ভুয়া ওয়ারেন্টে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর ১ দিনের হাজতবাস

যশোরের কেশবপুরে ভুয়া ওয়ারেন্টে এক মাস্টারস পড়ুয়া শিক্ষার্থী ১দিনের হাজতবাসের শিকার হয়েছেন। এ হয়রানির হাত থেকে প্রতিকার পাওয়ার দাবিতে উপজেলার মজিদপুর গ্রামের মান্দার দাস উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন। জানা গেছে, উপজেলার মজিদপুর গ্রামের দিনমজুর মান্দার দাসের ছেলে কাজল দাস যশোর এমএম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের দর্শন বিষয়ের মাস্টারস শেষ বর্ষের ছাত্র। এর পাশাপাশি সে পার্শ্ববর্তী তালা উপজেলার জালালপুর দলিত স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। স্কুল ছুটির কারণে গত ১৯ মার্চ তিনি বাড়িতে আসেন। এ খবর জানতে পেরে ২২ মার্চ রাত সাড়ে ১২ টায় কেশবপুর থানার পুলিশ কাজল দাসকে গ্রেফতার করে যশোর জেলহাজতে প্রেরণ করে। ২৩ মার্চ মান্দার দাস তার ছেলেকে আদালত থেকে মুক্ত করতে গিয়ে জানতে পারেন, তার ছেলেকে মানিকগঞ্জ জেলার সরুলিয়া থানার কেস নং- ৫/২১ এর পলাতক আসামী হিসেবে আটক করে চালানের কপি ও গ্রেফতারি ওয়ারেন্ট মূলে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। যে কারণে গত ২৩ মার্চ কোন রিকল ছাড়াই কাজল দাসকে আদালত মুক্তি দেয়। যশোরের বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহাদত হোসেন তার স্বাক্ষরিত পত্রে উল্লেখ করেছেন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় থানার নাম সরুলিয়া উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু মানিকগঞ্জ জেলায় সরুলিয়া নামে কোন থানা নেই। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করা হয় ২৮/৩/২১ তারিখ, কিন্তু কাজল দাসকে কেশবপুর থানার পুলিশ ২২/৩/২১ তারিখ রাত সাড়ে ১২ টায় গ্রেফতার করে। যার মাসের ঘরে ২ সংখ্যাটি ৩কে কেটে লেখা হয়েছে। ফলে আপাতদৃষ্টিতে দেখা যাচ্ছে গ্রেফতারী পরোয়ানাটি ভূয়া। বিষয়টি আদালত আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্ট জেলায় টেলিফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে এবং ইমেইলের মাধ্যমে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রেরণ করলে সংশ্লিষ্ট আদালত তা যাচাই করে উক্ত গ্রেপ্তারি পরোয়ানাটি সৃজিত মর্মে ইমেইলের মাধ্যমে আদেশের কপি প্রেরণ করেন।

মঙ্গলবার, ১৫ জুন ২০২১ , ১ আষাড় ১৪২৮ ৩ জিলকদ ১৪৪২

ভুয়া ওয়ারেন্টে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর ১ দিনের হাজতবাস

প্রতিনিধি, কেশবপুর (যশোর)

যশোরের কেশবপুরে ভুয়া ওয়ারেন্টে এক মাস্টারস পড়ুয়া শিক্ষার্থী ১দিনের হাজতবাসের শিকার হয়েছেন। এ হয়রানির হাত থেকে প্রতিকার পাওয়ার দাবিতে উপজেলার মজিদপুর গ্রামের মান্দার দাস উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন। জানা গেছে, উপজেলার মজিদপুর গ্রামের দিনমজুর মান্দার দাসের ছেলে কাজল দাস যশোর এমএম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের দর্শন বিষয়ের মাস্টারস শেষ বর্ষের ছাত্র। এর পাশাপাশি সে পার্শ্ববর্তী তালা উপজেলার জালালপুর দলিত স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। স্কুল ছুটির কারণে গত ১৯ মার্চ তিনি বাড়িতে আসেন। এ খবর জানতে পেরে ২২ মার্চ রাত সাড়ে ১২ টায় কেশবপুর থানার পুলিশ কাজল দাসকে গ্রেফতার করে যশোর জেলহাজতে প্রেরণ করে। ২৩ মার্চ মান্দার দাস তার ছেলেকে আদালত থেকে মুক্ত করতে গিয়ে জানতে পারেন, তার ছেলেকে মানিকগঞ্জ জেলার সরুলিয়া থানার কেস নং- ৫/২১ এর পলাতক আসামী হিসেবে আটক করে চালানের কপি ও গ্রেফতারি ওয়ারেন্ট মূলে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। যে কারণে গত ২৩ মার্চ কোন রিকল ছাড়াই কাজল দাসকে আদালত মুক্তি দেয়। যশোরের বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহাদত হোসেন তার স্বাক্ষরিত পত্রে উল্লেখ করেছেন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় থানার নাম সরুলিয়া উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু মানিকগঞ্জ জেলায় সরুলিয়া নামে কোন থানা নেই। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করা হয় ২৮/৩/২১ তারিখ, কিন্তু কাজল দাসকে কেশবপুর থানার পুলিশ ২২/৩/২১ তারিখ রাত সাড়ে ১২ টায় গ্রেফতার করে। যার মাসের ঘরে ২ সংখ্যাটি ৩কে কেটে লেখা হয়েছে। ফলে আপাতদৃষ্টিতে দেখা যাচ্ছে গ্রেফতারী পরোয়ানাটি ভূয়া। বিষয়টি আদালত আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্ট জেলায় টেলিফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে এবং ইমেইলের মাধ্যমে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রেরণ করলে সংশ্লিষ্ট আদালত তা যাচাই করে উক্ত গ্রেপ্তারি পরোয়ানাটি সৃজিত মর্মে ইমেইলের মাধ্যমে আদেশের কপি প্রেরণ করেন।