরিজন নিয়ে চলা কঠিন হয়ে পড়বে।

শনিবার, ১২ জুন ২০২১ , ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ৩০ শাওয়াল ১৪৪২

বর্ষার অজুহাতে চাল, সবজির দাম বেড়েছে, তেল চিনিতেও

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে এবং বেড়েছে সবজির দাম। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বর্ষার কারণে বাজারে সবজির দাম বেড়েছে। সেই সঙ্গে বৃদ্ধি পেয়েছে চালের দাম, তবে অপরিবর্তিত রয়েছে মুরগির দাম।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, হঠাৎ করেই বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কমে গিয়েছিল, তাই দাম বেড়ে যায়। ৪০ টাকা থেকে লাফিয়ে দাম বেড়ে কেজি ৬০ টাকা হয়ে যায়। তবে এখন সরবরাহ বাড়ায় দাম কমে এখন খুচরায় ৫০ টাকায় নেমে এসেছে।

শান্তিনগরের ব্যবসায়ী জামাল বলেন, দাম বৃদ্ধি দেখে অনেকে বাড়তি পেঁয়াজ কিনেছেন। এতে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় পেঁয়াজের দাম আরও বেড়ে যায়। তবে এখন চাহিদা কমেছে। আবার দেশি পেঁয়াজের সরবরাহও বেড়েছে। এ কারণে দাম কমেছে।

বাজারে প্রতি কেজি গাজর ১০০ থেকে ১২০ টাকা, বেগুন আকারভেদে ৫০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, করলা ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা, টমেটো ৫০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা। চাল কুমড়া কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে ৩০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, চিচিঙ্গা ৩০ টাকা, পটোল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কচুর গাট ৬০ টাকা, আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। খিরা ৫০ থেকে টাকা। শসা ৪০ টাকা। কাকরোল প্রতি কেজি ৬০ টাকা, লেবুর হালি ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী জয়নুল বলেন, প্রতিবছরই এমন সময় সবজির দাম একটু বেশি থাকে। শীতের সবজি আসার আগে দাম কমার সম্ভাবনা কম বরং সামনে সবজির দাম আরও বাড়তে পারে।

চিনির দাম বেড়ে বাজারে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা। এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৮ থেকে ৮০ টাকায়। দাম বেড়ে প্রতি কেজি মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬২ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা। নাজিরশাইল সামান্য বেড়ে প্রতিকেজি (ভালো) ৬২ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছেঅ পোলাওয়ের চাল ৯০ থেকে ১০০ টাকায়। এছাড়া শুকনা মরিচ প্রতি কেজি ২৬০ টাকা, রসুনের কেজি ৮০ থেকে ১৩০ টাকা, আদা ৮০ থেকে ১৫০ টাকা। হলুদ ১৬০ টাকা থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে প্রতি লিটার ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে ১৫১ থেকে ১৫৫ টাকায়। আধা লিটারের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। লাল ডিমের ডজন বেড়ে ১০০ থেকে ১০৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। হাঁসের ডিমের ডজন এখন ১৩০ টাকা। সোনালি মুরগির ডিমের ডজন ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা। বাজারে প্রতি কেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। লেয়ার মুরগি কেজি ২৪০ টাকা।

মালিবাগের ব্যবসায়ী জহির খান বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দামে হেরফের হয়নি। এখন সোনালি মুরগি তুলনামূলক কম দামে পাওয়া যাচ্ছে। তবে আর বেশিদিন এই অবস্থা থাকবে না। কিছুদিনের মধ্যে সোনালি মুরগির দাম বেড়ে যেতে পারে। এসব বাজারে অপরিবর্তিত আছে গরু, খাসির মাংসের দাম। বাজারে প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, গরুর মাংস ৬০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

ক্রেতা মামুন হাসান বলেন, বাজারে প্রায় সবকিছুর দাম বেড়েছে। প্রতিদিন কোন না কোন পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। বাজারে এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে মধ্যবিত্তদের পরিবার-পরিজন নিয়ে চলা কঠিন হয়ে পড়বে।