মডেল মসজিদ প্রসঙ্গে

আট হাজার ৭২২ কোটি টাকা ব্যয়ে সারাদেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ধর্মনিরপেক্ষ একটি রাষ্ট্রের পক্ষে বিশেষ একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের জন্য প্রার্থনালয় নির্মাণ করা সঙ্গত কিনাÑ এ বিতর্কের মধ্যেই প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৫০টি মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী গত বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেগুলো উদ্বোধন করেছেন।

প্রকল্প পরিচালক মো. নজিবর রহমান গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘বিশ্বে কোন মুসলিম শাসকের একসঙ্গে ৫৬০টি মসজিদ নির্মাণ এই প্রথম।’ একসঙ্গে ৫৬০টি মসজিদ নির্মাণের কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, ইসলামের ভ্রাতৃত্ব ও মূল্যবোধের প্রচার এবং উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ইসলামের ‘প্রকৃত মর্মবাণী’ প্রচার করার লক্ষ্যে সরকার এ প্রকল্প নিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, মডেল মসজিদ জঙ্গিবাদ ও নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে ভূমিকা রাখবে। মসজিদগুলো প্রধানমন্ত্রীর আশাবাদ অনুযায়ী যথাযথ ভূমিকা রাখতে পারে কিনা সেটা সময়ই বলে দেবে। আমরা শুধু বলতে চাই, যে লক্ষ্যের কথা বলে মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে সেই লক্ষ্য অর্জনে জোরালো মনিটরিং থাকতে হবে। জঙ্গিবাদ, নারীর প্রতি সহিংসতা, সাম্প্রদায়িকতা, অজ্ঞতা ও কুসংস্কার রোধে বিদ্যমান মসজিদগুলো কী ভূমিকা রাখছে সেটাও নজরদারির মধ্যে আনা জরুরি।

একটি উগ্র ধর্মীয় গোষ্ঠী ইসলামের ‘প্রকৃত মর্মবাণী’ উপেক্ষা করে বরাবরই প্রকাশ্যে বাঙালি সংস্কৃতি, ধর্মনিরপেক্ষতা, অসাম্প্রদায়িকতা, নারীর স্বাধীনতার বিরুদ্ধে নানা মতবাদ প্রচার করছে। মসজিদ-মাদ্রাসার মতো ধর্মীয় স্থাপনার মাইকে ঘোষণা দিয়ে সাম্প্রদায়িক হামলা চালানো, ফতোয়া জারি করা, গুজব রটানোর নজির দেশে রয়েছে। উগ্র বা সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী যেন মডেল মসজিদসহ দেশের কোন মসজিদ-মাদ্রাসার অপব্যবহার করতে না পারে সে বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।

রবিবার, ১৩ জুন ২০২১ , ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ৩১ রজব ১৪৪২

মডেল মসজিদ প্রসঙ্গে

আট হাজার ৭২২ কোটি টাকা ব্যয়ে সারাদেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ধর্মনিরপেক্ষ একটি রাষ্ট্রের পক্ষে বিশেষ একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের জন্য প্রার্থনালয় নির্মাণ করা সঙ্গত কিনাÑ এ বিতর্কের মধ্যেই প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৫০টি মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী গত বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেগুলো উদ্বোধন করেছেন।

প্রকল্প পরিচালক মো. নজিবর রহমান গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘বিশ্বে কোন মুসলিম শাসকের একসঙ্গে ৫৬০টি মসজিদ নির্মাণ এই প্রথম।’ একসঙ্গে ৫৬০টি মসজিদ নির্মাণের কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, ইসলামের ভ্রাতৃত্ব ও মূল্যবোধের প্রচার এবং উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ইসলামের ‘প্রকৃত মর্মবাণী’ প্রচার করার লক্ষ্যে সরকার এ প্রকল্প নিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, মডেল মসজিদ জঙ্গিবাদ ও নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে ভূমিকা রাখবে। মসজিদগুলো প্রধানমন্ত্রীর আশাবাদ অনুযায়ী যথাযথ ভূমিকা রাখতে পারে কিনা সেটা সময়ই বলে দেবে। আমরা শুধু বলতে চাই, যে লক্ষ্যের কথা বলে মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে সেই লক্ষ্য অর্জনে জোরালো মনিটরিং থাকতে হবে। জঙ্গিবাদ, নারীর প্রতি সহিংসতা, সাম্প্রদায়িকতা, অজ্ঞতা ও কুসংস্কার রোধে বিদ্যমান মসজিদগুলো কী ভূমিকা রাখছে সেটাও নজরদারির মধ্যে আনা জরুরি।

একটি উগ্র ধর্মীয় গোষ্ঠী ইসলামের ‘প্রকৃত মর্মবাণী’ উপেক্ষা করে বরাবরই প্রকাশ্যে বাঙালি সংস্কৃতি, ধর্মনিরপেক্ষতা, অসাম্প্রদায়িকতা, নারীর স্বাধীনতার বিরুদ্ধে নানা মতবাদ প্রচার করছে। মসজিদ-মাদ্রাসার মতো ধর্মীয় স্থাপনার মাইকে ঘোষণা দিয়ে সাম্প্রদায়িক হামলা চালানো, ফতোয়া জারি করা, গুজব রটানোর নজির দেশে রয়েছে। উগ্র বা সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী যেন মডেল মসজিদসহ দেশের কোন মসজিদ-মাদ্রাসার অপব্যবহার করতে না পারে সে বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।