রাজধানীর গ্রিন লাইফ হাসপাতালের চিকিৎসক সাবিরা রহমান লিপি হত্যার পর ১২ দিন পার হলেও এখনও পুরোটাই রয়েছে রহস্যে ঘেরা। তাকে খুন করা হয়েছিল বিষয়টি নিশ্চিত হলেও খুনের কারণ কিংবা হত্যাকারীর বিষয়ে এখনও কোন ধারণা পায়নি পুলিশ। পুলিশ বলছে, হত্যা মামলাটি তদন্তের এ পর্যায়ে এখনও কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। এখনও এ মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তদন্তের প্রয়োজনে সন্দেহভাজনসহ ডা. সাবিরার পরিচিতজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ঘটনার পর ওই ডাক্তারের বাসায় সাবলেট থাকা তরুণী ও বাসার নিরাপত্তারক্ষীসহ কয়েকজনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। পরে সবাইকেই ছেড়ে দেয়া হয়েছে। যেহেতু হত্যাকা-ে এখন পর্যন্ত স্পষ্ট কোন ক্লু নেই, তাই কাউকেই সন্দেহের বাইরে রাখছে না পুলিশ। প্রয়োজনে যে কাউকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্ত কর্মকর্তা। সংশ্লিষ্টরা জানান, নিহতের ভাড়া বাসায় কার কার যাতায়াত ছিল কিংবা অপরিচিত কারও যাতায়াত ছিল কিনা জানার চেষ্টা চলছে।
সাবিরার বাসা ও আশপাশে সিসিটিভি ক্যামেরা নেই। দূরের কয়েকটি ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে সেসব ফুটেজে তেমন কোন কিছুই স্পষ্ট নয়।
এদিকে ঘটনার দিনই সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট নিহতের শরীরে, দরজায় ও চেয়ারে একাধিক ব্যক্তির ফ্রিঙ্গারপ্রিন্ট পেয়েছে। আলামত হিসেবে উদ্ধার করা হয়েছে সিগারেটের অবশিষ্ট অংশ ও ঠা-া কফির মগ। পরিবারের সঙ্গে নিহত সাবিরার দূরত্বের কারণও জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। আত্মীয়-স্বজনরা জানিয়েছেন, ডাক্তার সাবিরা খুবই ভালো মানুষ ছিলেন তবে তার স্বামীর সঙ্গে দূরত্ব ছিল। স্বামীর অবর্তমানে নিহতের বাসায় কারও যাতায়াত ছিল কিনা, কারও সঙ্গে বিশেষ ফোনালাপ হতো কিনা তাও যাচাই করে দেখা হচ্ছে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, পরকীয়া, ডাকাতি ও পারিবারিক দ্বন্দ্ব গুরুত্ব দিয়ে ক্লু খোঁজা হচ্ছে। ছেলেকে নিয়ে তিনি সম্প্রতি কানাডায় পাড়ি জমাতে চেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন স্বজনরা। ডাক্তার সাবিরার অবসর সময় কীভাবে কাটত ও বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হচ্ছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের নিউমার্কেট জোনের সহকারী কমিশনার শরীফ মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান জানান, এ হত্যাকা-ের বিষয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্ত পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। তদন্তের প্রয়োজনে ডাক্তার সাবিরার আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু, সহকর্মীসহ যাকেই প্রয়োজন হচ্ছে তাকে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে এখনও কাউকে গ্রেপ্তার বা আটক করা হয়নি। ডাক্তার সাবিরার মরদেহ উদ্ধারের ৩৫ ঘণ্টা পর রাজধানীর কলাবাগান থানায় একটি হত্যা ও হত্যার আলামত নষ্ট চেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন ডা. সাবিরার মামাতো ভাই রেজাউল হাসান মজুমদার জুয়েল।
মামলায় আসামি অজ্ঞাত উল্লেখ করলেও বাদীর সন্দেহ চিকিৎসক লিপির ভাড়ার বাসার সাবলেটে থাকা বাসিন্দা মডেল কানিজ সুবর্ণাকে ঘিরে। তবে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাবলেট কানিজকে খুনি বলার মতো কোন প্রমাণ নেই। বাদী সন্দেহ করতেই পারেন, তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে খুনিকে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, গত ৩১ মে কলাবাগানের ৫০/১ ফার্স্ট লেনের বাসা থেকে ডাক্তার সাবিরার রক্তাক্ত ও দগ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
রবিবার, ১৩ জুন ২০২১ , ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ৩১ রজব ১৪৪২
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
রাজধানীর গ্রিন লাইফ হাসপাতালের চিকিৎসক সাবিরা রহমান লিপি হত্যার পর ১২ দিন পার হলেও এখনও পুরোটাই রয়েছে রহস্যে ঘেরা। তাকে খুন করা হয়েছিল বিষয়টি নিশ্চিত হলেও খুনের কারণ কিংবা হত্যাকারীর বিষয়ে এখনও কোন ধারণা পায়নি পুলিশ। পুলিশ বলছে, হত্যা মামলাটি তদন্তের এ পর্যায়ে এখনও কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। এখনও এ মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তদন্তের প্রয়োজনে সন্দেহভাজনসহ ডা. সাবিরার পরিচিতজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ঘটনার পর ওই ডাক্তারের বাসায় সাবলেট থাকা তরুণী ও বাসার নিরাপত্তারক্ষীসহ কয়েকজনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। পরে সবাইকেই ছেড়ে দেয়া হয়েছে। যেহেতু হত্যাকা-ে এখন পর্যন্ত স্পষ্ট কোন ক্লু নেই, তাই কাউকেই সন্দেহের বাইরে রাখছে না পুলিশ। প্রয়োজনে যে কাউকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্ত কর্মকর্তা। সংশ্লিষ্টরা জানান, নিহতের ভাড়া বাসায় কার কার যাতায়াত ছিল কিংবা অপরিচিত কারও যাতায়াত ছিল কিনা জানার চেষ্টা চলছে।
সাবিরার বাসা ও আশপাশে সিসিটিভি ক্যামেরা নেই। দূরের কয়েকটি ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে সেসব ফুটেজে তেমন কোন কিছুই স্পষ্ট নয়।
এদিকে ঘটনার দিনই সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট নিহতের শরীরে, দরজায় ও চেয়ারে একাধিক ব্যক্তির ফ্রিঙ্গারপ্রিন্ট পেয়েছে। আলামত হিসেবে উদ্ধার করা হয়েছে সিগারেটের অবশিষ্ট অংশ ও ঠা-া কফির মগ। পরিবারের সঙ্গে নিহত সাবিরার দূরত্বের কারণও জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। আত্মীয়-স্বজনরা জানিয়েছেন, ডাক্তার সাবিরা খুবই ভালো মানুষ ছিলেন তবে তার স্বামীর সঙ্গে দূরত্ব ছিল। স্বামীর অবর্তমানে নিহতের বাসায় কারও যাতায়াত ছিল কিনা, কারও সঙ্গে বিশেষ ফোনালাপ হতো কিনা তাও যাচাই করে দেখা হচ্ছে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, পরকীয়া, ডাকাতি ও পারিবারিক দ্বন্দ্ব গুরুত্ব দিয়ে ক্লু খোঁজা হচ্ছে। ছেলেকে নিয়ে তিনি সম্প্রতি কানাডায় পাড়ি জমাতে চেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন স্বজনরা। ডাক্তার সাবিরার অবসর সময় কীভাবে কাটত ও বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হচ্ছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের নিউমার্কেট জোনের সহকারী কমিশনার শরীফ মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান জানান, এ হত্যাকা-ের বিষয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্ত পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। তদন্তের প্রয়োজনে ডাক্তার সাবিরার আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু, সহকর্মীসহ যাকেই প্রয়োজন হচ্ছে তাকে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে এখনও কাউকে গ্রেপ্তার বা আটক করা হয়নি। ডাক্তার সাবিরার মরদেহ উদ্ধারের ৩৫ ঘণ্টা পর রাজধানীর কলাবাগান থানায় একটি হত্যা ও হত্যার আলামত নষ্ট চেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন ডা. সাবিরার মামাতো ভাই রেজাউল হাসান মজুমদার জুয়েল।
মামলায় আসামি অজ্ঞাত উল্লেখ করলেও বাদীর সন্দেহ চিকিৎসক লিপির ভাড়ার বাসার সাবলেটে থাকা বাসিন্দা মডেল কানিজ সুবর্ণাকে ঘিরে। তবে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাবলেট কানিজকে খুনি বলার মতো কোন প্রমাণ নেই। বাদী সন্দেহ করতেই পারেন, তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে খুনিকে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, গত ৩১ মে কলাবাগানের ৫০/১ ফার্স্ট লেনের বাসা থেকে ডাক্তার সাবিরার রক্তাক্ত ও দগ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।