প্রতারণা করে বিয়ে, নির্যাতনে হত্যার কারণ হতে পারে, স্বামী মিল্লাত পলাতক : পুলিশ

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সংসদ সচিবালয়ের কোয়ার্টারে থেকে নুসরাত জাহান (২৭) নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এখনও পলাতক রয়েছেন স্বামী মামুন মিল্লাত। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, মিল্লাতের কারণে নুসরাত আত্মহত্যা করেছে। মিল্লাতকে হাতে পেলেই নুসরাতের আত্মহত্যার পেছনের বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে বলে মনে করছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি এলাকার বাসিন্দা নিবেদিতা রোজারিও ২০১৯ সালে ধর্মান্তরিত হয়ে মিল্লাতকে বিয়ে করেন। ধর্মান্তরিত হওয়ার পর নাম রাখেন নুসরাত জাহান। বিয়ের আগে তাদের মধ্যে সম্পর্ক ছিল। নুসরাতকে বলেছিল সে (মিল্লাত) বিসিএস ক্যাডার পুলিশ কর্মকর্তা। আর সেই পরিচয়েই বিয়ের পর সংসদ সচিবালয়ের কোয়ার্টারে বাসা ভাড়া নেয় মিল্লাত।

জানা যায়, বিয়ের পর কিছুদিন তাদের দাম্পত্য জীবন সুখে কাটলেও তা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। পুলিশ কর্মকর্তার পরিচয় দিলেও মিল্লাতের আচরণ সন্দেহজনক মনে হতে শুরু করে নুসরাতের কাছে। মিল্লাত অফিসে কেন যায় না, পুলিশের কাজকর্ম নিয়ে নানা বিষয়ে নুসরাত তার কাছে জানতে চাইত। কিন্তু এসব কথা এড়িয়ে যেত মিল্লাত। পরে এক সময় তাদের পরিবারে অর্থ সংকটও দেখা দেয়। এরপর থেকে নিয়মিত তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হতে থাকে।

ডিএমপির শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নুসরাতের আত্মহত্যার চার-পাঁচ মাস আগে থেকে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ আরও বেড়ে যায়। সেই সময় মিল্লাত নুসরাতকে অমানুষিক শারীরিক নির্যাতন চালাত। প্রায়ই মারধর করত। নুসরাত এসব কথা তার বন্ধুবান্ধব ও পরিবার-পরিজনকে জানিয়েছিল একাধিকবার।

নুসরাতের মৃত্যুর বিষয়ে গতকাল শেরেবাংলা নগর থানার ওসি জানে আলম মুন্সি বলেন, নুসরাতের বাবা বাদী হয়ে মিল্লাতের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে একটি মামলা করেছেন। প্রতারণার শিকার হয়ে এবং প্রতিনিয়ত নির্যাতনের কারণে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে নুসরাত।আর সে কারণেই হয়ত আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নুসরাত। আশা করি মিল্লাতকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা যাবে।

গত শনিবার সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ছাত্রলীগের সাবেক নেত্রী নুসরাতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

সোমবার, ১৪ জুন ২০২১ , ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ ২ জিলকদ ১৪৪২

সচিবালয় কোয়ার্টারে নারীর লাশ

প্রতারণা করে বিয়ে, নির্যাতনে হত্যার কারণ হতে পারে, স্বামী মিল্লাত পলাতক : পুলিশ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সংসদ সচিবালয়ের কোয়ার্টারে থেকে নুসরাত জাহান (২৭) নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এখনও পলাতক রয়েছেন স্বামী মামুন মিল্লাত। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, মিল্লাতের কারণে নুসরাত আত্মহত্যা করেছে। মিল্লাতকে হাতে পেলেই নুসরাতের আত্মহত্যার পেছনের বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে বলে মনে করছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি এলাকার বাসিন্দা নিবেদিতা রোজারিও ২০১৯ সালে ধর্মান্তরিত হয়ে মিল্লাতকে বিয়ে করেন। ধর্মান্তরিত হওয়ার পর নাম রাখেন নুসরাত জাহান। বিয়ের আগে তাদের মধ্যে সম্পর্ক ছিল। নুসরাতকে বলেছিল সে (মিল্লাত) বিসিএস ক্যাডার পুলিশ কর্মকর্তা। আর সেই পরিচয়েই বিয়ের পর সংসদ সচিবালয়ের কোয়ার্টারে বাসা ভাড়া নেয় মিল্লাত।

জানা যায়, বিয়ের পর কিছুদিন তাদের দাম্পত্য জীবন সুখে কাটলেও তা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। পুলিশ কর্মকর্তার পরিচয় দিলেও মিল্লাতের আচরণ সন্দেহজনক মনে হতে শুরু করে নুসরাতের কাছে। মিল্লাত অফিসে কেন যায় না, পুলিশের কাজকর্ম নিয়ে নানা বিষয়ে নুসরাত তার কাছে জানতে চাইত। কিন্তু এসব কথা এড়িয়ে যেত মিল্লাত। পরে এক সময় তাদের পরিবারে অর্থ সংকটও দেখা দেয়। এরপর থেকে নিয়মিত তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হতে থাকে।

ডিএমপির শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নুসরাতের আত্মহত্যার চার-পাঁচ মাস আগে থেকে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ আরও বেড়ে যায়। সেই সময় মিল্লাত নুসরাতকে অমানুষিক শারীরিক নির্যাতন চালাত। প্রায়ই মারধর করত। নুসরাত এসব কথা তার বন্ধুবান্ধব ও পরিবার-পরিজনকে জানিয়েছিল একাধিকবার।

নুসরাতের মৃত্যুর বিষয়ে গতকাল শেরেবাংলা নগর থানার ওসি জানে আলম মুন্সি বলেন, নুসরাতের বাবা বাদী হয়ে মিল্লাতের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে একটি মামলা করেছেন। প্রতারণার শিকার হয়ে এবং প্রতিনিয়ত নির্যাতনের কারণে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে নুসরাত।আর সে কারণেই হয়ত আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নুসরাত। আশা করি মিল্লাতকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা যাবে।

গত শনিবার সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ছাত্রলীগের সাবেক নেত্রী নুসরাতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।