মৌসুমি বায়ু ও সাগরে লঘুচাপের প্রভাবে সারাদেশের মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। যা আগামী এক সপ্তাহ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপের প্রভাবে ভারি মেঘের সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দমকা হওয়াসহ বৃষ্টি হচ্ছে। দেশের চার সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত এবং নদী বন্দরগুলোতে ১ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান সংবাদকে বলেন, যেহেতু মৌসুমি বায়ু সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে, ফলে এ সপ্তাহে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে। একই সঙ্গে লঘুচাপের কারণে সঞ্চারণশীল মেঘের সৃষ্টি হয়েছে। এতে দমকা হাওয়া বইবে। কোথাও কোথাও ভারি বৃষ্টিও হতে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে কুমারখালীতে ৭৪ মিলিমিটার। এছাড়া ভোলা ও টেকনাফে ৭২, খেপুপাড়ায় ৬৮, হাতিয়ায় ৪৪, পটুয়াখালী ও রাজারহাটে ৪২, যশোরে ৩৯, টাঙ্গাইলে ৩৮, তেঁতুলিয়ায় ৩৬, রংপুরে ৩৫, দিনাজপুর, তাড়াস ও ঢাকায় ৩০, ফরিদপুরে ২৮, ঈশ্বরদীতে ২৭, সৈয়দপুরে ২৬, বগুড়া ও নেত্রকোনায় ২৫, সিলেট ও নিকলিতে ২৪, কুমিল্লায় ২৩, সাতক্ষীরায় ১৭, ডিমলা ও ময়মনসিংহে ১৩, বরিশালে ১২, চুয়াডাঙ্গা ও চাঁদপুরে ১১ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া অন্য এলাকায় সামান্য বৃষ্টি হয়েছে।
আবহাওয়ার এক সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছে, উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় এবং উপকূলীয় এলাকায় একটি লঘুচাল সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার আকাশে গভীর সঞ্চারণশীল মেঘের সৃষ্টি হয়েছে। সমুদ্র বন্দর, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং উপকূলীয় এলাকার ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এজন্য দেশের চার সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, পায়রা এবং মোংলাকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
নদী বন্দরগুলোরকে দেয়া পূর্বাভাসে বলা হয়, দেশের নদীবন্দর এলাকাগুলোতে দক্ষিণ-দক্ষিণ পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এজন্য এসব এলাকার বন্দরগুলোকে ১ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু সারাদেশে বিস্তার লাভ করেছে। এদিকে উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও এর আশপাশের এলাকায় একটি লঘুচাপ রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় ও উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় আছে। এর প্রভাবে খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টি হতে পারে।
রবিবার, ১৩ জুন ২০২১ , ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ৩১ রজব ১৪৪২
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
মৌসুমি বায়ু ও সাগরে লঘুচাপের প্রভাবে সারাদেশের মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। যা আগামী এক সপ্তাহ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপের প্রভাবে ভারি মেঘের সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দমকা হওয়াসহ বৃষ্টি হচ্ছে। দেশের চার সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত এবং নদী বন্দরগুলোতে ১ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান সংবাদকে বলেন, যেহেতু মৌসুমি বায়ু সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে, ফলে এ সপ্তাহে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে। একই সঙ্গে লঘুচাপের কারণে সঞ্চারণশীল মেঘের সৃষ্টি হয়েছে। এতে দমকা হাওয়া বইবে। কোথাও কোথাও ভারি বৃষ্টিও হতে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে কুমারখালীতে ৭৪ মিলিমিটার। এছাড়া ভোলা ও টেকনাফে ৭২, খেপুপাড়ায় ৬৮, হাতিয়ায় ৪৪, পটুয়াখালী ও রাজারহাটে ৪২, যশোরে ৩৯, টাঙ্গাইলে ৩৮, তেঁতুলিয়ায় ৩৬, রংপুরে ৩৫, দিনাজপুর, তাড়াস ও ঢাকায় ৩০, ফরিদপুরে ২৮, ঈশ্বরদীতে ২৭, সৈয়দপুরে ২৬, বগুড়া ও নেত্রকোনায় ২৫, সিলেট ও নিকলিতে ২৪, কুমিল্লায় ২৩, সাতক্ষীরায় ১৭, ডিমলা ও ময়মনসিংহে ১৩, বরিশালে ১২, চুয়াডাঙ্গা ও চাঁদপুরে ১১ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া অন্য এলাকায় সামান্য বৃষ্টি হয়েছে।
আবহাওয়ার এক সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছে, উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় এবং উপকূলীয় এলাকায় একটি লঘুচাল সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার আকাশে গভীর সঞ্চারণশীল মেঘের সৃষ্টি হয়েছে। সমুদ্র বন্দর, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং উপকূলীয় এলাকার ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এজন্য দেশের চার সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, পায়রা এবং মোংলাকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
নদী বন্দরগুলোরকে দেয়া পূর্বাভাসে বলা হয়, দেশের নদীবন্দর এলাকাগুলোতে দক্ষিণ-দক্ষিণ পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এজন্য এসব এলাকার বন্দরগুলোকে ১ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু সারাদেশে বিস্তার লাভ করেছে। এদিকে উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও এর আশপাশের এলাকায় একটি লঘুচাপ রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় ও উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় আছে। এর প্রভাবে খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টি হতে পারে।