করোনাকালীন সময়ে বেড়েছে বিবাহ বিচ্ছেদ

বর্তমান সময়ে বিবাহ বিচ্ছেদ সমাজে চরম পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে, যার নানাবিধ নেতিবাচক প্রভাব পরছে আমাদের পরিবার ও সমাজব্যবস্থার ওপর। সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত দাম্পত্য সম্পর্কের পরিসমাপ্তির এক চরম পন্থা হিসেবে বিবেচিত হয় বিবাহ বিচ্ছেদ।

২০২০ সালের জুন থেকে অক্টোবর মাসে ঢাকায় প্রতিদিনে গড়ে বিবাহবিচ্ছেদ হয় ৩৯টি, প্রতি ৩৭ মিনিটে ১টি। ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে বেড়েছে ১৭ শতাংশ, ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে তা বেড়েছে ৩০ শতাংশ। করোনা মহামারির আগে গত বছরের এপ্রিল ও মে মাসে বিবাহবিচ্ছেদের কোন আবেদন জমা পরেনি, তবে জুন মাস থেকেই শুরু হয় এর ভয়াবহতা। এক্ষেত্রে লক্ষ্য করা যায় বিবাহ বিচ্ছেদের সর্বমোট আবেদনের ৭০ শতাংশ আবেদন করা হয়েছিল স্ত্রী কর্তৃক। অর্থাৎ সাধারণ ধারণা করা যায় করোনাকালীন সময়ে যখন পুরুষদের আয়ের উৎস বন্ধ হয়ে যায় তখন সংসারে বিভিন্ন প্রতিকূল অবস্থার সৃষ্টি হলে তখন বিবাহ বিচ্ছেদের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

এ সমস্যা মোকাবিলায় আমাদের সংস্কৃতিকে গণমাধ্যমে তুলে ধরতে হবে। আমাদের পারিবারিক জীবনের সুন্দর ও গৌরবময় অতীতকে সবার মাঝে ফুটিয়ে তুলতে হবে। সামাজিক ভাবে যদি আত্মীয়তার বন্ধন দৃঢ় হয় তাহলে বিবাহ বিচ্ছেদের সংখ্যা অনেকাংশেই কমে যাবে।

মাহমুদুল হাসান ইজাজ

শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ

আরও খবর

শনিবার, ১২ জুন ২০২১ , ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ৩০ শাওয়াল ১৪৪২

করোনাকালীন সময়ে বেড়েছে বিবাহ বিচ্ছেদ

বর্তমান সময়ে বিবাহ বিচ্ছেদ সমাজে চরম পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে, যার নানাবিধ নেতিবাচক প্রভাব পরছে আমাদের পরিবার ও সমাজব্যবস্থার ওপর। সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত দাম্পত্য সম্পর্কের পরিসমাপ্তির এক চরম পন্থা হিসেবে বিবেচিত হয় বিবাহ বিচ্ছেদ।

২০২০ সালের জুন থেকে অক্টোবর মাসে ঢাকায় প্রতিদিনে গড়ে বিবাহবিচ্ছেদ হয় ৩৯টি, প্রতি ৩৭ মিনিটে ১টি। ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে বেড়েছে ১৭ শতাংশ, ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে তা বেড়েছে ৩০ শতাংশ। করোনা মহামারির আগে গত বছরের এপ্রিল ও মে মাসে বিবাহবিচ্ছেদের কোন আবেদন জমা পরেনি, তবে জুন মাস থেকেই শুরু হয় এর ভয়াবহতা। এক্ষেত্রে লক্ষ্য করা যায় বিবাহ বিচ্ছেদের সর্বমোট আবেদনের ৭০ শতাংশ আবেদন করা হয়েছিল স্ত্রী কর্তৃক। অর্থাৎ সাধারণ ধারণা করা যায় করোনাকালীন সময়ে যখন পুরুষদের আয়ের উৎস বন্ধ হয়ে যায় তখন সংসারে বিভিন্ন প্রতিকূল অবস্থার সৃষ্টি হলে তখন বিবাহ বিচ্ছেদের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

এ সমস্যা মোকাবিলায় আমাদের সংস্কৃতিকে গণমাধ্যমে তুলে ধরতে হবে। আমাদের পারিবারিক জীবনের সুন্দর ও গৌরবময় অতীতকে সবার মাঝে ফুটিয়ে তুলতে হবে। সামাজিক ভাবে যদি আত্মীয়তার বন্ধন দৃঢ় হয় তাহলে বিবাহ বিচ্ছেদের সংখ্যা অনেকাংশেই কমে যাবে।

মাহমুদুল হাসান ইজাজ

শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ