এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশের ব্যবসায়ীদের প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, ‘সরকার এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সেক্টরভিত্তিক সাব-কমিটি গঠন করে প্রস্তুতি নিচ্ছে। সেখানে এফবিসিসিআই’র প্রতিনিধি থাকবে। গতানুগতিক কাজের বাইরে গিয়ে এফবিসিসিআইকে বাণিজ্য ক্ষেত্রে আধুনিকীকরণে ভূমিকা রাখতে হবে।’
গতকাল সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে নবনির্বাচিত পরিষদের ৪৫ সদসস্যের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় টিপু মুনশি এ আহ্বান জানান।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্য সুবিধা বাড়ানোর জন্য এফটিএ বা পিটিএ স্বাক্ষর করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোকে আরও তৎপর হতে হবে। রপ্তানি বাণিজ্যে শুধু তৈরি পোশাক শিল্পের ওপর নির্ভর করলে হবে না। দেশের আইসিটি, লেদার, প্লাস্টিক, পাট ও পাটজাত পণ্য ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরে রপ্তানি বাড়ানোর বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে, এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার এসব সেক্টরকে রপ্তানি বাণিজ্যে দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, এজন্য ব্যবসায়ীদেরও এগিয়ে আসতে হবে। আগামী অর্থবছর আমরা ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করতে চাই। এজন্য দেশের রপ্তানিকারকদের আন্তরিকতার সঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান ব্যবসাবান্ধব সরকার ব্যবসায়ীদের সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পর ব্যবসা-বাণিজ্যে আমাদের সামনে একটি বড় চ্যালেঞ্জ আসবে, তা দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে।’
এ সময় এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিন মহান জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটকে স্বাগত জানান। প্রতিনিধিদলের সদস্যরা এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন ও এসডিজি অর্জনে সরকারকে আন্তরিকভাবে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তারা ব্যবসাবান্ধব পলিসি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। দেশে নতুন নতুন রপ্তানি পণ্য সৃষ্টিতে সরকারকে উদ্যোগ গ্রহণ ও বাণিজ্য সুবিধা বাড়ানোর আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ বক্তব্য রাখেন। ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই’র সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, ভাইস-প্রেসিডেন্ট এমএ মোমেন, মো. আমীন হেলালী, সালাহউদ্দিন আলমগীর, মো. হাবিব উল্লাহ ডন ও এমএ রাজ্জাক খান।
পরিচালকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আবু মোতালেব, ড. ফেরদৌসী বেগম, আমজাদ হোসেন, মো. শাহীন আহমেদ, মিসেস শমি কায়সার, মো. আবু নাসের, সৈয়দ সাদাত আলমাস কবীর, মিসেস প্রীতি চৌধুরী, মিস নাজ ফারহানা আহমেদ ও সাইফুল ইসলাম।
মঙ্গলবার, ১৫ জুন ২০২১ , ১ আষাড় ১৪২৮ ৩ জিলকদ ১৪৪২
অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক
এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশের ব্যবসায়ীদের প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, ‘সরকার এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সেক্টরভিত্তিক সাব-কমিটি গঠন করে প্রস্তুতি নিচ্ছে। সেখানে এফবিসিসিআই’র প্রতিনিধি থাকবে। গতানুগতিক কাজের বাইরে গিয়ে এফবিসিসিআইকে বাণিজ্য ক্ষেত্রে আধুনিকীকরণে ভূমিকা রাখতে হবে।’
গতকাল সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে নবনির্বাচিত পরিষদের ৪৫ সদসস্যের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় টিপু মুনশি এ আহ্বান জানান।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্য সুবিধা বাড়ানোর জন্য এফটিএ বা পিটিএ স্বাক্ষর করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোকে আরও তৎপর হতে হবে। রপ্তানি বাণিজ্যে শুধু তৈরি পোশাক শিল্পের ওপর নির্ভর করলে হবে না। দেশের আইসিটি, লেদার, প্লাস্টিক, পাট ও পাটজাত পণ্য ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরে রপ্তানি বাড়ানোর বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে, এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার এসব সেক্টরকে রপ্তানি বাণিজ্যে দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, এজন্য ব্যবসায়ীদেরও এগিয়ে আসতে হবে। আগামী অর্থবছর আমরা ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করতে চাই। এজন্য দেশের রপ্তানিকারকদের আন্তরিকতার সঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান ব্যবসাবান্ধব সরকার ব্যবসায়ীদের সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পর ব্যবসা-বাণিজ্যে আমাদের সামনে একটি বড় চ্যালেঞ্জ আসবে, তা দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে।’
এ সময় এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিন মহান জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটকে স্বাগত জানান। প্রতিনিধিদলের সদস্যরা এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন ও এসডিজি অর্জনে সরকারকে আন্তরিকভাবে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তারা ব্যবসাবান্ধব পলিসি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। দেশে নতুন নতুন রপ্তানি পণ্য সৃষ্টিতে সরকারকে উদ্যোগ গ্রহণ ও বাণিজ্য সুবিধা বাড়ানোর আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ বক্তব্য রাখেন। ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই’র সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, ভাইস-প্রেসিডেন্ট এমএ মোমেন, মো. আমীন হেলালী, সালাহউদ্দিন আলমগীর, মো. হাবিব উল্লাহ ডন ও এমএ রাজ্জাক খান।
পরিচালকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আবু মোতালেব, ড. ফেরদৌসী বেগম, আমজাদ হোসেন, মো. শাহীন আহমেদ, মিসেস শমি কায়সার, মো. আবু নাসের, সৈয়দ সাদাত আলমাস কবীর, মিসেস প্রীতি চৌধুরী, মিস নাজ ফারহানা আহমেদ ও সাইফুল ইসলাম।