এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার বিকল্প ব্যবস্থা ভাবা হচ্ছে

করোনা সংক্রমণের কারণে এ বছর এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে নেয়া সম্ভব না হলে ‘বিকল্প ব্যবস্থা’য় তা নেয়ার চিন্তাভাবনা করছে শিক্ষা প্রশাসন।

গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভা শেষে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে ২০২১ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেয়ার চেষ্টা চলছে জানিয়ে দীপু মনি বলেন, ‘এখন সেটিও যদি না হয়, আমরা তার বিকল্প নিয়েও চিন্তা করছি। কিন্তু এখন পরীক্ষা আমরা নিতে পারব কিনা, পরীক্ষা নিতে না পারলে বিকল্প কোন ব্যবস্থা থাকলে তার সবকিছু নিয়েই কিন্তু চিন্তাভাবনা আছে।’

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা সংক্রমই শনাক্ত হলে ১৭ মার্চ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এর আগে এসএসসি পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়, কিন্তু গত বছর এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি। উচ্চ মাধ্যমিকের এই পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন ফল প্রকাশ করা হয় তাদের এসএসসি ও জেএসসির ফলের ভিত্তিতে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে চলতি বছরে কয়েক দফায় দিনক্ষণ নির্ধারণ এবং প্রস্তুতি নেয়ার কথা বলা হলেও করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি।

সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, ১৩ জুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে ৩০ জুন পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের উদ্বেগের কোন কারণ নেই-জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী গতকাল আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যেন তাদের স্বাভাবিক পড়াশোনা বাড়িতে যেটুকু সম্ভব, সেটা যেন করে। যেখানে যেটুকু সহযোগিতা অনলাইনে বা অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে যা হচ্ছে, সেটি তো হচ্ছে। তারপরে যতটুকু সম্ভব, তারা নিজেরা বাড়িতে পড়াশুনাটি চালিয়ে যাক।’

মন্ত্রী জানান, শিক্ষার্থীরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এমন কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হবে না। তিনি বলেন, ‘আমাদের ক্ষতিটা সামগ্রিক শিক্ষাব্যবস্থার ক্ষতি এবং এই ক্ষতিটা সারা বিশ্বেই হচ্ছে।’

করোনার শিক্ষার ক্ষতি কী করে পুষিয়ে নেয়া যায়, সে ব্যাপারেও সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে জানিয়ে দীপু মনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘বিশেষ করে যারা ২০২১ এর এসএসসি এবং এসএসসির স্টুডেন্ট, আপনারা বিভ্রান্ত হবেন না। ভুলপথে যাবেন না। নিজেরা বাড়িতে নিজেদের সুস্থ রাখার জন্য শারীরিক এবং মানসিকভাবে সেটির জন্য কাজ করুন। কোন খারাপ কিছুতে নিজেদের জড়িয়ে ফেলবেন না।’

পরীক্ষা এক বছর না দিলে জীবনে এমন কোন বিরাট ক্ষতি হয়ে যাবে না মন্তব্য করে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আপনাদের ভয়ের কোন কারণ নেই। পরীক্ষা দিতে হবে কি হবে না- সেটি পরের কথা। নিজেরা নিজেদের যতটুকু শিক্ষার সঙ্গে, নিজেদের পাঠ্যক্রমের সঙ্গে জড়িত রাখা সম্ভব, সেটি রাখুন, সুস্থ থাকুন। আমরা চাই, আমাদের সন্তানেরা সুস্থ থাকুন।’

মন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছুদেরও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির ব্যাপারে আরও কী করা যায়- সে ব্যাপারেও চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।

সোমবার, ১৪ জুন ২০২১ , ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২ জিলকদ ১৪৪২

এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার বিকল্প ব্যবস্থা ভাবা হচ্ছে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

করোনা সংক্রমণের কারণে এ বছর এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে নেয়া সম্ভব না হলে ‘বিকল্প ব্যবস্থা’য় তা নেয়ার চিন্তাভাবনা করছে শিক্ষা প্রশাসন।

গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভা শেষে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে ২০২১ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেয়ার চেষ্টা চলছে জানিয়ে দীপু মনি বলেন, ‘এখন সেটিও যদি না হয়, আমরা তার বিকল্প নিয়েও চিন্তা করছি। কিন্তু এখন পরীক্ষা আমরা নিতে পারব কিনা, পরীক্ষা নিতে না পারলে বিকল্প কোন ব্যবস্থা থাকলে তার সবকিছু নিয়েই কিন্তু চিন্তাভাবনা আছে।’

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা সংক্রমই শনাক্ত হলে ১৭ মার্চ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এর আগে এসএসসি পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়, কিন্তু গত বছর এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি। উচ্চ মাধ্যমিকের এই পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন ফল প্রকাশ করা হয় তাদের এসএসসি ও জেএসসির ফলের ভিত্তিতে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে চলতি বছরে কয়েক দফায় দিনক্ষণ নির্ধারণ এবং প্রস্তুতি নেয়ার কথা বলা হলেও করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি।

সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, ১৩ জুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে ৩০ জুন পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের উদ্বেগের কোন কারণ নেই-জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী গতকাল আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যেন তাদের স্বাভাবিক পড়াশোনা বাড়িতে যেটুকু সম্ভব, সেটা যেন করে। যেখানে যেটুকু সহযোগিতা অনলাইনে বা অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে যা হচ্ছে, সেটি তো হচ্ছে। তারপরে যতটুকু সম্ভব, তারা নিজেরা বাড়িতে পড়াশুনাটি চালিয়ে যাক।’

মন্ত্রী জানান, শিক্ষার্থীরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এমন কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হবে না। তিনি বলেন, ‘আমাদের ক্ষতিটা সামগ্রিক শিক্ষাব্যবস্থার ক্ষতি এবং এই ক্ষতিটা সারা বিশ্বেই হচ্ছে।’

করোনার শিক্ষার ক্ষতি কী করে পুষিয়ে নেয়া যায়, সে ব্যাপারেও সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে জানিয়ে দীপু মনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘বিশেষ করে যারা ২০২১ এর এসএসসি এবং এসএসসির স্টুডেন্ট, আপনারা বিভ্রান্ত হবেন না। ভুলপথে যাবেন না। নিজেরা বাড়িতে নিজেদের সুস্থ রাখার জন্য শারীরিক এবং মানসিকভাবে সেটির জন্য কাজ করুন। কোন খারাপ কিছুতে নিজেদের জড়িয়ে ফেলবেন না।’

পরীক্ষা এক বছর না দিলে জীবনে এমন কোন বিরাট ক্ষতি হয়ে যাবে না মন্তব্য করে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আপনাদের ভয়ের কোন কারণ নেই। পরীক্ষা দিতে হবে কি হবে না- সেটি পরের কথা। নিজেরা নিজেদের যতটুকু শিক্ষার সঙ্গে, নিজেদের পাঠ্যক্রমের সঙ্গে জড়িত রাখা সম্ভব, সেটি রাখুন, সুস্থ থাকুন। আমরা চাই, আমাদের সন্তানেরা সুস্থ থাকুন।’

মন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছুদেরও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির ব্যাপারে আরও কী করা যায়- সে ব্যাপারেও চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।