করোনা রোগী বেড়েছে ২৭ শতাংশ

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত রোগী দুটোই আগের দিনের চেয়ে কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৩৯ জন, যা আগের দিনের তুলনায় কম। তবে এদিন নমুনা পরীক্ষাও কমেছে। বেড়েছে সংক্রমণের হার। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণের হার ১৪ দশমিক ১২ শতাংশ। এছাড়া গত সপ্তাহের তুলনায় চলতি সপ্তাহে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা, নতুন রোগী শনাক্ত, সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা ও করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বেড়েছে।

গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরার সই করা কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

অধিদপ্তর জানায়, চলতি সপ্তাহে (৬ জুন থেকে ১২ জুন) করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক লাখ ২২ হাজার ১০৩টি। আর গত সপ্তাহে (৩০ মে থেকে ৫ জুন) পর্যন্ত করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল এক লাখ ১৯ হাজার ২০২টি। অর্থাৎ গত সপ্তাহের তুলনায় চলতি সপ্তাহে নমুনা পরীক্ষার হার বেড়েছে দুই দশমিক ৪৩ শতাংশ। একইভাবে চলতি সপ্তাহে রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ১৭২ জন আর গত সপ্তাহে রোগী শনাক্ত হয়েছিলেন ১১ হাজার ৯২৮ জন। আগের সপ্তাহের চেয়ে চলতি সপ্তাহে রোগী শনাক্তের হার বেড়েছে ২৭ দশমিক ২০ শতাংশ।

একইভাবে চলতি সপ্তাহে সুস্থ হয়েছেন ১৪ হাজার ৫৯৯ জন আর গত সপ্তাহে সুস্থ হয়েছিলেন ১২ হাজার ১৭ জন। অর্থাৎ, সুস্থ হওয়ার হারও বেড়েছে ২১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।

অধিদপ্তর জানায়, চলতি সপ্তাহে করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৭৯ জন আর গত সপ্তাহে মারা গিয়েছেন ২৫২ জন। সে হিসেবে চলতি সপ্তাহে আগের সপ্তাহের চেয়ে মৃত্যুহার বেড়েছে সাত দশমিক ১৪ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৬৩৭ জন রোগী শনাক্তের কথা জানানো হয়েছে। এই সংখ্যা আগের দিনের চেয়ে ৮০০ এর বেশি কম। শুক্রবার দেশে ২ হাজার ৪৫৪ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্তের খবর এসেছিল। নতুন ১ হাজার ৬৩৭ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ২৪ হাজার ৪৮৬ জনে। আর গতকালের ৩৯ জনকে নিয়ে দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৩ হাজার ৭১ জন। সরকারি হিসাবে আক্রান্তদের মধ্যে একদিনে আরও ২ হাজার ১০৮ জন সুস্থ হয়ে ওঠেছেন; এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৬৪ হাজার ২৪ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আগের দিনের মতোই ৫১০টি ল্যাবে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এসব ল্যাবে ১১ হাজার ৬৬১টি নমুনা সংগ্রহ করে ১১ হাজার ৫৯০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ নিয়ে দেশে ৬১ লাখ ৫৬ হাজার ৩৬৩টি নমুনা পরীক্ষা হলো। এর আগের দিন পরীক্ষা হয়েছিল ১৮ হাজার ৫৩৫টি নমুনা। তবে শনিবার নমুনা পরীক্ষা ও শনাক্ত কমলেও সংক্রমণের হার কমেনি। মোট আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ৯২ দশমিক ৫৯ শতাংশ সুস্থ হয়ে ওঠলেন। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৩৯ জন মারা গেছেন, তাদের ২৬ জন পুরুষ, ১৩ জন নারী। এই ৩৯ জনের ৩৬ জন হাসপাতালে এবং তিনজনের বাসায় মৃত্যু হয়েছে। করোনায় মৃত্যুবরণকারী এই ৩৯ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ ২০ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৭ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছর, ৭ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর। এছাড়া ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী চারজন এবং ২১-৩০ বছর বয়সী একজনের মৃত্যু হয়েছে।

করোনায় মারা যাওয়া এই ৩৯ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ ১১ জন খুলনা বিভাগের, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১০ জন ঢাকা বিভাগের। এছাড়া ৬ জন চট্টগ্রাম, ৭ জন রাজশাহীর, বরিশাল ও রংপুরের দুজন করে এবং সিলেটের একজন মারা গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ বিভাগে করোনায় আক্রান্ত কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত মৃত ১৩ হাজার ৭১ জনের মধ্যে ৯ হাজার ৪০৬ জন পুরুষ এবং ৩ হাজার ৬৬৫ জন নারী।

রবিবার, ১৩ জুন ২০২১ , ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ৩১ রজব ১৪৪২

করোনা রোগী বেড়েছে ২৭ শতাংশ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত রোগী দুটোই আগের দিনের চেয়ে কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৩৯ জন, যা আগের দিনের তুলনায় কম। তবে এদিন নমুনা পরীক্ষাও কমেছে। বেড়েছে সংক্রমণের হার। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণের হার ১৪ দশমিক ১২ শতাংশ। এছাড়া গত সপ্তাহের তুলনায় চলতি সপ্তাহে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা, নতুন রোগী শনাক্ত, সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা ও করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বেড়েছে।

গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরার সই করা কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

অধিদপ্তর জানায়, চলতি সপ্তাহে (৬ জুন থেকে ১২ জুন) করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক লাখ ২২ হাজার ১০৩টি। আর গত সপ্তাহে (৩০ মে থেকে ৫ জুন) পর্যন্ত করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল এক লাখ ১৯ হাজার ২০২টি। অর্থাৎ গত সপ্তাহের তুলনায় চলতি সপ্তাহে নমুনা পরীক্ষার হার বেড়েছে দুই দশমিক ৪৩ শতাংশ। একইভাবে চলতি সপ্তাহে রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ১৭২ জন আর গত সপ্তাহে রোগী শনাক্ত হয়েছিলেন ১১ হাজার ৯২৮ জন। আগের সপ্তাহের চেয়ে চলতি সপ্তাহে রোগী শনাক্তের হার বেড়েছে ২৭ দশমিক ২০ শতাংশ।

একইভাবে চলতি সপ্তাহে সুস্থ হয়েছেন ১৪ হাজার ৫৯৯ জন আর গত সপ্তাহে সুস্থ হয়েছিলেন ১২ হাজার ১৭ জন। অর্থাৎ, সুস্থ হওয়ার হারও বেড়েছে ২১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।

অধিদপ্তর জানায়, চলতি সপ্তাহে করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৭৯ জন আর গত সপ্তাহে মারা গিয়েছেন ২৫২ জন। সে হিসেবে চলতি সপ্তাহে আগের সপ্তাহের চেয়ে মৃত্যুহার বেড়েছে সাত দশমিক ১৪ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৬৩৭ জন রোগী শনাক্তের কথা জানানো হয়েছে। এই সংখ্যা আগের দিনের চেয়ে ৮০০ এর বেশি কম। শুক্রবার দেশে ২ হাজার ৪৫৪ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্তের খবর এসেছিল। নতুন ১ হাজার ৬৩৭ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ২৪ হাজার ৪৮৬ জনে। আর গতকালের ৩৯ জনকে নিয়ে দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৩ হাজার ৭১ জন। সরকারি হিসাবে আক্রান্তদের মধ্যে একদিনে আরও ২ হাজার ১০৮ জন সুস্থ হয়ে ওঠেছেন; এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৬৪ হাজার ২৪ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আগের দিনের মতোই ৫১০টি ল্যাবে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এসব ল্যাবে ১১ হাজার ৬৬১টি নমুনা সংগ্রহ করে ১১ হাজার ৫৯০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ নিয়ে দেশে ৬১ লাখ ৫৬ হাজার ৩৬৩টি নমুনা পরীক্ষা হলো। এর আগের দিন পরীক্ষা হয়েছিল ১৮ হাজার ৫৩৫টি নমুনা। তবে শনিবার নমুনা পরীক্ষা ও শনাক্ত কমলেও সংক্রমণের হার কমেনি। মোট আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ৯২ দশমিক ৫৯ শতাংশ সুস্থ হয়ে ওঠলেন। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৩৯ জন মারা গেছেন, তাদের ২৬ জন পুরুষ, ১৩ জন নারী। এই ৩৯ জনের ৩৬ জন হাসপাতালে এবং তিনজনের বাসায় মৃত্যু হয়েছে। করোনায় মৃত্যুবরণকারী এই ৩৯ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ ২০ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৭ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছর, ৭ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর। এছাড়া ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী চারজন এবং ২১-৩০ বছর বয়সী একজনের মৃত্যু হয়েছে।

করোনায় মারা যাওয়া এই ৩৯ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ ১১ জন খুলনা বিভাগের, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১০ জন ঢাকা বিভাগের। এছাড়া ৬ জন চট্টগ্রাম, ৭ জন রাজশাহীর, বরিশাল ও রংপুরের দুজন করে এবং সিলেটের একজন মারা গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ বিভাগে করোনায় আক্রান্ত কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত মৃত ১৩ হাজার ৭১ জনের মধ্যে ৯ হাজার ৪০৬ জন পুরুষ এবং ৩ হাজার ৬৬৫ জন নারী।